ঢাকা ০৩:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৫ মার্চ ২০২৫, ২০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘চট্রগ্রামে ডাকাত বলে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা পূর্বপরিকল্পিত’

চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চনখোলা গ্রামের দুই জনকে পিটিয়ে হত্যা করাকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে স্থানীয় জামায়াতের নেতারা। এই ঘটনায় বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচারে জামায়াত নেতারা প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছে। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির নেতারা এই দাবি জানান।

সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি, এওচিয়া ও কাঞ্চনা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি যথাক্রমে মাওলানা কামাল উদ্দিন, মুহাম্মদ তারেক হোছাইন, আবু বক্কর, ফারুক হোসাইন,মাওলানা আবু তাহের,জায়েদ হোসেন যৌথভাবে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গতকাল রাতের হত্যার ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রাম এটি বহু আগে থেকেই সন্ত্রাস কবলিত এলাকা। এওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম প্রকাশ মানিক চেয়ারম্যান ছনখোলা গ্রামের পাহাড়, পাহাড়ি গাছ ও ইটভাটা সমূহ নিয়ন্ত্রণে নিতে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

গ্রামের অনেক মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অসংখ্য মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষের পাহাড়,ভুমি জবর দখল করেছিল। এলাকার মানুষ তার অত্যাচার নিপীড়নে অতিষ্ট হয়ে তাকে বয়কট করে।

নেতারা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকার ও প্রশাসন তাকে সহযোগিতা করার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর সে এলাকা ছেড়ে আত্নগোপন করলেও তার বাহিনী ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বিবৃতিতে তারা দাবি করেন, মানিকের ভাই হারুন ও মমতাজের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সন্ত্রাসীরা এখনো নানা অপকর্মে জড়িত। গতরাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী দূুশাসনে নির্যাতিত,মজলুম ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে বিচারের কথা বলে ডেকে এনে মাইকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডাকাত আখ্যা দিয়ে মূলত গনপিটুনির নামে চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে তার ভাই মমতাজ,হারুনের পরিকল্পনায় কুপিয়ে দুজনকে জঘন্যতম কায়দায় হত্যা করেছে- যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

একইভাবে বিগত ২০১৬ সালে মানিক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জামায়াতের কর্মী কাঞ্চনা বশরকে নির্মমভাবে ছনখোলাতে হত্যা করা হয়েছিল।

অবিলম্বে চিহ্নিত খুনিদের গ্রেফতার, ঘটনার গডফাদারদের বিরুদ্ধে মামলা ও বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করে আসল হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান জামায়াতের নেতারা।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

ছিনতাইকারী অভিযোগ করে দুই ইরানি নাগরিককে গণপিটুনি

‘চট্রগ্রামে ডাকাত বলে দুইজনকে পিটিয়ে হত্যা পূর্বপরিকল্পিত’

আপডেট সময় ০৮:০৬:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৪ মার্চ ২০২৫

চট্রগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার চনখোলা গ্রামের দুই জনকে পিটিয়ে হত্যা করাকে একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেছে স্থানীয় জামায়াতের নেতারা। এই ঘটনায় বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রচারে জামায়াত নেতারা প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়েছে। মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাাঠানো এক বিবৃতিতে দলটির নেতারা এই দাবি জানান।

সাতকানিয়া উপজেলা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি, এওচিয়া ও কাঞ্চনা জামায়াতের আমির ও সেক্রেটারি যথাক্রমে মাওলানা কামাল উদ্দিন, মুহাম্মদ তারেক হোছাইন, আবু বক্কর, ফারুক হোসাইন,মাওলানা আবু তাহের,জায়েদ হোসেন যৌথভাবে ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।

বিবৃতিতে নেতারা বলেন, গতকাল রাতের হত্যার ঘটনাটি একটি পরিকল্পিত ও নৃশংস হত্যাকাণ্ড। এওচিয়া ইউনিয়নের ছনখোলা গ্রাম এটি বহু আগে থেকেই সন্ত্রাস কবলিত এলাকা। এওচিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সন্ত্রাসী নজরুল ইসলাম প্রকাশ মানিক চেয়ারম্যান ছনখোলা গ্রামের পাহাড়, পাহাড়ি গাছ ও ইটভাটা সমূহ নিয়ন্ত্রণে নিতে একাধিকবার সন্ত্রাসী হামলা ও হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে।

গ্রামের অনেক মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অসংখ্য মামলা দিয়ে সাধারণ মানুষের পাহাড়,ভুমি জবর দখল করেছিল। এলাকার মানুষ তার অত্যাচার নিপীড়নে অতিষ্ট হয়ে তাকে বয়কট করে।

নেতারা বলেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী সরকার ও প্রশাসন তাকে সহযোগিতা করার কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। বিগত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর সে এলাকা ছেড়ে আত্নগোপন করলেও তার বাহিনী ধরাছোঁয়ার বাইরে।

বিবৃতিতে তারা দাবি করেন, মানিকের ভাই হারুন ও মমতাজের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে সন্ত্রাসীরা এখনো নানা অপকর্মে জড়িত। গতরাতে পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে আওয়ামী দূুশাসনে নির্যাতিত,মজলুম ব্যবসায়ী নেজাম উদ্দিন ও আবু ছালেককে বিচারের কথা বলে ডেকে এনে মাইকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ডাকাত আখ্যা দিয়ে মূলত গনপিটুনির নামে চেয়ারম্যান মানিকের নির্দেশে তার ভাই মমতাজ,হারুনের পরিকল্পনায় কুপিয়ে দুজনকে জঘন্যতম কায়দায় হত্যা করেছে- যা মানবাধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।

একইভাবে বিগত ২০১৬ সালে মানিক চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে জামায়াতের কর্মী কাঞ্চনা বশরকে নির্মমভাবে ছনখোলাতে হত্যা করা হয়েছিল।

অবিলম্বে চিহ্নিত খুনিদের গ্রেফতার, ঘটনার গডফাদারদের বিরুদ্ধে মামলা ও বিচারের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করে আসল হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জোর দাবি জানান জামায়াতের নেতারা।