ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জনগণের আস্থার শীর্ষে জামায়াত প্রার্থী এ.কে.এম ফখরুদ্দিন রাজী Logo মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৪ জন নিহত, বাসচালক গ্রেপ্তার Logo নবাগতদের আবাসন সংকট নিরসনে ঢাবি ছাত্রশিবিরের চার দফা দাবি Logo হরিণ শিকারের ফাঁদ বসাতে গিয়ে, নিজেই শিকার দুলাল Logo মব নয়, এটি সাংবাদিকতার ব্যর্থতারে ফল প্রেসার গ্রুপ: প্রেস সচিব Logo এনবিআরের রাজস্ব আদায় ৩ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে Logo ইসরায়েলের ৩১ হাজারেরও বেশি ভবন গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইরান Logo ইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনওই বন্ধ হবে না: ইরাভানি Logo পিআর ইস্যু নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টিকারীরা দেশের আদর্শে বিশ্বাসী নয়: মঈন খান Logo ৪৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২৫-২৬ অর্থবছরে জবির বাজেট ২৯৭ কোটি ৮২ লক্ষ

টেকনাফে ধরা পড়ল ১৯৪ কেজি ওজনের কোরাল

টেকনাফে ধরা পড়ল ১৯৪ কেজি ওজনের কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৯৪ কেজি বা প্রায় পাঁচ মণ ওজনের বোল মাছ। মাছটি দুই লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের কোনার পাড়ার বাসিন্দা কালু ফকিরের ডোবা জালে মাছটি ধরা পড়ে। জেলেরা মাছটি এক লাখ ৫৫ হাজার টাকায় স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ইলিয়াছকে বিক্রি করেন। পরে তিনি টেকনাফের মাছ ব্যবসায়ী জাফরকে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেছেন।

জাফর মাছটি সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফ পৌরসভা বাজারে কেটে বিক্রি করবেন বলে মাইকিং করেছেন। মাছ ব্যবসায়ী জাফর বলেন, ‘মাইকিং করার পর থেকে অনেকে ফোন করে অগ্রিম অর্ডার করেছেন। মাছটি এক হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছি।’

নৌকার মালিক কালু ফকির বলেন, ‘দীর্ঘ সাত বছর নাফ নদীতে মাছ ধরতে পারিনি। অনেক কষ্টে দিন কেটেছে। নাফ নদীতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর জাল ফেলে দ্বিতীয় দিনই বড় বোল মাছটি পেয়েছি। আমাদের কাছে কোল্ডস্টোরের সিস্টেম না থাকায় কম দামে মাছটি তাজা থাকতে বিক্রি করতে হয়েছে। সময় নিয়ে বিক্রি করতে পারলে আরও বেশি টাকা পেতাম।’

নৌকার মাঝি মোহাম্মদ আমিন ভুলু বলেন, ‘আমরা রবিবার সকালে ২৩ জন জেলে ডোবা জাল নিয়ে নাফ নদীতে মাছ শিকার করছিলাম। এ জাল পানির গভীরে যায়। বোল মাছও গভীর জলের মাছ হওয়ায় সহজে আমাদের জালে আটকা পড়েছে। মাছটি পেয়ে সবাই খুশি হয়েছেন। নগদ টাকায় বিক্রি করে জেলেরা সবাই ভাগাভাগি করে টাকা নিয়ে অনেকদিন পর হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছে।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নাফ নদীতে এত বড় মাছ সহজে ধরা পড়ে না। দীর্ঘদিন নদীতে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় ১৯৪ কেজি ওজনের এ বোল মাছটি পাওয়া যায়। মাছটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। সাধারণত সামুদ্রিক বোল মাছের বালিশ সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মাছটি বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

মুন্সিগঞ্জ-১ আসনে জনগণের আস্থার শীর্ষে জামায়াত প্রার্থী এ.কে.এম ফখরুদ্দিন রাজী

টেকনাফে ধরা পড়ল ১৯৪ কেজি ওজনের কোরাল

আপডেট সময় ০৮:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৯৪ কেজি বা প্রায় পাঁচ মণ ওজনের বোল মাছ। মাছটি দুই লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের কোনার পাড়ার বাসিন্দা কালু ফকিরের ডোবা জালে মাছটি ধরা পড়ে। জেলেরা মাছটি এক লাখ ৫৫ হাজার টাকায় স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ইলিয়াছকে বিক্রি করেন। পরে তিনি টেকনাফের মাছ ব্যবসায়ী জাফরকে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেছেন।

জাফর মাছটি সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফ পৌরসভা বাজারে কেটে বিক্রি করবেন বলে মাইকিং করেছেন। মাছ ব্যবসায়ী জাফর বলেন, ‘মাইকিং করার পর থেকে অনেকে ফোন করে অগ্রিম অর্ডার করেছেন। মাছটি এক হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছি।’

নৌকার মালিক কালু ফকির বলেন, ‘দীর্ঘ সাত বছর নাফ নদীতে মাছ ধরতে পারিনি। অনেক কষ্টে দিন কেটেছে। নাফ নদীতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর জাল ফেলে দ্বিতীয় দিনই বড় বোল মাছটি পেয়েছি। আমাদের কাছে কোল্ডস্টোরের সিস্টেম না থাকায় কম দামে মাছটি তাজা থাকতে বিক্রি করতে হয়েছে। সময় নিয়ে বিক্রি করতে পারলে আরও বেশি টাকা পেতাম।’

নৌকার মাঝি মোহাম্মদ আমিন ভুলু বলেন, ‘আমরা রবিবার সকালে ২৩ জন জেলে ডোবা জাল নিয়ে নাফ নদীতে মাছ শিকার করছিলাম। এ জাল পানির গভীরে যায়। বোল মাছও গভীর জলের মাছ হওয়ায় সহজে আমাদের জালে আটকা পড়েছে। মাছটি পেয়ে সবাই খুশি হয়েছেন। নগদ টাকায় বিক্রি করে জেলেরা সবাই ভাগাভাগি করে টাকা নিয়ে অনেকদিন পর হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছে।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নাফ নদীতে এত বড় মাছ সহজে ধরা পড়ে না। দীর্ঘদিন নদীতে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় ১৯৪ কেজি ওজনের এ বোল মাছটি পাওয়া যায়। মাছটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। সাধারণত সামুদ্রিক বোল মাছের বালিশ সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মাছটি বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।