ঢাকা ০৫:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ মার্চ ২০২৫, ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বেনাপোল ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন ও সমাবেশ

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বেনাপোল পোর্ট থানা শাখার উদ্যোগে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ ) এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান বক্তারা।

এসম ছাত্রশিবির বেনাপোল শাখার মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি কে এম জারিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে ধর্ষকদের বিচারের বিষয়ে ইসলামী শরিয়াহর বিধান উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আড়াই হাজার বছর আগেই ধর্ষকদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিয়েছেন, যা আজও প্রাসঙ্গিক।” তিনি বর্তমান প্রশাসনকে ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া, তিনি মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির দাবি করেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বর্তমান প্রশাসন ৯০ ভাগ স্বৈরাচার হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।” তিনি নারী অধিকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি প্রশ্ন রাখেন, “বিগত বছরগুলোতে ধর্ষণ ও এ ধরনের অপরাধের বিচার কতটুকু নিশ্চিত হয়েছে?” পাশাপাশি, তিনি চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, ডাকাতি ইত্যাদি অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশের প্রধান অতিথি ও বেনাপোল থানা শাখার সভাপতি মাহাদী হাসান তার বক্তব্যে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করে তিনি বলেন, “মা-বোনের চরিত্র হরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দেওয়া প্রয়োজন। তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি সমাজের সকল স্তরে নারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

বক্তব্য পরবর্তী প্রোগ্রামের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও নারী-শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

উল্লেখ,বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এর বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আইন বিশেষজ্ঞরা ধর্ষণের সংজ্ঞা ও বিচার প্রক্রিয়ায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের বিষয়েও আইনি ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনি সংস্কারের দাবিকে আরও জোরালো করে তুলেছে। আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

মাগুরার শিশুটির অবস্থার আরো অবনতি: প্রেসসচিব

বেনাপোল ধর্ষণের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের মানববন্ধন ও সমাবেশ

আপডেট সময় ০২:২২:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫

বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির বেনাপোল পোর্ট থানা শাখার উদ্যোগে ধর্ষণের প্রতিবাদ ও ধর্ষকদের বিচারের দাবিতে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি ও প্রতিবাদ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ ) এই কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারীরা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে বক্তব্য রাখেন এবং অপরাধীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানান বক্তারা।

এসম ছাত্রশিবির বেনাপোল শাখার মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি কে এম জারিদুল ইসলাম তার বক্তব্যে ধর্ষকদের বিচারের বিষয়ে ইসলামী শরিয়াহর বিধান উল্লেখ করে তিনি বলেন, “আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আড়াই হাজার বছর আগেই ধর্ষকদের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান দিয়েছেন, যা আজও প্রাসঙ্গিক।” তিনি বর্তমান প্রশাসনকে ধর্ষকদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোর প্রতি আহ্বান জানান। এছাড়া, তিনি মিথ্যা ধর্ষণ মামলা দায়েরকারীদের বিরুদ্ধেও কঠোর শাস্তির দাবি করেন।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, “বর্তমান প্রশাসন ৯০ ভাগ স্বৈরাচার হাসিনার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে, যা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিকে আরও অবনতির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।” তিনি নারী অধিকার ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর প্রতি প্রশ্ন রাখেন, “বিগত বছরগুলোতে ধর্ষণ ও এ ধরনের অপরাধের বিচার কতটুকু নিশ্চিত হয়েছে?” পাশাপাশি, তিনি চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, ডাকাতি ইত্যাদি অপরাধের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।

সমাবেশের প্রধান অতিথি ও বেনাপোল থানা শাখার সভাপতি মাহাদী হাসান তার বক্তব্যে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি কামনা করে তিনি বলেন, “মা-বোনের চরিত্র হরণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর হুশিয়ারি দেওয়া প্রয়োজন। তাদের উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।” তিনি সমাজের সকল স্তরে নারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদা রক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধির ওপর জোর দেন।

বক্তব্য পরবর্তী প্রোগ্রামের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়। এই মানববন্ধন ও প্রতিবাদ মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ও নারী-শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানান।

উল্লেখ,বাংলাদেশে ধর্ষণের ঘটনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, এবং এর বিচার প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রিতার কারণে ভুক্তভোগীরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। আইন বিশেষজ্ঞরা ধর্ষণের সংজ্ঞা ও বিচার প্রক্রিয়ায় সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন। এছাড়া, ধর্ষণের শিকার ব্যক্তিদের ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের বিষয়েও আইনি ব্যবস্থা জোরদার করার আহ্বান জানানো হয়েছে।

এই প্রতিবাদ কর্মসূচি ধর্ষণের বিরুদ্ধে সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি ও আইনি সংস্কারের দাবিকে আরও জোরালো করে তুলেছে। আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই বিষয়ে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।