ঢাকা ০৬:০৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ১২ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo একাত্তরের স্বাধীনতার অর্জনকে পুনঃস্থাপন করার সংগ্রামিই চব্বিশ :মজিবুর রহমান মঞ্জু Logo নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ছাড়া সংবিধান পরিবর্তন কঠিন : জোনায়েদ সাকি Logo রাষ্ট্রীয় সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo সংস্কার ও বিচার ছাড়া ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা হলে জনগণ প্রতিরোধ করবে’-নাহিদ Logo সার্বভৌমত্ব রক্ষায় ঐক্যের প্রয়োজন হলে সবাই এক হয়ে যাব: মির্জা আব্বাস Logo বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে শুভেচ্ছা জানিয়েছে গুগল Logo যমুনা সেতু থেকে ‘২৪ ঘণ্টায় দুই কোটি ৫৭ লাখ টাকার টোল আদায় Logo বিএনপির কার্যালয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা-ভাঙচুর- আহত ২ Logo শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় বীর শ্রেষ্ঠ সন্তানদের স্মরণ করছে জাতি Logo খাগড়াছড়িতে ভয়াবহ আগুন, পুড়ে ছাই ১৬ দোকান

আবারও টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি পোশাক তৈরির কারখানার শ্রমিকরা বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

আজ রোববার (২৩ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে কারখানার সামনে নেওয়া হলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানান, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ না করা হয়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষ একাধিকবার তারিখ দিয়েও বেতন পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে গত ১১ মার্চ হঠাৎ কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় একপর্যায়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। ওই সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে শ্রমিকদের দাবি মেনে না নেওয়ায় রোববার সকাল থেকে বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ওই মহাসড়কের উভয়দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন মহাসড়কে চলাচলকারীরা। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এই কারখানার শ্রমিকরা গত কয়েকদিন আগে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে ২০ মার্চের মধ্যে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১৫০০ জন শ্রমিকদের ১২৫০ জন শ্রমিকের বেতন দেওয়া হয়। শনিবার শ্রমিকরা কাজ না করার ঘোষণা দিলে ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ ঘোষণা করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরপর রোববার সকাল ৭টা থেকে শ্রমিকরা বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে কারখানার সামনে নেওয়া হলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

একাত্তরের স্বাধীনতার অর্জনকে পুনঃস্থাপন করার সংগ্রামিই চব্বিশ :মজিবুর রহমান মঞ্জু

আবারও টঙ্গীতে মহাসড়ক অবরোধ করে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

আপডেট সময় ১০:৫৬:৩০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৩ মার্চ ২০২৫

গাজীপুরের টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় একটি পোশাক তৈরির কারখানার শ্রমিকরা বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন।

আজ রোববার (২৩ মার্চ) সকাল ৭টা থেকে তারা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে কারখানার সামনে নেওয়া হলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শিল্প পুলিশ ও কারখানার শ্রমিকরা জানান, টঙ্গীর হোসেন মার্কেট এলাকায় বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিকদের ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পরিশোধ না করা হয়নি। কারখানা কর্তৃপক্ষ একাধিকবার তারিখ দিয়েও বেতন পরিশোধ করেনি। এ নিয়ে গত ১১ মার্চ হঠাৎ কারখানা বন্ধের নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। বেতন না দিয়ে কারখানা বন্ধের ঘোষণা দেওয়ায় একপর্যায়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা। ওই সময় পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে শ্রমিকদের দাবি মেনে না নেওয়ায় রোববার সকাল থেকে বিএইচআইএস অ্যাপারেলস লিমিটেডের শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন। এতে ওই মহাসড়কের উভয়দিকে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন মহাসড়কে চলাচলকারীরা। খবর পেয়ে শিল্প পুলিশ ও থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করেন।

গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক মো. ইসমাইল হোসেন বলেন, এই কারখানার শ্রমিকরা গত কয়েকদিন আগে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। পরে ২০ মার্চের মধ্যে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে ১৫০০ জন শ্রমিকদের ১২৫০ জন শ্রমিকের বেতন দেওয়া হয়। শনিবার শ্রমিকরা কাজ না করার ঘোষণা দিলে ‘নো ওয়ার্ক নো পে’ ঘোষণা করে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। এরপর রোববার সকাল ৭টা থেকে শ্রমিকরা বেতন ও ঈদ বোনাসের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন। পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা এসে আন্দোলনরত শ্রমিকদের বুঝিয়ে কারখানার সামনে নেওয়া হলে সকাল সাড়ে ৮টার দিকে মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। এখন শ্রমিকদের দাবির বিষয়ে মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে।