ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৩ অগাস্ট ২০২৫, ৮ ভাদ্র ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শেখ হাসিনা যা চাচ্ছেন, পিআর পদ্ধতি অনেকটা ওইরকম: রিজভী Logo কেন্দ্র দখল করলেই ভোট বাতিল করা হবে: সিইসি নাসির উদ্দিন Logo বাজারে কমছে চালের দাম,বন্দরে ঢুকছে ভারতীয় চাল বোঝাই শত শত ট্রাক Logo চকরিয়া থানায় যুবকের মৃত্যু: এএসআইসহ ৩ পুলিশ প্রত্যাহার Logo ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপে ব্যর্থ, পদত্যাগ করলেন ডাচ পররাষ্ট্রমন্ত্রী Logo কিশোরগঞ্জে যুবদলের দুই পক্ষের সংঘর্ষ-গোলাগুলি, দুই নেতাকে বহিষ্কার Logo জাকসুতে কর্মী সংকটে প্যানেল ঘোষণা করতে পারছে না বামপন্থী ছাত্রসংগঠনগুলো Logo আজ ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার Logo দেশকে বিরাজনীতিকরণে নতুন ‘মাইনাস-টু ফর্মুলা’ সক্রিয়: মির্জা আব্বাস Logo লিটনকে অধিনায়ক করে এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশ দল ঘোষণা

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার আলোচনার পর ইউক্রেইনকে দোষারোপ ট্রাম্পের

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার আলোচনার পর ইউক্রেইনকে দোষারোপ ট্রাম্পের

ইউক্রেইন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে সৌদি আরবে যে আলোচনা হচ্ছে সেখানে কিইভকে আমন্ত্রণ না জানানো একটি ‘বিস্ময়’ বলে প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি মন্তব্য করার পর ইউক্রেইনের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্প ইউক্রেইনের প্রতিক্রিয়ায় ‘অসন্তুষ্ট’ হয়েছেন আর দেশটি ‘একটি চুক্তি করতে পারতো’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু করার জন্য আপাতভাবে ইউক্রেইনকেই দোষারোপ করেছেন, লিখেছে বিবিসি।

প্রায় তিন বছর আগে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের মধ্য দিয়ে ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।

সৌদি আরবে আলোচনার পর রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইউক্রেইন যুদ্ধ শেষ করা নিয়ে আলোচনা শুরু করতে প্রতিনিধি দল নিয়োগে সম্মত হয়েছে তারা। এরপর ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে বিবিসি জিজ্ঞেস করে, ইউক্রেইনীয়রা প্রতারিত বোধ করতে পারে, তাদের কাছে তার বার্তা কী।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি শুনেছি তাদের জন্য কোনো আসন না থাকায় তারা হতাশ হয়েছে, ঠিক আছে, তিন বছর ধরে এবং তারও অনেক আগে থেকে তাদের জন্য একটি আসন ছিল। এটি খুব সহজেই মিটমাট করে নেওয়া যেতো। আপনাদের এটি শুরু করা উচিত হয়নি। আপনারাই একটি চুক্তি করতে পারতেন।

“আমি ইউক্রেইনের জন্য একটি চুক্তি করতে পারতাম। তাতে তাদের প্রায় সব ভূমিই দেওয়া হতো, সবকিছু, প্রায় সব ভূমি- আর কোনো মানুষ নিহত হতো না, কোনো শহর ধ্বংস হতো না।”

সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানান, তিনি ‘আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী’। “তারা খুব ভালো। রাশিয়া কিছু করতে চায়। তারা এই হিংস্র বর্বরতা বন্ধ করতে চায়। আমার মনে হয়, এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর ক্ষমতা আমার আছে,” বলেন তিনি।

ইউক্রেইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “তারা যদি সেটা করতে চায়, সেটি দারুণ হবে, আমি এর পক্ষে থাকবো।”

