ঢাকা ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অগাস্ট ২০২৫, ৬ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চীন সফরে গেলেন সেনাপ্রধান Logo শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে তোফের মুখে পড়ে ফেনী ইউনিভার্সিটির ভিসির পদত্যাগ Logo এক্সপ্রেসওয়েতে দ্রুতগতির প্রাইভেটকার প্রাইভেটকার উল্টে প্রাণ গেল ৩ জনের Logo জুলাই সনদের সমন্বিত খসড়া নিয়ে আপত্তি বিএনপির Logo টিভিতে আজকে যে খেলা দেখবেন Logo ভারতের মাটিতে বাংলাদেশবিরোধী কর্মকাণ্ডের কোনো তথ্য নেই: রণধীর জয়সওয়াল Logo ৫০ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ব্যবসায়ীর বাড়িতে প্রকাশ্যে গুলি Logo উত্তরের জনপদে যোগাযোগ উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে ‘মাওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন Logo জুলাইয়ে রাজস্ব আদায় ২৭ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা, প্রবৃদ্ধি ২৪ শতাংশ Logo বহুল প্রত্যাশিত ‘মওলানা ভাসানী সেতু’ উদ্বোধন

নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে মতলব উত্তরের সোনাপাড়ার ফসলী জমি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের সোনাপাড়া গ্রামে মেঘনার ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রামটির নদীতীরবর্তী প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
২৫ এপ্রিল (শুক্রবার বার) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার কৃষকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন। প্রতিনিয়ত নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে তাদের একের পর এক জমি। কৃষক কাশেম বলেন, “আমার বড় বড় তিনটি জমি ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে, এখন শেষটুকুও হুমকির মুখে। এই জমি হারালে আমার ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।”
শুধু কাশেম নয়, একই দুর্দশার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক আজিজ, ওমরসহ শতাধিক পরিবার। নদীর ভাঙনে অনেকে বাড়িঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায় কিংবা ফুটপাতে।
এলাকার বাসিন্দা তমিজ, রমিজদের মতো অসংখ্য মানুষ দিন কাটাচ্ছেন অজানা আতঙ্কে। তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে ব্লক ফেলে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে ফসলী জমি রক্ষা করা হোক। নইলে অচিরেই হাজারো কৃষক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।

 

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

চীন সফরে গেলেন সেনাপ্রধান

নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে মতলব উত্তরের সোনাপাড়ার ফসলী জমি

আপডেট সময় ০৭:১৩:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজীকান্দি ইউনিয়নের সোনাপাড়া গ্রামে মেঘনার ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। ইতোমধ্যে গ্রামটির নদীতীরবর্তী প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকার অধিকাংশ ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
২৫ এপ্রিল (শুক্রবার বার) বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা ধনাগোদা বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকার কৃষকেরা চরম হতাশায় ভুগছেন। প্রতিনিয়ত নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে তাদের একের পর এক জমি। কৃষক কাশেম বলেন, “আমার বড় বড় তিনটি জমি ইতোমধ্যে ভেঙে গেছে, এখন শেষটুকুও হুমকির মুখে। এই জমি হারালে আমার ভিক্ষা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।”
শুধু কাশেম নয়, একই দুর্দশার কথা জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষক আজিজ, ওমরসহ শতাধিক পরিবার। নদীর ভাঙনে অনেকে বাড়িঘর হারিয়ে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েছেন। কেউ কেউ পরিবার নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন রাস্তায় কিংবা ফুটপাতে।
এলাকার বাসিন্দা তমিজ, রমিজদের মতো অসংখ্য মানুষ দিন কাটাচ্ছেন অজানা আতঙ্কে। তারা সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন, অবিলম্বে ব্লক ফেলে প্রতিরক্ষা দেয়াল নির্মাণের মাধ্যমে ফসলী জমি রক্ষা করা হোক। নইলে অচিরেই হাজারো কৃষক পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাবে, যা এই অঞ্চলের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।