বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে হিফজ সম্পন্নকারী ১৩০ জন কোরআনের হাফেজকে সংবর্ধনা দিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির। সংবর্ধনা হিসেবে হাফেজদের পবিত্র কোরআন শরীফ এবং ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) সকালে জেলার দশানি মেগনিতলাস্থ খানজাহান আলী ট্রাস্ট মিলাতায়নে জেলা ছাত্রশিবির এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে ইসলামী ছাত্রশিবির বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মোরশেদ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক কেন্দ্রীয় প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হাফেজ আব্দুল আউয়াল।
ইসলামী ছাত্রশিবির বাগেরহাট জেলা শাখার সেক্রেটারি আহমেদ আব্দুল্লাহর সঞ্চালনায় আনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন জেলা জামায়তে ইসলামীর সেক্রেটারি মাওলানা ইউনুস শেখ, জেলা ছাত্রশিবিরের সাবেক সেক্রেটারি শেখ মনজুরুল হক রাহাত, জেলা ছাত্রশিবিরের অর্থ সম্পাদক আল মাহমুদ, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শেখ শুয়াইব, মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মুর্তজা হামীমসহ শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা। ।
সংবর্ধনা পেয়ে উচ্ছাস প্রকাশ করে সংবর্ধিত হাফেজগণ বলেন, এখন পর্যন্ত একসঙ্গে এতো হাফেজকে কেউ সংবর্ধনা দেয়নি। এটি আমাদের জন্য অত্যন্ত সৌভাগ্যের। সামনে কোরআনের বাণী ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা হিসাবে কাজ করবে। এমন আয়োজন যেন অব্যহত থাকে আয়োজকদের প্রতি সেই দাবি জানিয়েছন তারা।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ছাত্রশিবিরের সাবেক প্লানিং এন্ড ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক হাফেজ আব্দুল আউয়াল বলেন, সমাজে ইসলামের ধারক এবং বাহক হচ্ছে কোরআনের হাফেজরা। তারা সমাজের নেতৃত্বে এগিয়ে আসলে সুন্দর একটি সমাজ গড়ে উঠবে।
বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বাগেরহাট জেলা শাখার সভাপতি হাফেজ মোরশেদ আলম বলেন, আমাদের সমাজে সবচেয়ে সম্মানিত ব্যক্তি হচ্ছেন কোরআনের হাফেজরা, কিন্তু আমাদের সমাজে তাদের প্রাপ্য সম্মানটুকু দেওয়া হয় না। আওয়ামী শাসনের সময় অনেক আলেম এবং হাফেজকে বিনা অপরাধে নির্যাতিত হতে হয়েছে। আমরা চাই আমাদের সমাজে তারা সবসময় যেন সম্মানের আসনে থাকে, যার জন্য আজকের এ আয়োজন।