ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচ অভিযোগ Logo সিভিল সার্জনরা মন থেকে চাইলে সেবার মান ২৫ শতাংশ উন্নতি সম্ভব : প্রধান উপদেষ্টা Logo বাঁশখালীতে বজ্রপাতে একজনের মৃত্যু Logo তীব্র গরমে বাগেরহাটের মাঠে হাহাকার’পান-সবজি-মাছ চাষে বিপর্যয় Logo ফেসবুক-ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার Logo ‘জামায়াত-শিবিরকে কাজে লাগানো শেষ’ এখন পাকিস্তানপন্থি -রাশেদ খাঁন Logo শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে জুলাই গণহত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল Logo নাটোরে বিএনপি অফিসে সেনাবাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ১ Logo নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা মৌলভীবাজারে আটক Logo আওয়ামী লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ায় তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় গরু ভোজ

সাগরে দ্বীপ দখল করল চীন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে উত্তেজনা

 

দক্ষিণ চীন সাগরে একটি দ্বীপ দখল করেছে চীন। এ নিয়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ দখলের অভিযোগে আবারও উত্তেজনা বাড়ছে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, চীনা কোস্টগার্ড এপ্রিলের শুরুতে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের সান্ডি কেতে সামুদ্রিক নিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌম কর্তৃত্ব প্রয়োগ করেছে।

সিসিটিভির প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, চারজন চীনা কর্মকর্তা কালো পোশাক পরে চীনের জাতীয় পতাকা হাতে বিতর্কিত ওই বালুচরে দাঁড়িয়ে আছেন।

ফিলিপাইন সরকার জানিয়েছে, তারা তিনটি বালুর দ্বীপে অবতরণ করেছে এবং একটি ছবিও প্রকাশ করেছে যেখানে ফিলিপিনো কর্মকর্তারা একইভাবে জাতীয় পতাকা ধারণ করে ছবি তুলেছেন, যা অনেকটা চীনা ছবির অনুকরণে করা হয়েছে। তবে এখনো নিশ্চিত নয়, ফিলিপিনো বাহিনী সান্ডি দ্বীপে অবতরণ করেছে কিনা।

ফিলিপাইনের ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স ওয়েস্ট ফিলিপাইন সি (এনটিএফ-ডব্লিউপিএস) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এক বালুচরের কাছাকাছি ১,০০০ গজ দূরে একটি চীনা কোস্টগার্ড জাহাজ এবং সাতটি চীনা মিলিশিয়া নৌযান লক্ষ্য করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযান আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সমুদ্র অঞ্চলের অধিকারের প্রতি ফিলিপাইন সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

সান্ডি কে দ্বীপটি ফিলিপাইনের থিতু দ্বীপ সামরিক পোস্টের কাছাকাছি। এলাকাটি থেকে ম্যানিলা অঞ্চলে চীনা চলাচল পর্যবেক্ষণ করে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো স্থায়ী চীনা দখলের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি এবং কোস্টগার্ডের নৌযান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে বলেও জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস এই ঘটনা সম্পর্কে বলেছে, যদি এটি সত্যি হয় তবে তা গভীর উদ্বেগের বিষয়। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জেমস হিউইট বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।

এই ঘটনাটি এমন সময় ঘটলো যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন বার্ষিক সামরিক মহড়া ‘বালিকাতান’ চালাচ্ছে। এই মহড়ায় প্রায় ১৭,০০০ সৈন্য অংশ নিচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-শিপ মিসাইল নেমেসিস মোতায়েন করা হয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অঞ্চল নিয়ে বিবাদ চললেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তেজনা বিশেষভাবে বেড়েছে। চীন তাদের তথাকথিত ‘নাইন-ড্যাশ লাইন’ দাবি করে সমুদ্রের বিশাল অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করে, যেখানে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইও পৃথক পৃথক দাবি করে আসছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী পাঁচ অভিযোগ

সাগরে দ্বীপ দখল করল চীন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে উত্তেজনা

