ঢাকা ০৭:৩৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান Logo মোটরসাইকেল জব্দ করায় থানায় হামলা, ছাত্রদলের ৯ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার Logo নোবিপ্রবিতে ভর্তিচ্ছু সহস্রাধিক শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করেছে ছাত্রদল Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে মৌলভীবাজারে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ Logo জুমার পর সবাইকে আন্দোলন মঞ্চে আসার ডাক হাসনাত আবদুল্লাহর Logo ‘৯ মাসেও গণহত্যাকারী দল নিষিদ্ধ হলো না কেন’প্রশ্ন সাদিক কায়েমর Logo যমুনার সামনে রাতে শিবির মাঠে নামায় পাল্টে যায় দৃশ্যপট Logo সকালেও বিক্ষোভ চলছে যমুনার সামনে Logo স্ক্রিনশট স্ক্যান করেই লোকেশন খুঁজে দেবে গুগল ম্যাপ Logo ভারত-পাকিস্তান সংঘাত ‘আমাদের কোনও বিষয় নয়’:যুক্তরাষ্ট্র

জুলাই বিপ্লবকে অস্বীকারকারীরা শহীদদের স্মৃতিও মুছে দিতে চায় – ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌফিক হাসান

স্বৈরাচার হাসিনার পতনে দলীয় অবদান না থাকায় জুলাই বিপ্লবকে অস্বীকারকারীরা শহীদ পরিবারের উপর হামলা, নির্যাতনের পাশাপাশি শহীদদের স্মৃতিও মুছে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক ঢাকা-২ সাংসদীয় আসনের মনোনিত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌফিক হাসান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শহীদ ফয়জুল ইসলাম ওরফে রাজনের কবর ভাঙচুরের ঘটনায় সোমবার ২৮ এপ্রিল বিকেলে শহীদের কবর পরিদর্শন ও কবর জিয়ারত করতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়ে এই মন্তব্য করেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী জালেম স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশি মিথ্যা মামলা ও হামলার কারনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলোর সাধারণ কর্মী সমর্থকরাও ঘরে থাকতে পারেনি। সেই জালেমের হাত থেকে শহীদ রাজনের মতো ছাত্ররা তাদের জীবনের বিনিময়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়ে আমাদের মুক্ত বাতাসে আবার কথা বলার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমরা তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকিবো।

তিনি বলেন, জুলাইয়ের আন্দোলনে একটি দলের প্রকাশ্য কোনো উল্লখযোগ্য ভূমিকা না থাকায় শুধুমাত্র স্বার্থের কারনে তারা জুলাইয়ের ছাত্র সমাজের অবদানকে প্রতিনিয়ত অস্বীকারের পাশাপাশি কটাক্ষ করেই চলেছে। তা তাদের রাজনৈতিক দুরদর্শিতার অভাব ও আদর্শিক সংকট বলে তিনি আরো বলেন, তারা দ্বিতীয় স্বাধীনতার চাইতেও তাদের চাঁদাবাজি ও লুটপাটের স্বাধীনতাকে প্রধান্য দিচ্ছে।তাই ছাত্রদের অবদানকে ভূলে গিয়েছে তারা মূলত অকৃতজ্ঞ ও নিষ্ঠুর।

ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌফিক হাসান বলেন, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসবাদের প্রতিবাদ করায় আজ সারাদেশে জুলাই আন্দোলনের সাথে জড়িত জীবিত ও শহীদ পরিবারকে টার্গেট করে হামলা চালানো হচ্ছে। শহীদ পরিবারের সদস্যকে ধর্ষণ করা হচ্ছে, হামলা নির্যাতন করা হচ্ছে এবংকি শহীদদের কবরও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। আর এই সবের পেছনে বারবার একটি নির্দিষ্ট দলের নেতা কর্মীদের নামই বারবার উঠে আসছে। রাজনৈতিক প্রভাববিস্তার করার জন্য স্বৈরাচারেরে দোষরদের নিজ দলে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়, তারা কখনো দেশের উন্নতি সক্ষম নয়।
এছাড়াও তিনি প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। তিনি বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা এখনো জনগনের সাথে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি না করে প্রভাবশালীদের ফরমান বাস্তবায়ন করার মনোভাব পোষণ করছে। যা অকাম্য।

শহীদ রাজনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে মিরপুর ১০ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফয়জুল ইসলাম রাজন। পরে কেরানীগঞ্জের বাহেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। পরবর্তী সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে ওই কবরের চারপাশে সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজ চলছিল।

শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তারানগর ইউনিয়নের উত্তর বাহেরচর এলাকার বাহেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে শহীদ ফয়জুল ইসলাম ওরফে রাজনের কবর ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

রাজনের বড় ভাই মোহাম্মদ রাজু বলেন, আমাদের দাবি আনোয়ারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। যাতে আর কেউ শহীদদের এভাবে অসম্মান করতে না পারে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তারা নগর ইউনিয়ন আমির, সংগঠন টির ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি ও অন্যান্য নেতা কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর করেরগাঁও এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শহীদ সায়েম হোসেনের কবরও ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভারতের ৭৭টি ড্রোন ভূপাতিত করল পাকিস্তান

