ঢাকা ০৭:২২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে মতলব উত্তরের সোনাপাড়ার ফসলী জমি Logo সুবিপ্রবি কেন্দ্রে ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন Logo ইসরায়েলে ভয়াবহ দাবানলে প্রায় আড়াই হাজার একর বন পুড়ে ছাই Logo আলোচিত সেই ময়ূখকে ‘গাধা’ বললেন অভিনেতা ঋত্বিক Logo পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে কাতার ছেড়েছেন প্রধান উপদেষ্টা Logo আমরা দেশকে এমনভাবে গড়ব যেখানে নতুন করে কোনো ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না: আমীরে জামায়াত Logo নতুন উপদেষ্টা হলেন ওমর সানী Logo পানির জন্য কি পাকিস্তান পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করবে? Logo কাশ্মীর সীমান্তে ভারত ও পাকিস্তান সেনাদের গোলাগুলি Logo ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ ধৈর্য’ ধরতে বললেন জাতিসংঘ মহাসচিব

মৌলভীবাজারে মাদ্রাসায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শ্রমিকদল নেতার হামলা; আটক ৩

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে মাদ্রাসায় হামলাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি সন্ত্রাসী চান মিয়াসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুর আবাসিক এলাকাধীন চান মিয়ার বসতবাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসা বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছিল ওই এলাকার চান মিয়া। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের ওই এরিয়ার রাস্তার পাশে চান মিয়ার বাড়ি। চান মিয়া মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত এবং এই রাস্তা বন্ধ করতেই সে ড্রেন বন্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল, যাতে তার মাদক ব্যবসা সহজ হয়। মাদ্রাসার নিজস্ব জায়গায় ড্রেন থাকলেও বৃহষ্পতিবার ( ২৪ এপ্রিল) চান মিয়ার লোকজন মাদ্রাসার পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে দেয়। এর কারণ জানতে চাইলে বাকবিতণ্ডা হয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে এক পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ মাদ্রাসায় হামলা চালায় চান মিয়ার লোকজন। এতে ছাত্র এবং শিক্ষকরা আহত হন। খবর পেলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে চান মিয়াসহ তিন জনকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শ্রমিক দলের শেরপুর আঞ্চলিক শাখার সহ-সভাপতি চান মিয়া (৫০), নবীগঞ্জ উপজেলার মজলিসপুর গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে আব্দুল হামিদ (৩০) ও খালেদ মিয়া (২৮)।

মৌলভীবাজার জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম বলেন, আমার ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদকের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি, সে আমাদের শেরপুর আঞ্চলিক শাখার সদস্য নয়।

শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শিপু কুমার দাস বলেন, চান মিয়া মাদ্রাসার ড্রেন বন্ধ করে দিলে বাকবিতণ্ডা হয় এবং পরে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

নদী গর্ভে বিলীন হচ্ছে মতলব উত্তরের সোনাপাড়ার ফসলী জমি

মৌলভীবাজারে মাদ্রাসায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে শ্রমিকদল নেতার হামলা; আটক ৩

আপডেট সময় ০৭:৩৯:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫

মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুরে মাদ্রাসায় হামলাকে কেন্দ্র করে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে আগ্নেয়াস্ত্রসহ শ্রমিক দলের সহ-সভাপতি সন্ত্রাসী চান মিয়াসহ তিনজনকে আটক করা হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে শেরপুর আবাসিক এলাকাধীন চান মিয়ার বসতবাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শেরপুর এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে জামেয়াতুল ফালাহ মাদ্রাসা বন্ধের চেষ্টা চালাচ্ছিল ওই এলাকার চান মিয়া। পানি নিষ্কাশনের ড্রেনের ওই এরিয়ার রাস্তার পাশে চান মিয়ার বাড়ি। চান মিয়া মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত এবং এই রাস্তা বন্ধ করতেই সে ড্রেন বন্ধ করার চেষ্টা করে যাচ্ছিল, যাতে তার মাদক ব্যবসা সহজ হয়। মাদ্রাসার নিজস্ব জায়গায় ড্রেন থাকলেও বৃহষ্পতিবার ( ২৪ এপ্রিল) চান মিয়ার লোকজন মাদ্রাসার পানি নিষ্কাশনের ড্রেন বন্ধ করে দেয়। এর কারণ জানতে চাইলে বাকবিতণ্ডা হয় এবং পরিস্থিতি উত্তপ্ত হলে এক পর্যায়ে আগ্নেয়াস্ত্রসহ মাদ্রাসায় হামলা চালায় চান মিয়ার লোকজন। এতে ছাত্র এবং শিক্ষকরা আহত হন। খবর পেলে পুলিশ ও যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থলে এসে চান মিয়াসহ তিন জনকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শ্রমিক দলের শেরপুর আঞ্চলিক শাখার সহ-সভাপতি চান মিয়া (৫০), নবীগঞ্জ উপজেলার মজলিসপুর গ্রামের বশির মিয়ার ছেলে আব্দুল হামিদ (৩০) ও খালেদ মিয়া (২৮)।

মৌলভীবাজার জেলা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক সেলিম বলেন, আমার ইউনিটের সাংগঠনিক সম্পাদকের মাধ্যমে নিশ্চিত হয়েছি, সে আমাদের শেরপুর আঞ্চলিক শাখার সদস্য নয়।

শেরপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শিপু কুমার দাস বলেন, চান মিয়া মাদ্রাসার ড্রেন বন্ধ করে দিলে বাকবিতণ্ডা হয় এবং পরে মাদ্রাসার ছাত্র-শিক্ষকদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত ৩ জনকে আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক করেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।