রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান তারকা ফরোয়ার্ড ভিনিসিয়ুস জুনিয়র বড় ধরনের বিপাকে পড়েছেন। পেশাদার ফুটবলার হিসেবে একাধিক ক্লাবের মালিকানায় যুক্ত থাকার অভিযোগে ফিফার এথিক্স কমিটির কাছে তার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা পড়েছে। ইতালিয়ান বিখ্যাত সাংবাদিক জিয়ানলুকা দি মার্জিওর এবং ফ্যাব্রিজিও রোমানো জানিয়েছে, অভিযোগকারী পক্ষ ভিনিসিয়ুসের উপর দুই বছরের নিষেধাজ্ঞা আরোপের আবেদন করেছে।
গত ৭ এপ্রিল ‘তিবেরিস হোলদিং দো ব্রাজিল’ নামক একটি ব্রাজিলিয়ান কোম্পানি এই অভিযোগ দায়ের করে। তাদের মূল বক্তব্য হলো, একজন সক্রিয় পেশাদার ফুটবলার হিসেবে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনো ক্লাবের মালিক হতে পারেন না। এটি ফিফার নিয়ম অনুযায়ী স্বার্থের সংঘাত তৈরি করে এবং প্রতিযোগিতার স্বচ্ছতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তোলে।
অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছে ‘অল আজেন্সিয়ামেন্তো এস্পোর্তিভো’ নামক একটি প্রতিষ্ঠান,যেটি ভিনিসিয়ুসের বাবা এবং তার এজেন্ট থাসসিলো সোয়ারেস পরিচালনা করেন। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ভিনিসিয়ুস ব্রাজিলের ক্লাব ‘অ্যাথলেটিক ক্লাব দে সাও জোয়াও দেল রেই’ -এর অংশীদার হয়েছেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে। ক্লাবটি সম্প্রতি ব্রাজিলের দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগ,সিরি বি-তে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।
অভিযোগকারী তিবেরিস কোম্পানির দাবি,সাও জোয়াও দেল রেই ক্লাবে তাদের ১৬.৫ শতাংশ শেয়ার থাকা সত্ত্বেও,ক্লাবের শেয়ার বিক্রির সময় তাদের আইনগত অধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। যদিও সাও পাওলোর একটি আদালত আপাতত এই শেয়ার বিক্রি স্থগিত করেছে এবং বিষয়টি নিয়ে মধ্যস্থতা চলছে, তিবেরিসের অভিযোগ,ভিনিসিয়ুসের কোম্পানি এর মধ্যেই ক্লাবের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ করা শুরু করেছে।
শুধু এই একটি ক্লাবই নয়,ভিনিসিয়ুসের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে পর্তুগালের ক্লাব আলভেরসার সঙ্গেও। সাও জোয়াও দেল রেই ক্লাব থেকে রাফায়েল কনসেইসাও নামের একজন খেলোয়াড়কে আলভেরসাতে ধারে পাঠানো হয়েছে,যা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে অভিযোগকারী পক্ষ।
তিবেরিস তাদের অভিযোগে ফিফার এথিক্স কোডের আর্টিকেল ২০ এবং স্পেনের সংশ্লিষ্ট আইনের আর্টিকেল ২২-এর লঙ্ঘনের কথা উল্লেখ করেছে। এই ধরণের নৈতিক লঙ্ঘনের শাস্তি হিসেবে জরিমানা,সংশ্লিষ্ট ক্লাব বা ক্লাবের শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার নির্দেশ,এমনকি অভিযুক্ত খেলোয়াড়কে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ করার মতো পদক্ষেপও নিতে পারে ফিফা।
ফিফা বর্তমানে অভিযোগটি খতিয়ে দেখছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে কী শাস্তি হবে তা ফিফার চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের পরই জানা যাবে। তবে এই অভিযোগ যে রিয়াল মাদ্রিদের তরুণ এই তারকাকে বেশ ভালোই বিপাকে ফেলেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।