ঢাকা ০৪:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পদ্মা সেতু ব্লকেড কর্মসূচি পালন Logo অনলাইন জুয়ায় গাড়ি-বাড়ি হারিয়ে যুবকের দুধ দিয়ে তওবার গোসল Logo লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ভাই হিসেবে মেরেছি Logo ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’ Logo ভারতে ৪ টিভি চ্যানেল বন্ধ: ব্যাখ্যা না পেলে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে সরকার Logo উপশাখা দায়িত্বশীলদের নিয়ে অর্ধদিবসব্যাপী কর্মশালা Logo তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের ৬ বিভাগ Logo পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রক কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন শেহবাজ Logo মাদারীপুর জেলা যুব মহিলা লীগের সভাপতি ঢাকায় আটক

টেকনাফে ধরা পড়ল ১৯৪ কেজি ওজনের কোরাল

টেকনাফে ধরা পড়ল ১৯৪ কেজি ওজনের কোরাল

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৯৪ কেজি বা প্রায় পাঁচ মণ ওজনের বোল মাছ। মাছটি দুই লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের কোনার পাড়ার বাসিন্দা কালু ফকিরের ডোবা জালে মাছটি ধরা পড়ে। জেলেরা মাছটি এক লাখ ৫৫ হাজার টাকায় স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ইলিয়াছকে বিক্রি করেন। পরে তিনি টেকনাফের মাছ ব্যবসায়ী জাফরকে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেছেন।

জাফর মাছটি সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফ পৌরসভা বাজারে কেটে বিক্রি করবেন বলে মাইকিং করেছেন। মাছ ব্যবসায়ী জাফর বলেন, ‘মাইকিং করার পর থেকে অনেকে ফোন করে অগ্রিম অর্ডার করেছেন। মাছটি এক হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছি।’

নৌকার মালিক কালু ফকির বলেন, ‘দীর্ঘ সাত বছর নাফ নদীতে মাছ ধরতে পারিনি। অনেক কষ্টে দিন কেটেছে। নাফ নদীতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর জাল ফেলে দ্বিতীয় দিনই বড় বোল মাছটি পেয়েছি। আমাদের কাছে কোল্ডস্টোরের সিস্টেম না থাকায় কম দামে মাছটি তাজা থাকতে বিক্রি করতে হয়েছে। সময় নিয়ে বিক্রি করতে পারলে আরও বেশি টাকা পেতাম।’

নৌকার মাঝি মোহাম্মদ আমিন ভুলু বলেন, ‘আমরা রবিবার সকালে ২৩ জন জেলে ডোবা জাল নিয়ে নাফ নদীতে মাছ শিকার করছিলাম। এ জাল পানির গভীরে যায়। বোল মাছও গভীর জলের মাছ হওয়ায় সহজে আমাদের জালে আটকা পড়েছে। মাছটি পেয়ে সবাই খুশি হয়েছেন। নগদ টাকায় বিক্রি করে জেলেরা সবাই ভাগাভাগি করে টাকা নিয়ে অনেকদিন পর হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছে।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নাফ নদীতে এত বড় মাছ সহজে ধরা পড়ে না। দীর্ঘদিন নদীতে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় ১৯৪ কেজি ওজনের এ বোল মাছটি পাওয়া যায়। মাছটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। সাধারণত সামুদ্রিক বোল মাছের বালিশ সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মাছটি বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ

টেকনাফে ধরা পড়ল ১৯৪ কেজি ওজনের কোরাল

আপডেট সময় ০৮:৫৫:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীতে জেলেদের জালে ধরা পড়েছে ১৯৪ কেজি বা প্রায় পাঁচ মণ ওজনের বোল মাছ। মাছটি দুই লাখ ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে শাহপরীর দ্বীপের কোনার পাড়ার বাসিন্দা কালু ফকিরের ডোবা জালে মাছটি ধরা পড়ে। জেলেরা মাছটি এক লাখ ৫৫ হাজার টাকায় স্থানীয় মাছ ব্যবসায়ী ইলিয়াছকে বিক্রি করেন। পরে তিনি টেকনাফের মাছ ব্যবসায়ী জাফরকে দুই লাখ ৬০ হাজার টাকায় মাছটি বিক্রি করেছেন।

জাফর মাছটি সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) টেকনাফ পৌরসভা বাজারে কেটে বিক্রি করবেন বলে মাইকিং করেছেন। মাছ ব্যবসায়ী জাফর বলেন, ‘মাইকিং করার পর থেকে অনেকে ফোন করে অগ্রিম অর্ডার করেছেন। মাছটি এক হাজার ৭০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছি।’

নৌকার মালিক কালু ফকির বলেন, ‘দীর্ঘ সাত বছর নাফ নদীতে মাছ ধরতে পারিনি। অনেক কষ্টে দিন কেটেছে। নাফ নদীতে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করার পর জাল ফেলে দ্বিতীয় দিনই বড় বোল মাছটি পেয়েছি। আমাদের কাছে কোল্ডস্টোরের সিস্টেম না থাকায় কম দামে মাছটি তাজা থাকতে বিক্রি করতে হয়েছে। সময় নিয়ে বিক্রি করতে পারলে আরও বেশি টাকা পেতাম।’

নৌকার মাঝি মোহাম্মদ আমিন ভুলু বলেন, ‘আমরা রবিবার সকালে ২৩ জন জেলে ডোবা জাল নিয়ে নাফ নদীতে মাছ শিকার করছিলাম। এ জাল পানির গভীরে যায়। বোল মাছও গভীর জলের মাছ হওয়ায় সহজে আমাদের জালে আটকা পড়েছে। মাছটি পেয়ে সবাই খুশি হয়েছেন। নগদ টাকায় বিক্রি করে জেলেরা সবাই ভাগাভাগি করে টাকা নিয়ে অনেকদিন পর হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছে।

টেকনাফ উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘নাফ নদীতে এত বড় মাছ সহজে ধরা পড়ে না। দীর্ঘদিন নদীতে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় ১৯৪ কেজি ওজনের এ বোল মাছটি পাওয়া যায়। মাছটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়। সাধারণত সামুদ্রিক বোল মাছের বালিশ সার্জিক্যাল অপারেশনের সুতা, প্রসাধনী ও ওষুধ তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। এ ছাড়া মাছটি বিদেশেও রপ্তানি করা হয়।