নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান বলেছেন, আমাকে মেরে ফেলার চেষ্টা হচ্ছে। এ খবর আমার কাছে আছে। ঢাকা থেকে পুলিশ প্রশাসন আমাকে সাবধানে চলতে বলেছে। আমি একাই চলি। মৃত্যুর মালিক আল্লাহ। মেরে ফেললে মেরে ফেলবে।
সোমবার (৬ নভেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে সানারপাড় রওশন আরা কলেজে নবীন বরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।শামীম ওসমান বলেন, অনেক বড় বড় শক্তির নজর পড়েছে বাংলাদেশে। ওরা বাংলাদেশকে প্যালেস্টাইন, গাজা বানাতে চায়। থাবা দেবে কয়েকদিন পর। মানচিত্রে শকুনের ছায়া পড়েছে। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। আমরা পারবো না। আমি ক্লিয়ার করে বলছি না। কারণ তোমরা টেনশন করবে। আগামী এক মাস খুব ক্রুসিয়াল। তোমাদের ভবিষ্যৎ আফগানিস্তান বা গাজা হবে কি না তা এই এক মাসে নির্ধারিত হবে।
শিক্ষার্থীদের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এটা জীবন হলো বলো? আমাকে মেরে ফেললে আমার মেয়ে কাঁদবে না? আমার ছেলে কাঁদবে না? আমার পরিবার কাঁদবে না? বাট ওই মৃত্যুর মধ্যেও যদি তোমার জন্য সুন্দর একটি দেশ দিয়ে যেতে পারি, ওটাই আমাদের সাকসেস। আমরা এটা চাই। আমরা তোমাদের সাহস চাই।
শামীম ওসমান বলেন, কয়েকদিন আগে ঢাকায় বিএনপির সমাবেশে পুলিশকে হত্যা করা হলো। পুলিশ তো কোনো দল করে না। তারা তাদের দায়িত্ব পালন করছিল। তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলল। তারপর ছাত্রদলের এক কেন্দ্রীয় নেতা মৃত সেই পুলিশকেই চাপাতি দিয়ে কোপাল। চিফ জাস্টিসের বাসায় হামলা করল। মহিলাদের মিছিলে হামলা করা হলো। ওরা এখন চলন্ত বাসে আগুন দিচ্ছে। এর নাম কি রাজনীতি? যারা ক্ষমতায় আসার আগে পুলিশকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারে, ক্ষমতায় আসলে কী করবে চিন্তা করো।
তিনি আরও বলেন, নারায়ণগঞ্জে এমন কোনো রাস্তাঘাট নেই, স্কুল-কলেজ নেই যেখানে কাজ করিনি। ডিএনডির কাজ হয়েছে। পুরো বছর আগে পানির নিচে থাকতো। জুন মাসে এটার কাজ শেষ হবে। এটি অসম্ভব সুন্দর একটি কাজ হবে। আমাদের প্ল্যান ছিল পাগলা থেকে নৌকায় উঠবো, শীতলক্ষ্যায় এসে নামবো। লিংক রোডের কাজ হচ্ছে। বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর সড়ক হবে এটা। এর সঙ্গে হবে আমার মায়ের নামে নাগিনা জোহা সড়ক। আরেকটা রাস্তা হবে পঞ্চবটী থেকে মুন্সীগঞ্জ পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বাবু চন্দন শীল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ ইয়াসিন মিয়া, কলেজের প্রতিষ্ঠাতা আলহাজ রওশন আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।