ঢাকা ০৯:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo কুষ্টিয়ায় জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ডাকাতির চেষ্টায় গণপিটুনির শিকার সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার Logo জবির আইইআর-এ র‌্যাগিং, ১০ দিনেও উদ্যোগহীন পরিচালক; আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগীরা Logo ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন : সিইসি Logo নাটোরে মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে অন্যতম আসামি স্বাধীন Logo আগামীর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জুলাই মঞ্চ লক্ষ্মীপুরের আলোচনা সভা Logo আগামীর সংবিধানে ইসলামী শ্রমনীতি অন্তর্ভুক্তির বিকল্প নেই Logo চাঁদা না পেয়ে গাজীপুরের পোশাক শ্রমিককে পেটাল ছাত্রদল নেতা Logo সীমাবদ্ধতার মাঝেও নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে কমিশন: সিইসি

যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবনায় গাজা উপত্যকা

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি নতুন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।

ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নতুন এই প্রস্তাবে পাঁচ থেকে সাত বছরের জন্য একটি যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা রয়েছে। এতে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল কায়রো যাওয়ার কথা রয়েছে। আলোচনায় দলটির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন রাজনৈতিক পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ দারবিশ এবং প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া।

উল্লেখ, গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় পুনরায় বোমাবর্ষণ শুরু করে। সেই সময় ইসরায়েল-হামাস উভয় পক্ষই একে অপরকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য দায়ী করে। তবে মধ্যস্থতাকারীদের নতুন প্রস্তাব নিয়ে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

উল্লেখ্য, মাত্র কয়েকদিন আগে হামাস ইসরায়েলের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। ওই প্রস্তাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের দাবি জানানো হয়েছিল, যা হামাস মেনে নেয়নি।

এর আগে শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ বন্ধ করবেন না। জবাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে প্রথমে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে, এরপরই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বিবিসিকে আরও জানান, হামাস ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা গাজার শাসনভার এমন একটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত, যা জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সম্মত একটি সংগঠন হতে পারে। এটি হতে পারে পশ্চিম তীরে অবস্থিত বর্তমান ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) কিংবা নতুন করে গঠিত একটি প্রশাসনিক কাঠামো।

অপরদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, গাজার ভবিষ্যৎ শাসনে পিএ’র কোনো ভূমিকা থাকবে না।

যদিও এই আলোচনার সাফল্য নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, তবুও বিবিসিকে দেওয়া বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, চলমান মধ্যস্থতা চেষ্টাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং হামাস আলোচনায় ‘অভূতপূর্ব নমনীয়তা’ প্রদর্শন করছে, যা অতীতে দেখা যায়নি

জনপ্রিয় সংবাদ

কুষ্টিয়ায় জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত

যুদ্ধবিরতির নতুন প্রস্তাবনায় গাজা উপত্যকা

আপডেট সময় ০৮:১৫:৫৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে একটি নতুন প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছেন কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতাকারীরা।

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (২১ এপ্রিল) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসিকে এমন তথ্য জানিয়েছেন ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক জ্যেষ্ঠ ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা।

ওই কর্মকর্তার বরাত দিয়ে বিবিসি জানিয়েছে, নতুন এই প্রস্তাবে পাঁচ থেকে সাত বছরের জন্য একটি যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনা রয়েছে। এতে ইসরায়েলি জিম্মিদের মুক্তির বিনিময়ে ইসরায়েলের কারাগারে থাকা ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তি, যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

এই প্রস্তাব নিয়ে আলোচনা করতে হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতাদের একটি প্রতিনিধি দল কায়রো যাওয়ার কথা রয়েছে। আলোচনায় দলটির পক্ষ থেকে প্রতিনিধিত্ব করবেন রাজনৈতিক পরিষদের প্রধান মোহাম্মদ দারবিশ এবং প্রধান আলোচক খলিল আল-হাইয়া।

উল্লেখ, গত ১৮ মার্চ ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি ভেঙে গাজায় পুনরায় বোমাবর্ষণ শুরু করে। সেই সময় ইসরায়েল-হামাস উভয় পক্ষই একে অপরকে যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য দায়ী করে। তবে মধ্যস্থতাকারীদের নতুন প্রস্তাব নিয়ে এখন পর্যন্ত ইসরায়েল কোনো আনুষ্ঠানিক মন্তব্য করেনি।

উল্লেখ্য, মাত্র কয়েকদিন আগে হামাস ইসরায়েলের একটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিল। ওই প্রস্তাবে ছয় সপ্তাহের যুদ্ধবিরতির বিনিময়ে হামাসের নিরস্ত্রীকরণের দাবি জানানো হয়েছিল, যা হামাস মেনে নেয়নি।

এর আগে শনিবার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, হামাসকে সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং সব ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্ত না করা পর্যন্ত তিনি যুদ্ধ বন্ধ করবেন না। জবাবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ইসরায়েলকে প্রথমে যুদ্ধের স্থায়ী সমাপ্তির নিশ্চয়তা দিতে হবে, এরপরই জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া সম্ভব।

যুদ্ধবিরতি আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি এক কর্মকর্তা বিবিসিকে আরও জানান, হামাস ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা গাজার শাসনভার এমন একটি ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিতে প্রস্তুত, যা জাতীয় এবং আঞ্চলিক পর্যায়ে সম্মত একটি সংগঠন হতে পারে। এটি হতে পারে পশ্চিম তীরে অবস্থিত বর্তমান ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) কিংবা নতুন করে গঠিত একটি প্রশাসনিক কাঠামো।

অপরদিকে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু আগেই স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, গাজার ভবিষ্যৎ শাসনে পিএ’র কোনো ভূমিকা থাকবে না।

যদিও এই আলোচনার সাফল্য নিয়ে এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না, তবুও বিবিসিকে দেওয়া বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট ফিলিস্তিনি কর্মকর্তা বলেন, চলমান মধ্যস্থতা চেষ্টাকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখা হচ্ছে এবং হামাস আলোচনায় ‘অভূতপূর্ব নমনীয়তা’ প্রদর্শন করছে, যা অতীতে দেখা যায়নি