ঢাকা ০২:০৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হিযবুত তাহরীরের ১৭ সদস্যের ৫ দিনের রিমান্ড

রাজধানীর পল্টন মোড় এল মল্লিকের সামনে মার্চ ফর খেলাফতের মিছিল থেকে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহ্‌রীরের ১৭ সদস্যের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন আব্দুল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, আহমেদ নাফিস মোর্শেদ, শাহাদাত হোসেন, তানভির মাহতাব রাফাত, আবু শোহাইব, আশফাক আহম্মেদ, সাব্বির হোসাইন, রিফাত ইসলাম রিশাদ, আল রাফি সাজ্জাদ, রেদোয়ান বিন শহিদুল, মিয়াজী আব্দুল্লাহ আল মুত্তাকী, হাবিবুর রহমান, হেলাল উদ্দিন, আসাদুজ্জামান নূর, তানিম সিকদার সিহাব, আহমেদ নাসিফ কবির কাব্য।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর ইসলাম সন্ত্রাস বিরোদ আইনের মামলায় আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ৭ মার্চ দুপুর ২ টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইট থেকে অজ্ঞাতনামা ২০০০/২২০০ জন ব্যক্তি সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহ্‌রীর, উলাইয়াহ্ বাংলাদেশ ব্যানারে ‘মার্চ ফর খেলাফত’ নামে মিছিল বের করে। এরপর তারা পল্টন মোড়ের দিকে যেতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়।

আসামিরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে পল্টন মডেল থানার পল্টন মোড় এল মল্লিকের সামনে পাকা রাস্তার ওপর সরকারবিরোধী, দেশের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করার প্রয়াসে পতাকা, ব্যানার, লাঠিসোটা নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে থাকে। তখন পল্টন মোড় এলাকায় ডিউটিরত পুলিশ ফোর্স মিছিল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

এতে আরও বলা হয়, তখন পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ জান-মাল রক্ষার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অবৈধ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গ্যাসগান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। তবুও নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে তাদের ব্যবহৃত পতাকা, শ্লোগান ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য ও সমর্থক। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

এই ঘটনায় পল্টন থানায় এসআই রাসেল মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

হিযবুত তাহরীরের ১৭ সদস্যের ৫ দিনের রিমান্ড

আপডেট সময় ০৮:৩৪:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ মার্চ ২০২৫

রাজধানীর পল্টন মোড় এল মল্লিকের সামনে মার্চ ফর খেলাফতের মিছিল থেকে গ্রেপ্তার নিষিদ্ধ সংগঠন হিজবুত তাহ্‌রীরের ১৭ সদস্যের পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা রহমান শুনানি শেষে এই রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন আব্দুল্লাহ, তরিকুল ইসলাম, আহমেদ নাফিস মোর্শেদ, শাহাদাত হোসেন, তানভির মাহতাব রাফাত, আবু শোহাইব, আশফাক আহম্মেদ, সাব্বির হোসাইন, রিফাত ইসলাম রিশাদ, আল রাফি সাজ্জাদ, রেদোয়ান বিন শহিদুল, মিয়াজী আব্দুল্লাহ আল মুত্তাকী, হাবিবুর রহমান, হেলাল উদ্দিন, আসাদুজ্জামান নূর, তানিম সিকদার সিহাব, আহমেদ নাসিফ কবির কাব্য।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, পল্টন মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নূর ইসলাম সন্ত্রাস বিরোদ আইনের মামলায় আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, ৭ মার্চ দুপুর ২ টার দিকে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেইট থেকে অজ্ঞাতনামা ২০০০/২২০০ জন ব্যক্তি সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিজবুত তাহ্‌রীর, উলাইয়াহ্ বাংলাদেশ ব্যানারে ‘মার্চ ফর খেলাফত’ নামে মিছিল বের করে। এরপর তারা পল্টন মোড়ের দিকে যেতে থাকলে পুলিশ বাধা দেয়।

আসামিরা পুলিশের বাধা উপেক্ষা করে দুপুর ২টা ১০ মিনিটের দিকে পল্টন মডেল থানার পল্টন মোড় এল মল্লিকের সামনে পাকা রাস্তার ওপর সরকারবিরোধী, দেশের সার্বভৌমত্বকে আঘাত করার প্রয়াসে পতাকা, ব্যানার, লাঠিসোটা নিয়ে স্লোগান দিয়ে মিছিল করতে থাকে। তখন পল্টন মোড় এলাকায় ডিউটিরত পুলিশ ফোর্স মিছিল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা পুলিশের প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

এতে আরও বলা হয়, তখন পুলিশ আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ জান-মাল রক্ষার্থে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে অবৈধ মিছিলকে ছত্রভঙ্গ করার জন্য গ্যাসগান ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। তবুও নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ অব্যাহত রাখে। এরপর আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনাস্থল থেকে তাদের ব্যবহৃত পতাকা, শ্লোগান ও আনুষঙ্গিক কার্যক্রম দেখে নিশ্চিত হওয়া যায়, তারা নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর সক্রিয় সদস্য ও সমর্থক। তাদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

এই ঘটনায় পল্টন থানায় এসআই রাসেল মিয়া বাদী হয়ে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা দায়ের করেন।