ঢাকা ১১:১২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৫ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বদরের চেতনায় সকলকে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে-ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম

ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র,বাধা-প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

আজ মঙ্গলবার (১৮ র্মাচ) বিকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে উত্তরা পূর্ব থানা জামায়াত আয়োজিত বদর যুদ্ধের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ড. রেজাউল করিম বলেন, ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের দ্বিতীয় হিজরীর ১৭ রমজান বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিলো ঐতিহাসিক বদরযুদ্ধ। এ যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পেয়েছিলো। বিশ্ব দরবারে মুসলিমরা উদীয়মান ও অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তিতে পরিণত হয়েছিলো। আর পবিত্র কালামে হাকীমে এ যুদ্ধকে সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী যুদ্ধ বলে অভিহিত করা হয়েছে। ইসলামের বিরুদ্ধবাদী কাফিরদের বিশাল সামরিক শক্তির মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের শসস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সবরকমের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্রশস্ত্রহীন ইমানদারদের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেছিলেন। মূলত, রাসূল (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানদের দৃঢ় ঈমানী প্রত্যয় ও আল্লাহর প্রত্যক্ষ সাহায্য এ অসম যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামে পাকের সূরা আল ইমরানের ১২৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর বদরের যুদ্ধে আল্লাহ অবশ্যই তোমাদেরকে সাহায্য করেছিলেন অথচ তোমরা হীনবল ছিলে। কাজেই তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার’। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কোন বাধা-প্রতিবন্ধকতায় ভীত-সন্ত্রস্ত হলে চলবে না বরং ঈমানের আলোকিত হয়ে সকল প্রকার অশুভ, স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী শক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ তৌহিদে বিশ্বাসীদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি জয়-পরাজয় বৈষয়িক শক্তি- সামর্থের ওপর নির্ভর করে না বরং তা আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন তারা সংখ্যায় বা সম্পদে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। যা বাস্তব প্রমাণ ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব। পতিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদী অপশক্তি সেদিন দলীয় পশুশক্তি, রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার ও আধিপত্যবাদী শক্তির সহযোগীতায়ও ছাত্র-জনতার বিজয় রুখতে পারেনি। তাই আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় দেশকে অপশাসন- দুঃশাসন মুক্ত করে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে দলমত নির্বিশেষে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যতায় পতিতরা মাথাচাঁরা দিতে পারে।

মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য ও থানা আমীর মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি আতিক হাসান রুবেল এর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ, থানা ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ।

একই সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তেজগাঁও উত্তর থানার উদ্যোগে ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা নোমান উদ্দিনের সভাপতিত্বে স্থানীয় নাখালপাড়া বাজার মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও তেজগাঁও উত্তর থানা আমীর মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, থানা সেক্রেটারি রাসিবুল হক নাসিফ,বক্তব্য রাখেন, মহসিন খান, মোফাজ্জল হোসেন রকি,ফারুক হোসেন প্রমুখ।

জনপ্রিয় সংবাদ

এবার ঢাকা মাতাবেন পাকিস্তানি গায়ক আলী আজমত

বদরের চেতনায় সকলকে দ্বীন প্রতিষ্ঠায় ঐক্যবদ্ধ হতে হবে-ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম

আপডেট সময় ০৭:৪৩:২৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫

ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল ষড়যন্ত্র,বাধা-প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে অন্যায় ও অসত্যের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তোলার মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।

আজ মঙ্গলবার (১৮ র্মাচ) বিকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে উত্তরা পূর্ব থানা জামায়াত আয়োজিত বদর যুদ্ধের গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