জুলাই বিপ্লবকে অস্বীকারকারীরা শহীদদের স্মৃতিও মুছে দিতে চায় – ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌফিক হাসান

আপডেট সময় ০৮:২০:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

স্বৈরাচার হাসিনার পতনে দলীয় অবদান না থাকায় জুলাই বিপ্লবকে অস্বীকারকারীরা শহীদ পরিবারের উপর হামলা, নির্যাতনের পাশাপাশি শহীদদের স্মৃতিও মুছে দিতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক ঢাকা-২ সাংসদীয় আসনের মনোনিত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌফিক হাসান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিতে নিহত শহীদ ফয়জুল ইসলাম ওরফে রাজনের কবর ভাঙচুরের ঘটনায় সোমবার ২৮ এপ্রিল বিকেলে শহীদের কবর পরিদর্শন ও কবর জিয়ারত করতে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিনি ঘটনার তিব্র নিন্দা জানিয়ে এই মন্তব্য করেন।

এসময় তিনি আরো বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর আওয়ামী জালেম স্বৈরাচারী সরকারের পুলিশি মিথ্যা মামলা ও হামলার কারনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীসহ অন্যান্য দলগুলোর সাধারণ কর্মী সমর্থকরাও ঘরে থাকতে পারেনি। সেই জালেমের হাত থেকে শহীদ রাজনের মতো ছাত্ররা তাদের জীবনের বিনিময়ে দ্বিতীয় স্বাধীনতা অর্জন করে দিয়ে আমাদের মুক্ত বাতাসে আবার কথা বলার ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমরা তাদের প্রতি চির কৃতজ্ঞ থাকিবো।

তিনি বলেন, জুলাইয়ের আন্দোলনে একটি দলের প্রকাশ্য কোনো উল্লখযোগ্য ভূমিকা না থাকায় শুধুমাত্র স্বার্থের কারনে তারা জুলাইয়ের ছাত্র সমাজের অবদানকে প্রতিনিয়ত অস্বীকারের পাশাপাশি কটাক্ষ করেই চলেছে। তা তাদের রাজনৈতিক দুরদর্শিতার অভাব ও আদর্শিক সংকট বলে তিনি আরো বলেন, তারা দ্বিতীয় স্বাধীনতার চাইতেও তাদের চাঁদাবাজি ও লুটপাটের স্বাধীনতাকে প্রধান্য দিচ্ছে।তাই ছাত্রদের অবদানকে ভূলে গিয়েছে তারা মূলত অকৃতজ্ঞ ও নিষ্ঠুর।

ইঞ্জিনিয়ার মোঃ তৌফিক হাসান বলেন, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসবাদের প্রতিবাদ করায় আজ সারাদেশে জুলাই আন্দোলনের সাথে জড়িত জীবিত ও শহীদ পরিবারকে টার্গেট করে হামলা চালানো হচ্ছে। শহীদ পরিবারের সদস্যকে ধর্ষণ করা হচ্ছে, হামলা নির্যাতন করা হচ্ছে এবংকি শহীদদের কবরও নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। আর এই সবের পেছনে বারবার একটি নির্দিষ্ট দলের নেতা কর্মীদের নামই বারবার উঠে আসছে। রাজনৈতিক প্রভাববিস্তার করার জন্য স্বৈরাচারেরে দোষরদের নিজ দলে আশ্রয় প্রশ্রয় দেয়, তারা কখনো দেশের উন্নতি সক্ষম নয়।
এছাড়াও তিনি প্রশাসনের নিরপেক্ষতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেন। তিনি বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তারা এখনো জনগনের সাথে সম্পৃক্ততা বৃদ্ধি না করে প্রভাবশালীদের ফরমান বাস্তবায়ন করার মনোভাব পোষণ করছে। যা অকাম্য।

শহীদ রাজনের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে মিরপুর ১০ এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফয়জুল ইসলাম রাজন। পরে কেরানীগঞ্জের বাহেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তার লাশ দাফন করা হয়। পরবর্তী সময়ে সরকারের পক্ষ থেকে ওই কবরের চারপাশে সীমানা দেয়াল নির্মাণের কাজ চলছিল।

শনিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তারানগর ইউনিয়নের উত্তর বাহেরচর এলাকার বাহেরচর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে শহীদ ফয়জুল ইসলাম ওরফে রাজনের কবর ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।

রাজনের বড় ভাই মোহাম্মদ রাজু বলেন, আমাদের দাবি আনোয়ারের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে আসা হোক। যাতে আর কেউ শহীদদের এভাবে অসম্মান করতে না পারে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী তারা নগর ইউনিয়ন আমির, সংগঠন টির ৩ নং ওয়ার্ড সভাপতি ও অন্যান্য নেতা কর্মীরা।

প্রসঙ্গত, গত ১৫ মার্চ দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের আব্দুল্লাহপুর করেরগাঁও এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত শহীদ সায়েম হোসেনের কবরও ভাঙচুর করে দুর্বৃত্তরা।