উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পর্যাপ্ত সহায়তাসহ তিন দফা দাবিতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জুলাই গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যরা।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনে আহত অন্তত ৩০ জন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ১ নম্বর গেটের সামনে বসে পড়েন। পরে বিকেল ৫টা ১০ মিনিটের দিকে তারা মূল গেটের সামনে চলে যান এবং সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করেন।
অবস্থান নেওয়া ব্যক্তিরা জানান, জুলাই–আগস্ট আন্দোলনে আহত ও নিহত হয়েছেন এমন ব্যক্তি ও পরিবারের সদস্যরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করছেন। আহতদের ক্যাটাগরি বিন্যাসে বৈষম্যের অবসান, আহত ও তাদের পরিবারের নিরাপত্তার জন্য বিশেষ সুরক্ষা আইন ও হটলাইনে সেবা চালুর দাবি জানান তারা। যতক্ষণ পর্যন্ত এ বিষয়ে সুস্পষ্ট নির্দেশনা না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ অবস্থান কর্মসূচি চলবে।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানে যারা আহত হয়েছেন, তাদের ‘এ’, ‘বি’ ও ‘সি’—এই তিনটি শ্রেণিতে (ক্যাটাগরি) ভাগ করে সরকারি সুবিধা দেওয়া হবে।
প্রথম ক্যাটাগরিতে গুরুতর আহত ব্যক্তিদের এককালীন ৫ লাখ টাকা এবং প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা বলা হয়। দ্বিতীয় ক্যাটাগরিতে এক অঙ্গহানি হয়েছে এমন অবস্থায় যারা আছেন, তাদের এককালীন ৩ লাখ টাকা এবং মাসে ১৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়ার কথা। আর সিদ্ধান্ত অনুসারে তৃতীয় ক্যাটাগরিতে সামান্য আহত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন, ভালো হয়ে গেছেন—তারা অগ্রাধিকারভিত্তিতে চাকরি ও পুনর্বাসনে অগ্রাধিকার পাবেন। কিন্তু ভাতা পাবেন না।
জুলাই আন্দোলনে আহতদের একটি অংশ আজ সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে তিনটি শ্রেণি ভেঙে দুটি শ্রেণি করার দাবি তোলেন। তারা ‘এ’ ও ‘বি’ শ্রেণির আহতদের এককালীন অর্থের পরিমাণ বৃদ্ধির পাশাপাশি সবাইকে ভাতার আওতায় আনার দাবি করেন।
এদিকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সামনে পাঁচটি গাড়িতে করে সেনাসদস্যরা যান। তারা বিক্ষোভকারীদের ঘিরে রাখেন। সন্ধ্যা ৬টার দিকে আন্দোলনকারীরা গামছা, চাদর ও ওড়না পেতে মাগরিবের নামাজ পড়েন।