বরগুনা সদর উপজেলায় সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। গত ৫ মার্চ ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় এই মামলা করেন। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার একমাত্র আসামি সীজিব চন্দ্র রায়কে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকেই বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন অভিযুক্তের বাবা শ্রীরাম চন্দ্র রায়। কিন্তু, বাদী মামলা তুলে নেননি। এজন্য তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে নিজ বাড়ির পেছন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতের স্ত্রী বলেন, ‘‘গত রাতে বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় স্বামীর মোবাইলে করি। সে সময় বাড়ির পেছন থেকে তার মোবাইলের রিংটোনের শব্দ ভেসে আসছিল। দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি, তার মরদেহ পড়ে আছে।’’
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘গত ৪ মার্চ আমার সপ্তম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণ করে সীজিব চন্দ্র রায়। পরদিন এ ঘটনায় ওর বাবা বাদী হয়ে মামলা করেন। পুলিশ ওই দিনই সীজিবকে গ্রেপ্তারের পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। এরপর থেকেই মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিল সিজীবের বাবা শ্রীরাম চন্দ্র রায়। মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে হত্যা করেছে শ্রীরাম।’’
বাদীপক্ষের আইনজীবী বাবুল দাস বলেন, আদালতে আজ ধর্ষণ মামলার তারিখ ধার্য ছিল। এর আগে, বাদীকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন শ্রীরাম চন্দ্র রায়। আজ তার মরদেহ পাওয়া গেল।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আবদুল হালিম এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধর্ষণ মামলার বাদীকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। তবে, এ ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অভিযুক্ত শ্রীরাম চন্দ্র রায়সহ ৪ জনকে আটক করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।