ঢাকা ০৬:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo একাত্তরের স্বাধীনতার অর্জনকে পুনঃস্থাপন করার সংগ্রামিই চব্বিশ :মজিবুর রহমান মঞ্জু Logo নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া সংবিধান পরিবর্তন কঠিন : জোনায়েদ সাকি Logo রাষ্ট্রীয় সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo সংস্কার ও বিচার ছাড়া ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা হলে জনগণ প্রতিরোধ করবে’-নাহিদ Logo সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন হলে সবাই এক হয়ে যাব: মির্জা আব্বাস Logo বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছে গুগল Logo যমুনা সেতু থেকে ‘২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায় Logo বিএনপির কার্যালয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা-ভাঙচুর- আহত ২ Logo শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি Logo খাগড়াছড়িতে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই ১৬ দোকান

আপাতত শঙ্কামুক্ত তামিম,৩ মাসের আগে মাঠে নামা হচ্ছে না

 

আপাতত শঙ্কামুক্ত দেশ সেরা ব্যাটার তামিম ইকবাল। শরীরের উন্নতিও হয়েছে। তবে এখনই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন না বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। কমপক্ষে তিন মাস পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে তামিমকে।

আজ মঙ্গলবার(২৪ মার্চ) সাভারের কেপিজে হাসপাতালে তামিমের সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর এ খবর নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী।

ডা. আবু জাফর বলেন, ‘উনার (তামিমের) শারীরিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু যেই চিকিৎসা হয়েছে তাতে অ্যাকশন-রিক্যাশন হতে পারে। আবার যেই রিং লাগানো হয়েছে সেটাও কাজ না করতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। তাদের পরিবারকে বুঝিয়েছি। এ মুহূর্তে তার মুভ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেই বিষয়ে তামিমের সঙ্গেও কথা বলেছি। এটা স্বাভাবিক যে সর্বোচ্চ চিকিৎসা যেখানে থাকবে সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার জন্য যাওয়াটা নিরাপদ কিনা সেটাও ভেবেছি। তবে তারা আমাদের ডাক্তারদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই তিন মাস অবজারভেশনে থাকবেন তামিম। উনার শারীরিক অবস্থা কি, উন্নতি হচ্ছে নাকি অবনতি হচ্ছে সেসব বিবেচনা করে দেখা হবে। তার মেডিকেল বোর্ড তাকে অনুমতি দিলে সে খেলতে পারবে।’

তামিমের পরবর্তী করণীয় কী হতে পারে সেই ধারণা দিয়েছেন ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, ‘এখন যে সময়টা সে কিন্তু বাথরুমে যেতে পারবেন কিন্তু কারো সঙ্গে থাকা উচিত। এখন তো সে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে আছেন। এখান থেকে বের হওয়ার পর সে চাইলে কোনো ভালো জায়গায় যেতে পারেন। আমরা পাঁচদিন পর রোগী ছেড়ে দেই। এরপর কিন্তু বলি, সাত দিন হাউজ রেস্টে থাকতে হবে। শরীরকে এখন সময় দিতে হবে।’

সোমবার (২৪ মার্চ) মোহামেডানের হয়ে ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে সাভারের বিকেএসপি মাঠে হাজির হন তামিম ইকবাল। তবে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ককে।

পরে তামিমের হার্টে একটি রিং পরানো হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক। এই ৪৮ ঘণ্টায় তাকে কোথাও স্থানান্তরের সম্ভাবনাও নেই। সাভারের কেপিজে হাসপাতালেই থাকবেন তিনি।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

একাত্তরের স্বাধীনতার অর্জনকে পুনঃস্থাপন করার সংগ্রামিই চব্বিশ :মজিবুর রহমান মঞ্জু

আপাতত শঙ্কামুক্ত তামিম,৩ মাসের আগে মাঠে নামা হচ্ছে না

আপডেট সময় ০৪:২৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫

 

আপাতত শঙ্কামুক্ত দেশ সেরা ব্যাটার তামিম ইকবাল। শরীরের উন্নতিও হয়েছে। তবে এখনই স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবেন না বাংলাদেশ দলের সাবেক এই অধিনায়ক। কমপক্ষে তিন মাস পর্যবেক্ষণে থাকতে হবে তামিমকে।

আজ মঙ্গলবার(২৪ মার্চ) সাভারের কেপিজে হাসপাতালে তামিমের সর্বশেষ অবস্থা পর্যবেক্ষণের পর এ খবর নিশ্চিত করেছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর ও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী।

ডা. আবু জাফর বলেন, ‘উনার (তামিমের) শারীরিক অবস্থা আশাব্যঞ্জক। কিন্তু যেই চিকিৎসা হয়েছে তাতে অ্যাকশন-রিক্যাশন হতে পারে। আবার যেই রিং লাগানো হয়েছে সেটাও কাজ না করতে পারে। সেই ঝুঁকি রয়েছে। তাদের পরিবারকে বুঝিয়েছি। এ মুহূর্তে তার মুভ করা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সেই বিষয়ে তামিমের সঙ্গেও কথা বলেছি। এটা স্বাভাবিক যে সর্বোচ্চ চিকিৎসা যেখানে থাকবে সেখানে মানুষ যেতে চাইবে। কিন্তু তার জন্য যাওয়াটা নিরাপদ কিনা সেটাও ভেবেছি। তবে তারা আমাদের ডাক্তারদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এই তিন মাস অবজারভেশনে থাকবেন তামিম। উনার শারীরিক অবস্থা কি, উন্নতি হচ্ছে নাকি অবনতি হচ্ছে সেসব বিবেচনা করে দেখা হবে। তার মেডিকেল বোর্ড তাকে অনুমতি দিলে সে খেলতে পারবে।’

তামিমের পরবর্তী করণীয় কী হতে পারে সেই ধারণা দিয়েছেন ডা. আব্দুল ওয়াদুদ চৌধুরী, ‘এখন যে সময়টা সে কিন্তু বাথরুমে যেতে পারবেন কিন্তু কারো সঙ্গে থাকা উচিত। এখন তো সে ৪৮ থেকে ৭২ ঘণ্টা অবজারভেশনে আছেন। এখান থেকে বের হওয়ার পর সে চাইলে কোনো ভালো জায়গায় যেতে পারেন। আমরা পাঁচদিন পর রোগী ছেড়ে দেই। এরপর কিন্তু বলি, সাত দিন হাউজ রেস্টে থাকতে হবে। শরীরকে এখন সময় দিতে হবে।’

সোমবার (২৪ মার্চ) মোহামেডানের হয়ে ডিপিএলের ম্যাচ খেলতে সাভারের বিকেএসপি মাঠে হাজির হন তামিম ইকবাল। তবে ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক করে সাভারের কেপিজে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় জাতীয় দলের সাবেক এই অধিনায়ককে।

পরে তামিমের হার্টে একটি রিং পরানো হয়। আগামী ৪৮ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রয়েছেন সাবেক এই টাইগার অধিনায়ক। এই ৪৮ ঘণ্টায় তাকে কোথাও স্থানান্তরের সম্ভাবনাও নেই। সাভারের কেপিজে হাসপাতালেই থাকবেন তিনি।