ইউক্রেইনে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু করার পর থেকে সৌদি আরবের রিয়াদেই রাশিয়া ও মার্কিন প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠক হলো। এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলোচনা করার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, “কোনো শান্তি চুক্তির অধীনেই ইউক্রেইনে নেটো জোটভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর শান্তিরক্ষা বাহিনী মেনে নেবেনা রাশিয়া।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেখ হাসিনা যা চাচ্ছেন, পিআর পদ্ধতি অনেকটা ওইরকম: রিজভী

যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার আলোচনার পর ইউক্রেইনকে দোষারোপ ট্রাম্পের

আপডেট সময় ১০:২৯:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

ইউক্রেইন যুদ্ধ অবসানের লক্ষ্যে সৌদি আরবে যে আলোচনা হচ্ছে সেখানে কিইভকে আমন্ত্রণ না জানানো একটি ‘বিস্ময়’ বলে প্রেসিডেন্ট ভলোদোমির জেলেনস্কি মন্তব্য করার পর ইউক্রেইনের প্রতি ক্ষোভ ঝেড়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প।

ট্রাম্প ইউক্রেইনের প্রতিক্রিয়ায় ‘অসন্তুষ্ট’ হয়েছেন আর দেশটি ‘একটি চুক্তি করতে পারতো’ বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু করার জন্য আপাতভাবে ইউক্রেইনকেই দোষারোপ করেছেন, লিখেছে বিবিসি।

প্রায় তিন বছর আগে রাশিয়ার পূর্ণ মাত্রার আক্রমণের মধ্য দিয়ে ইউক্রেইন যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।

সৌদি আরবে আলোচনার পর রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র জানিয়েছে, ইউক্রেইন যুদ্ধ শেষ করা নিয়ে আলোচনা শুরু করতে প্রতিনিধি দল নিয়োগে সম্মত হয়েছে তারা। এরপর ফ্লোরিডার মার-এ-লাগোতে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্পকে বিবিসি জিজ্ঞেস করে, ইউক্রেইনীয়রা প্রতারিত বোধ করতে পারে, তাদের কাছে তার বার্তা কী।

জবাবে ট্রাম্প বলেন, “আমি শুনেছি তাদের জন্য কোনো আসন না থাকায় তারা হতাশ হয়েছে, ঠিক আছে, তিন বছর ধরে এবং তারও অনেক আগে থেকে তাদের জন্য একটি আসন ছিল। এটি খুব সহজেই মিটমাট করে নেওয়া যেতো। আপনাদের এটি শুরু করা উচিত হয়নি। আপনারাই একটি চুক্তি করতে পারতেন।

“আমি ইউক্রেইনের জন্য একটি চুক্তি করতে পারতাম। তাতে তাদের প্রায় সব ভূমিই দেওয়া হতো, সবকিছু, প্রায় সব ভূমি- আর কোনো মানুষ নিহত হতো না, কোনো শহর ধ্বংস হতো না।”

সৌদি আরবে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে ট্রাম্প জানান, তিনি ‘আরও বেশি আত্মবিশ্বাসী’। “তারা খুব ভালো। রাশিয়া কিছু করতে চায়। তারা এই হিংস্র বর্বরতা বন্ধ করতে চায়। আমার মনে হয়, এই যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটানোর ক্ষমতা আমার আছে,” বলেন তিনি।

ইউক্রেইনে ইউরোপীয় দেশগুলোর সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্নে ট্রাম্প বলেন, “তারা যদি সেটা করতে চায়, সেটি দারুণ হবে, আমি এর পক্ষে থাকবো।”

ইউক্রেইনে রাশিয়া পূর্ণ মাত্রার আক্রমণ শুরু করার পর থেকে সৌদি আরবের রিয়াদেই রাশিয়া ও মার্কিন প্রতিনিধিদের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠক হলো। এই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিওর সঙ্গে আলোচনা করার পর রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ বলেছেন, “কোনো শান্তি চুক্তির অধীনেই ইউক্রেইনে নেটো জোটভুক্ত রাষ্ট্রগুলোর শান্তিরক্ষা বাহিনী মেনে নেবেনা রাশিয়া।