আপডেট সময় ১০:১২:৫১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৮ এপ্রিল ২০২৫

 

দক্ষিণ চীন সাগরে একটি দ্বীপ দখল করেছে চীন। এ নিয়ে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে তাদের সম্পর্কে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।

সোমবার (২৮ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দক্ষিণ চীন সাগরের একটি ক্ষুদ্র দ্বীপ দখলের অভিযোগে আবারও উত্তেজনা বাড়ছে চীন ও ফিলিপাইনের মধ্যে। চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, চীনা কোস্টগার্ড এপ্রিলের শুরুতে স্প্র্যাটলি দ্বীপপুঞ্জের সান্ডি কেতে সামুদ্রিক নিয়ন্ত্রণ ও সার্বভৌম কর্তৃত্ব প্রয়োগ করেছে।

সিসিটিভির প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, চারজন চীনা কর্মকর্তা কালো পোশাক পরে চীনের জাতীয় পতাকা হাতে বিতর্কিত ওই বালুচরে দাঁড়িয়ে আছেন।

ফিলিপাইন সরকার জানিয়েছে, তারা তিনটি বালুর দ্বীপে অবতরণ করেছে এবং একটি ছবিও প্রকাশ করেছে যেখানে ফিলিপিনো কর্মকর্তারা একইভাবে জাতীয় পতাকা ধারণ করে ছবি তুলেছেন, যা অনেকটা চীনা ছবির অনুকরণে করা হয়েছে। তবে এখনো নিশ্চিত নয়, ফিলিপিনো বাহিনী সান্ডি দ্বীপে অবতরণ করেছে কিনা।

ফিলিপাইনের ন্যাশনাল টাস্ক ফোর্স ওয়েস্ট ফিলিপাইন সি (এনটিএফ-ডব্লিউপিএস) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা এক বালুচরের কাছাকাছি ১,০০০ গজ দূরে একটি চীনা কোস্টগার্ড জাহাজ এবং সাতটি চীনা মিলিশিয়া নৌযান লক্ষ্য করেছে। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই অভিযান আমাদের দেশের সার্বভৌমত্ব এবং সমুদ্র অঞ্চলের অধিকারের প্রতি ফিলিপাইন সরকারের দৃঢ় অঙ্গীকারের প্রতিফলন।

সান্ডি কে দ্বীপটি ফিলিপাইনের থিতু দ্বীপ সামরিক পোস্টের কাছাকাছি। এলাকাটি থেকে ম্যানিলা অঞ্চলে চীনা চলাচল পর্যবেক্ষণ করে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো স্থায়ী চীনা দখলের ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি এবং কোস্টগার্ডের নৌযান ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছে বলেও জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের হোয়াইট হাউস এই ঘটনা সম্পর্কে বলেছে, যদি এটি সত্যি হয় তবে তা গভীর উদ্বেগের বিষয়। মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জেমস হিউইট বলেছেন, এ ধরনের পদক্ষেপ আঞ্চলিক স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলছে এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে।

এই ঘটনাটি এমন সময় ঘটলো যখন যুক্তরাষ্ট্র ও ফিলিপাইন বার্ষিক সামরিক মহড়া ‘বালিকাতান’ চালাচ্ছে। এই মহড়ায় প্রায় ১৭,০০০ সৈন্য অংশ নিচ্ছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও অ্যান্টি-শিপ মিসাইল নেমেসিস মোতায়েন করা হয়েছে।

দক্ষিণ চীন সাগরে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অঞ্চল নিয়ে বিবাদ চললেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে উত্তেজনা বিশেষভাবে বেড়েছে। চীন তাদের তথাকথিত ‘নাইন-ড্যাশ লাইন’ দাবি করে সমুদ্রের বিশাল অঞ্চল নিজেদের বলে দাবি করে, যেখানে ভিয়েতনাম, ফিলিপাইন, তাইওয়ান, মালয়েশিয়া ও ব্রুনেইও পৃথক পৃথক দাবি করে আসছে।