ড. রেজাউল করিম বলেন, ৬২৪ খ্রিষ্টাব্দের দ্বিতীয় হিজরীর ১৭ রমজান বদর প্রান্তরে সংঘটিত হয়েছিলো ঐতিহাসিক বদরযুদ্ধ। এ যুদ্ধের মাধ্যমে ইসলাম প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পেয়েছিলো। বিশ্ব দরবারে মুসলিমরা উদীয়মান ও অপ্রতিরোধ্য সামরিক শক্তিতে পরিণত হয়েছিলো। আর পবিত্র কালামে হাকীমে এ যুদ্ধকে সত্য-মিথ্যার মধ্যে পার্থক্যকারী যুদ্ধ বলে অভিহিত করা হয়েছে। ইসলামের বিরুদ্ধবাদী কাফিরদের বিশাল সামরিক শক্তির মোকাবিলায় ইমানদার বান্দাদের ছোট একটি দলের শসস্ত্র সংগ্রাম ছিল এটি। এ যুদ্ধে মানুষের ধারণাপ্রসূত সবরকমের চিন্তা ও উপলব্ধির বাইরে গিয়ে আল্লাহতায়ালা অস্ত্রশস্ত্রহীন ইমানদারদের অতিক্ষুদ্র দলটিকে বিজয় দান করেছিলেন। মূলত, রাসূল (সা.)-এর নেতৃত্বে মুসলমানদের দৃঢ় ঈমানী প্রত্যয় ও আল্লাহর প্রত্যক্ষ সাহায্য এ অসম যুদ্ধে মুসলমানরা বিজয়ী হয়েছিলেন। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কালামে পাকের সূরা আল ইমরানের ১২৩ নং আয়াতে বলা হয়েছে, ‘আর বদরের যুদ্ধে আল্লাহ অবশ্যই তোমাদেরকে সাহায্য করেছিলেন অথচ তোমরা হীনবল ছিলে। কাজেই তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পার’। তাই ইসলামী আন্দোলনের কর্মীদের কোন বাধা-প্রতিবন্ধকতায় ভীত-সন্ত্রস্ত হলে চলবে না বরং ঈমানের আলোকিত হয়ে সকল প্রকার অশুভ, স্বৈরাচারি ও ফ্যাসীবাদী শক্তির বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ তৌহিদে বিশ্বাসীদের জন্য প্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি জয়-পরাজয় বৈষয়িক শক্তি- সামর্থের ওপর নির্ভর করে না বরং তা আল্লাহর হাতে। এ বিশ্বাস ও চেতনা লালন করে পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মুসলমানরা অসত্য ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন তারা সংখ্যায় বা সম্পদে কম হলেও আল্লাহ তাদের বিজয় দান করেছেন। যা বাস্তব প্রমাণ ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ঐতিহাসিক বিপ্লব। পতিত স্বৈরাচার ও ফ্যাসীবাদী অপশক্তি সেদিন দলীয় পশুশক্তি, রাষ্ট্রযন্ত্রের অপব্যবহার ও আধিপত্যবাদী শক্তির সহযোগীতায়ও ছাত্র-জনতার বিজয় রুখতে পারেনি। তাই আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় দেশকে অপশাসন- দুঃশাসন মুক্ত করে এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে সকলকে দলমত নির্বিশেষে এক প্লাটফর্মে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। অন্যতায় পতিতরা মাথাচাঁরা দিতে পারে।

মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য ও থানা আমীর মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি আতিক হাসান রুবেল এর সঞ্চালনায় এতে আরও উপস্থিত ছিলেন থানা শূরা ও কর্মপরিষদ সদস্য জাহাঙ্গীর হোসাইন, আব্দুল্লাহ আল মুজাহিদ, থানা ও ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলবৃন্দ।

একই সাথে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তেজগাঁও উত্তর থানার উদ্যোগে ঐতিহাসিক বদর দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা নোমান উদ্দিনের সভাপতিত্বে স্থানীয় নাখালপাড়া বাজার মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী উত্তরের প্রচার-মিডিয়া সম্পাদক আতাউর রহমান সরকার, বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা মহানগরী উত্তরের মজলিসে শূরা সদস্য ও তেজগাঁও উত্তর থানা আমীর মোহাম্মদ আহসান উল্লাহ, থানা সেক্রেটারি রাসিবুল হক নাসিফ,বক্তব্য রাখেন, মহসিন খান, মোফাজ্জল হোসেন রকি,ফারুক হোসেন প্রমুখ।