ঢাকা ০২:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত Logo পাবিপ্রবিতে যথাযোগ্য মর্যাদায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত Logo একুশে বইমেলায় আহমেদ বায়েজীদের ‘মহাকাশে দুঃস্বপ্ন’ Logo ১ মার্চ রোজা হলে ৩৩ বছর পর দেখা মিলবে ‘বিরল’ দিনের Logo এনবিআরের আইভাসে নতুন ১৭২৩ প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন Logo মাছ-মুরগি-চালের দাম কিছুটা কমেছে, কাটেনি সয়াবিন তেল সংকট Logo শহীদ মিনারে বিএনপি নেতার হামলার শিকার কালবেলার সাংবাদিক Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের ক্রীড়া সম্পাদক হলেন ছাত্রদলের সভাপতি Logo ছাত্রদলের ইতিবাচক রাজনীতিকে বিতর্কিত করার হীনচেষ্টা চলছে-রাকিব

হার দিয়ে শুরু টাইগারদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ১০:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 40

হার দিয়ে শুরু টাইগারদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খুব বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ২২৮ রান ঝুলিতে নিয়েও লড়াই করেছে টিম টাইগার্স। যদিও জয়টা পাওয়া হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তদের। শুভমন গিলের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে ভারত। হেরেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর শুরু হল বাংলাদেশের।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে থামে টিম টাইগার্স। জবাবে নেমে ২১ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে ভারত।

রানতাড়ায় নেমে ভারতকে দারুণ শুরু এনে শুভমন গিল ও রোহিত শর্মা। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রান তোলেন দুজনে। ৯.৫ ওভারে রোহিতকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। সাতটি চারে ৩৬ বলে ৪১ রান করেন ভারত অধিনায়ক। ১১২ রানে দ্বিতীয় সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ৩৮ বলে ২২ রান করা বিরাট কোহলিকে ফেরান রিশাদ হোসেন।

১৩৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ভারত। শ্রেয়াস আইয়ারকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ১৭ বলে ১৫ রান করেন শ্রেয়াস। দলীয় ১৪৪ রানে অক্ষর প্যাটেলকে ফেরান রিশাদ। প্যাটেল ১২ বলে ৮ রান করেন। পরে গিল ও লোকেশ রাহুলের ৯৭ বলে ৮১ রানের অপ্রতিরোধ্য জুটিতে জয়ের বন্দরে নোঙর করে ভারত। নয়টি চার ও দুই ছক্কায় গিল ১২৯ বলে ১০১ রান করেন, এক চার ও দুই ছক্কায় রাহুল করেন ৪৭ বলে ৪১ রান।

টাইগার বোলারদের মধ্যে রিশাদ দুই উইকেট নেন। তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন একটি করে উইকেট।

এরআগে ব্যাটে নেমে ৮.৩ ওভারে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সৌম্য ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগে। দ্বিতীয় ওভারে শান্তও ফিরে যান শূন্য রান করে। ২৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজকে ফেরান মোহাম্মদ শামি। মিরাজ ১০ বলে ৫ রান করেন।

৩৫ রানে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় লাল-সবুজের দল। অক্ষর প্যাটেলের বলে তানজিদ তামিম ফিরে যান ২৫ বলে ২৫ রান করে। পরের বলেই গোল্ডেন ডাক মারেন মুশফিকুর রহিম।

হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলি অনিক। খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার পথে রেকর্ড গড়েন দুজনে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে হৃদয়-জাকের ২০৬ বলে ১৫৪ রান তোলেন। যা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এই উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের রেকর্ডটা ছিল সাউথ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও জাস্টিন কেম্পের। ২০০৬ সালে মোহালিতে ১৮৭ বলে ১৩১ রান তুলেছিলেন দুজনে।

ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান এবং সর্বোচ্চ বল খেলার রেকর্ডও এটি। সর্বোচ্চ রানের আগের রেকর্ড ছিল জাকের আলি ও মাহমুদউল্লাহর। গত ডিসেম্বরে ১৫০ রান করেছিলেন দুজনে। ষষ্ঠ উইকেটে সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ড ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েসের। ২০১৮ সালে আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫৩ বল খেলে ১২৮ রান করেছিলেন তারা।

৪২.৪ ওভারে দলীয় ১৮৯ রানে জাকেরকে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে নিজের দুইশতম উইকেট পূর্ণ করেন মোহাম্মদ শামি। চারটি চারে জাকের ১১৪ বলে ৬৮ রান করেন। পরে রিশাদকে নিয়ে আরও ২৫ রান যোগ করেন হৃদয়। ৪৫.৩ ওভারে ২১৪ রানে ফিরে যান রিশাদ। ২টি ছক্কা ও এক চারে ১২ বরে ১৮ রান করেন রিশাদ।

২১৫ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিম সাকিব ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগেই। পরে তাসকিনকে নিয়ে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ১১৪ বলে সেঞ্চুরি করেন হৃদয়। ৩৪তম ম্যাচে এসে ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান হৃদয়। এর আগে ৯৬ রানে অপরাজিত ইনিংস ছিল তার সর্বোচ্চ।

৪৮.৪ ওভারে ২২৮ রানে তাসকিনকে ফিরিয়ে পঞ্চম শিকার তুলে নেন শামি। পরে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে আউট হন হৃদয়। দুই ছক্কা ও ছয়টি চারে ১১৮ বলে ১০০ রান করেন টাইগার ব্যাটার। বাংলাদেশ থামে ২২৮ রানে।

ভারতের হয়ে মোহাম্মদ শামি ৫ উইকেট নেন। হর্ষিত রানা তিনটি এবং অক্ষর প্যাটেল দুটি উইকেট নেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহিদ দিবস ২০২৫ পালিত

