ঢাকা ০৬:৫১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জাতীয় সমাবেশ সফল করায় জামায়াতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ Logo ফোন করে জামায়াত আমিরের খোঁজ নিলেন সেনাপ্রধান Logo অব্যাহতি পেল সেই কিশোর ফাইয়াজ, সংশোধিত আইনে প্রথম আদেশ Logo জামায়াত আমিরের চিকিৎসার জন্য যে কোনো সহায়তা দিতে প্রস্তুত সেনাবাহিনী Logo জামায়াত কেয়ামত পর্যন্ত ক্ষমতায় আসতে পারবে না: গয়েশ্বর চন্দ্র Logo আইনশৃঙ্খলায় দৃশ্যমান অগ্রগতি, নির্বাচন সুষ্ঠু হবে বললেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার Logo হারানো বিজ্ঞপ্তি:২ দিন ধরে নিখোঁজ সাদ মুহাম্মদ সাব্বির Logo ২৯শে জুলাই ডাকসুর তফসিল ঘোষণা, ভোট হতে পারে সেপ্টেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে Logo গুলিবিদ্ধ হয়েও থামেনি সংগ্রাম: জামায়াতের সমাবেশে দৃঢ়চেতা তা’মীরুল মিল্লাতের ছাত্র জুনাইদ Logo আগামী ৩ দিনের মধ্যে উচ্চকক্ষ নিয়ে সিদ্ধান্ত: আলী রীয়াজ
প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ

  • মোশারফ
  • আপডেট সময় ০৮:০৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫
  • 100

কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কোনো সংকট নেই। আমদানিরও দরকার নেই, বরং চাহিদার বেশি উদ্বৃত্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, “কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি। এবার প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বরং যে চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা যদি বেড়েও যায় সেটা পূরণ করার মতো সক্ষমতা সরকারের রয়েছে।”

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে রবিবার (৪ মে) সচিবালয়ে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল বা পরিবহন নিশ্চিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা নিরূপণ করেছে জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, “এ বছর কোরবানিযোগ্য হৃষ্টপুষ্ট গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২টি অন্য প্রজাতিসহ মোট এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা আশা করা যাচ্ছে। এ বছর প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আমরা মোটামুটি অনেক প্রস্তুতি নিচ্ছি। সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি যে, গবাদি পশুর যে বাজার সেটা যেন স্থিতিশীল থাকে। খামারিরা বছরের একটা সময় ইনকামের জন্য যে কাজটা করে সেটা যেন ঠিক থাকে। অন্যদিকে যারা কোরবানি দেবেন পশুর দাম যেন তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। আমদানির প্রয়োজন নেই, নিয়ন্ত্রণ করা হবে চাঁদাবাজি।”

এ বছর গবাদিপশু আমদানি করার প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, “অবৈধ পথেও যেন কোনো পশু বাংলাদেশ থেকে আসতে না পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করব। আমাদের দেশীয় উৎপাদিত যে গবাদিপশু খামারিরা করেন, তা যথেষ্ট। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

জাতীয় সমাবেশ সফল করায় জামায়াতের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ

প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, উদ্বৃত্ত থাকতে পারে ২০ লাখ

আপডেট সময় ০৮:০৬:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ মে ২০২৫

আসন্ন ঈদুল আজহায় কোরবানির পশুর কোনো সংকট নেই। আমদানিরও দরকার নেই, বরং চাহিদার বেশি উদ্বৃত্ত থাকবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

তিনি বলেন, “কোরবানিযোগ্য মোট গবাদিপশুর সংখ্যা এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি। এবার প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। বরং যে চাহিদা নির্ধারণ করা হয়েছে সেটা যদি বেড়েও যায় সেটা পূরণ করার মতো সক্ষমতা সরকারের রয়েছে।”

আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন উপলক্ষে রবিবার (৪ মে) সচিবালয়ে কোরবানির পশুর চাহিদা নিরূপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ চলাচল বা পরিবহন নিশ্চিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রতি বছরের মতো এ বছরও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় দেশে কোরবানিযোগ্য গবাদিপশুর সংখ্যা নিরূপণ করেছে জানিয়ে ফরিদা আখতার বলেন, “এ বছর কোরবানিযোগ্য হৃষ্টপুষ্ট গবাদিপশুর মধ্যে ৫৬ লাখ ২ হাজার ৯০৫টি গরু-মহিষ, ৬৮ লাখ ৩৮ হাজার ৯২০টি ছাগল-ভেড়া এবং ৫ হাজার ৫১২টি অন্য প্রজাতিসহ মোট এক কোটি ২৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৩৭টি গবাদিপশুর প্রাপ্যতা আশা করা যাচ্ছে। এ বছর প্রায় ২০ লাখ ৬৮ হাজার ১৩৫টি গবাদিপশু উদ্বৃত্ত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।”

তিনি বলেন, “ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে আমরা মোটামুটি অনেক প্রস্তুতি নিচ্ছি। সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নিচ্ছি যে, গবাদি পশুর যে বাজার সেটা যেন স্থিতিশীল থাকে। খামারিরা বছরের একটা সময় ইনকামের জন্য যে কাজটা করে সেটা যেন ঠিক থাকে। অন্যদিকে যারা কোরবানি দেবেন পশুর দাম যেন তাদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে। আমদানির প্রয়োজন নেই, নিয়ন্ত্রণ করা হবে চাঁদাবাজি।”

এ বছর গবাদিপশু আমদানি করার প্রয়োজন নেই মন্তব্য করে উপদেষ্টা বলেন, “অবৈধ পথেও যেন কোনো পশু বাংলাদেশ থেকে আসতে না পারে সেই ব্যবস্থা আমরা করব। আমাদের দেশীয় উৎপাদিত যে গবাদিপশু খামারিরা করেন, তা যথেষ্ট। প্রয়োজনের তুলনায় আমাদের আয়োজন ও ব্যবস্থাপনা ঠিক আছে।”