ঢাকা ১২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সাদা পতাকা উড়িয়ে ভারত আত্মসমর্পণ করেছে, দাবি পাকিস্তানের Logo শ্রীনগরের মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ের সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতির চেষ্টা, অল্পের জন্য গাড়িয়ে সরিয়ে রক্ষা Logo পাক-ভারত সংঘাতের মধ্যে নিজেদের সার্বভৌমত্ব রক্ষার আহ্বান আসিফ-হাসনাতের Logo পাকিস্তানের পাশে দাঁড়াল শক্তিশালী মুসলিম দেশ তুরস্ক Logo হাসিনার নতুন কৌশলে আবারও বিপাকে আ’মীলীগের নেতাকর্মীরা Logo উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগে বার্সেলোনাকে হারিয়ে ফাইনালে ইন্টার মিলান Logo পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতের ফ্রান্সের ও রাশিয়ার তৈরি ৫টি যুদ্ধবিমান ধ্বংস Logo ভারতে হামলা করার অধিকার রয়েছে পাকিস্তানের-শেহবাজ শরিফ Logo ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পাল্টা জবাব দিচ্ছে পাকিস্তান Logo পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে ভারত, নিহত ৮

কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

কুয়েট ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কুয়েটে চলমান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এ অবস্থান কর্মসূচি করেন তারা।

এসময় তারা “এক দুই তিন চার, ভিসি মাসুদের পদত্যাগ” ; “আমার ভাই অনশনে, ইনটেরিম কি করে” ; “দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ” ; “জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো” ; “কুয়েটের সংগ্রাম, চলছে চলবে” ; “এক দফা এক দাবি, মাসুদ তুই কবে যাবি”-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে কুয়েট ভিসির পদত্যাগ প্রসঙ্গে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, “কুয়েটে চলমান ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা সংহতি জানাচ্ছি। ৪২ ঘণ্টা ধরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু এই ইনটেরিম সরকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে কোনেরকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি।”

অনশনের সুত্রপাত তুলে ধরে তিনি বলেন, “বহিরাগত দ্বারা কুয়েটের শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়ে বিচার চাইতে আন্দোলন শুরু করে তারা। তবে উল্টো হামলার ঘটনা তদন্ত করা বা দোষীদের বদলে শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের নামে মামলাও করা হয়।”

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারী কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি আগামী ২ মে আবাসিক হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার এবং ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

সাদা পতাকা উড়িয়ে ভারত আত্মসমর্পণ করেছে, দাবি পাকিস্তানের

কুয়েট ভিসির পদত্যাগের দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের অবস্থান

আপডেট সময় ০৫:৪১:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫

কুয়েট ভিসির পদত্যাগের এক দফা দাবিতে কুয়েটে চলমান অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সংহতি জানিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এ অবস্থান কর্মসূচি করেন তারা।

এসময় তারা “এক দুই তিন চার, ভিসি মাসুদের পদত্যাগ” ; “আমার ভাই অনশনে, ইনটেরিম কি করে” ; “দফা এক দাবি এক, কুয়েট ভিসির পদত্যাগ” ; “জ্বালো রে জ্বালো, আগুন জ্বালো” ; “কুয়েটের সংগ্রাম, চলছে চলবে” ; “এক দফা এক দাবি, মাসুদ তুই কবে যাবি”-সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন।

অবস্থান কর্মসূচিতে কুয়েট ভিসির পদত্যাগ প্রসঙ্গে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ইভান তাহসীভ বলেন, “কুয়েটে চলমান ভিসির পদত্যাগের দাবিতে অনশনরত শিক্ষার্থীদের সাথে আমরা সংহতি জানাচ্ছি। ৪২ ঘণ্টা ধরে অনশনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে অনেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু এই ইনটেরিম সরকার কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন থেকে কোনেরকম প্রতিক্রিয়া দেখা যায় নি।”

অনশনের সুত্রপাত তুলে ধরে তিনি বলেন, “বহিরাগত দ্বারা কুয়েটের শিক্ষার্থীরা হামলার শিকার হয়ে বিচার চাইতে আন্দোলন শুরু করে তারা। তবে উল্টো হামলার ঘটনা তদন্ত করা বা দোষীদের বদলে শিক্ষার্থীদের বহিস্কার করা হয়। এরপর শিক্ষার্থীদের নামে মামলাও করা হয়।”

উল্লেখ্য, গত ১৪ এপ্রিল রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ১০১তম (জরুরি) সিন্ডিকেট সভায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারী কুয়েট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে স্থানীয়দের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি আগামী ২ মে আবাসিক হলগুলো শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার এবং ৪ মে থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এর আগে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় শতাধিক মানুষ আহত হন। পরদিন প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষার্থীরা। ওই দিন দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়।