হার দিয়ে শুরু টাইগারদের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি

আপডেট সময় ১০:৩৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে খুব বড় সংগ্রহ গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। ২২৮ রান ঝুলিতে নিয়েও লড়াই করেছে টিম টাইগার্স। যদিও জয়টা পাওয়া হয়নি নাজমুল হোসেন শান্তদের। শুভমন গিলের সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে ভারত। হেরেই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আসর শুরু হল বাংলাদেশের।

দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আগে ব্যাটের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত। ৪৯.৪ ওভারে ২২৮ রানে থামে টিম টাইগার্স। জবাবে নেমে ২১ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে নোঙর করে ভারত।

রানতাড়ায় নেমে ভারতকে দারুণ শুরু এনে শুভমন গিল ও রোহিত শর্মা। উদ্বোধনী জুটিতে ৬৯ রান তোলেন দুজনে। ৯.৫ ওভারে রোহিতকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন তাসকিন আহমেদ। সাতটি চারে ৩৬ বলে ৪১ রান করেন ভারত অধিনায়ক। ১১২ রানে দ্বিতীয় সাফল্য পায় বাংলাদেশ। ৩৮ বলে ২২ রান করা বিরাট কোহলিকে ফেরান রিশাদ হোসেন।

১৩৩ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় ভারত। শ্রেয়াস আইয়ারকে ফেরান মোস্তাফিজুর রহমান। ১৭ বলে ১৫ রান করেন শ্রেয়াস। দলীয় ১৪৪ রানে অক্ষর প্যাটেলকে ফেরান রিশাদ। প্যাটেল ১২ বলে ৮ রান করেন। পরে গিল ও লোকেশ রাহুলের ৯৭ বলে ৮১ রানের অপ্রতিরোধ্য জুটিতে জয়ের বন্দরে নোঙর করে ভারত। নয়টি চার ও দুই ছক্কায় গিল ১২৯ বলে ১০১ রান করেন, এক চার ও দুই ছক্কায় রাহুল করেন ৪৭ বলে ৪১ রান।

টাইগার বোলারদের মধ্যে রিশাদ দুই উইকেট নেন। তাসকিন ও মোস্তাফিজ নেন একটি করে উইকেট।

এরআগে ব্যাটে নেমে ৮.৩ ওভারে ৩৫ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে বাংলাদেশ। ইনিংসের প্রথম ওভারেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সৌম্য ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগে। দ্বিতীয় ওভারে শান্তও ফিরে যান শূন্য রান করে। ২৬ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মেহেদী হাসান মিরাজকে ফেরান মোহাম্মদ শামি। মিরাজ ১০ বলে ৫ রান করেন।

৩৫ রানে আরও দুই ব্যাটারকে হারায় লাল-সবুজের দল। অক্ষর প্যাটেলের বলে তানজিদ তামিম ফিরে যান ২৫ বলে ২৫ রান করে। পরের বলেই গোল্ডেন ডাক মারেন মুশফিকুর রহিম।

হাল ধরেন তাওহীদ হৃদয় ও জাকের আলি অনিক। খাদের কিনারা থেকে টেনে তোলার পথে রেকর্ড গড়েন দুজনে। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে হৃদয়-জাকের ২০৬ বলে ১৫৪ রান তোলেন। যা আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এই উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটি। আগের রেকর্ডটা ছিল সাউথ আফ্রিকার মার্ক বাউচার ও জাস্টিন কেম্পের। ২০০৬ সালে মোহালিতে ১৮৭ বলে ১৩১ রান তুলেছিলেন দুজনে।

ষষ্ঠ উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রান এবং সর্বোচ্চ বল খেলার রেকর্ডও এটি। সর্বোচ্চ রানের আগের রেকর্ড ছিল জাকের আলি ও মাহমুদউল্লাহর। গত ডিসেম্বরে ১৫০ রান করেছিলেন দুজনে। ষষ্ঠ উইকেটে সবচেয়ে বেশি বল খেলার রেকর্ড ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও ইমরুল কায়েসের। ২০১৮ সালে আবুধাবিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ১৫৩ বল খেলে ১২৮ রান করেছিলেন তারা।

৪২.৪ ওভারে দলীয় ১৮৯ রানে জাকেরকে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে নিজের দুইশতম উইকেট পূর্ণ করেন মোহাম্মদ শামি। চারটি চারে জাকের ১১৪ বলে ৬৮ রান করেন। পরে রিশাদকে নিয়ে আরও ২৫ রান যোগ করেন হৃদয়। ৪৫.৩ ওভারে ২১৪ রানে ফিরে যান রিশাদ। ২টি ছক্কা ও এক চারে ১২ বরে ১৮ রান করেন রিশাদ।

২১৫ রানে অষ্টম উইকেট হারায় বাংলাদেশ। তানজিম সাকিব ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগেই। পরে তাসকিনকে নিয়ে ছয়টি চার ও দুটি ছক্কায় ১১৪ বলে সেঞ্চুরি করেন হৃদয়। ৩৪তম ম্যাচে এসে ওয়ানডেতে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান হৃদয়। এর আগে ৯৬ রানে অপরাজিত ইনিংস ছিল তার সর্বোচ্চ।

৪৮.৪ ওভারে ২২৮ রানে তাসকিনকে ফিরিয়ে পঞ্চম শিকার তুলে নেন শামি। পরে ইনিংসের দুই বল বাকি থাকতে আউট হন হৃদয়। দুই ছক্কা ও ছয়টি চারে ১১৮ বলে ১০০ রান করেন টাইগার ব্যাটার। বাংলাদেশ থামে ২২৮ রানে।

ভারতের হয়ে মোহাম্মদ শামি ৫ উইকেট নেন। হর্ষিত রানা তিনটি এবং অক্ষর প্যাটেল দুটি উইকেট নেন।