ঢাকা ০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শামসুজ্জামান দুদু ৩ দিনের রিমান্ডে

শামসুজ্জামান দুদু ৩ দিনের রিমান্ডে

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে শামসুজ্জামান দুদুকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ আসামি গত ২৮ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে অন্যান্য আসামিদের প্ররোচনায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় পলাতক অপরাপর আসামিদের যোগসাজসে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিএনপি কর্তৃক পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশে যোগদান করে। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেপ্রোণোদিতভাবে পল্টন থানাধীন বিএনপির অফিসের সামনের সমাবেশের স্টেজে বিভিন্ন রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে।

ওই উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিরা মূল সমাবেশস্থল ছেড়ে রমনা থানাধীন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের রাস্তায় বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্রসহ মিছিল সহকারে এসে একাধিক বাস, পিকআপ ভ্যান এবং পুলিশের ব্যবহৃত বিভিন্ন বাহন ভাঙচুর করে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে সেখানে অবস্থানরত পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে অসংখ্য পুলিশকে আহত করে। আসামিরা ফুটপাতে থাকা দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দিয়ে জনমনে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।

আসামি বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা। তার হিংসাত্মক এবং উস্কানিমূলক মারমুখী বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবং প্রত্যক্ষ মদদে অপরাপর আসামিরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনের পূর্ব পাশের গেট ভেঙে বাসভবনে অনধিকার প্রবেশ করে। এলোপাথাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বাসভবনের নামফলকসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে। মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

শামসুদ্দিন দুদুর পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসিন মিয়া, ওমর ফারুক ফারুকী ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

রমনা মডেল থানার আদালতের সাধারন নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর নিজাম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার দিবাগত রাত ১২টার পরপর গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ১৫-২০ জনের একটি দল শামসুজ্জামান দুদুর বড় বোনের ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

শামসুজ্জামান দুদু ৩ দিনের রিমান্ডে

আপডেট সময় ০৭:৩২:৩৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ নভেম্বর ২০২৩

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর ও নাশকতার অভিযোগে রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় মামলায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদুর তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শফি উদ্দিনের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে শামসুজ্জামান দুদুকে আদালতে হাজির করে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা জোনাল টিমের ইন্সপেক্টর (নিরস্ত্র) রফিকুল ইসলাম।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, এ আসামি গত ২৮ অক্টোবর পরিকল্পিতভাবে অন্যান্য আসামিদের প্ররোচনায় এবং পৃষ্ঠপোষকতায় পলাতক অপরাপর আসামিদের যোগসাজসে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করার জন্য বিএনপি কর্তৃক পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশে যোগদান করে। সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যেপ্রোণোদিতভাবে পল্টন থানাধীন বিএনপির অফিসের সামনের সমাবেশের স্টেজে বিভিন্ন রকম উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করে।

ওই উস্কানিমূলক বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মামলার ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিরা মূল সমাবেশস্থল ছেড়ে রমনা থানাধীন প্রধান বিচারপতির বাসভবনের সামনের রাস্তায় বিভিন্ন প্রকার দেশীয় অস্ত্রসহ মিছিল সহকারে এসে একাধিক বাস, পিকআপ ভ্যান এবং পুলিশের ব্যবহৃত বিভিন্ন বাহন ভাঙচুর করে এবং ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে। একপর্যায়ে সেখানে অবস্থানরত পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে এলোপাথাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে অসংখ্য পুলিশকে আহত করে। আসামিরা ফুটপাতে থাকা দোকানপাটে আগুন লাগিয়ে দিয়ে জনমনে এক ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি করে।

আসামি বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতা। তার হিংসাত্মক এবং উস্কানিমূলক মারমুখী বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে এবং প্রত্যক্ষ মদদে অপরাপর আসামিরা প্রধান বিচারপতির বাসভবনের পূর্ব পাশের গেট ভেঙে বাসভবনে অনধিকার প্রবেশ করে। এলোপাথাড়ি ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে বাসভবনের নামফলকসহ বিভিন্ন জায়গায় ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করে। মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটনে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।

শামসুদ্দিন দুদুর পক্ষে মাসুদ আহমেদ তালুকদার, মহসিন মিয়া, ওমর ফারুক ফারুকী ও সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু এর বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত রিমান্ডের আদেশ দেন।

রমনা মডেল থানার আদালতের সাধারন নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর নিজাম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। রোববার দিবাগত রাত ১২টার পরপর গোয়েন্দা পুলিশ পরিচয়ে ১৫-২০ জনের একটি দল শামসুজ্জামান দুদুর বড় বোনের ক্যান্টনমেন্টের বাসা থেকে তাকে তুলে নিয়ে যায়।