ঢাকা ০৫:০৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ২৭ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক Logo যমুনা ও সচিবালয় এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণজমায়েত নিষিদ্ধ Logo আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে পদ্মা সেতু ব্লকেড কর্মসূচি পালন Logo অনলাইন জুয়ায় গাড়ি-বাড়ি হারিয়ে যুবকের দুধ দিয়ে তওবার গোসল Logo লঞ্চঘাটে তরুণীদের প্রকাশ্যে মারধর, যুবক বললেন ভাই হিসেবে মেরেছি Logo ভারতের অপারেশন সিঁদুরের পাল্টা জবাবে পাকিস্তানের ‘বুনিয়ান-উন-মারসুস’ Logo ভারতে ৪ টিভি চ্যানেল বন্ধ: ব্যাখ্যা না পেলে পাল্টা পদক্ষেপ নেবে সরকার Logo উপশাখা দায়িত্বশীলদের নিয়ে অর্ধদিবসব্যাপী কর্মশালা Logo তীব্র তাপপ্রবাহে পুড়ছে দেশের ৬ বিভাগ Logo পারমাণবিক অস্ত্রের নিয়ন্ত্রক কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন শেহবাজ

ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ছাড়া তল্লাশি ও আলামত জব্দ করতে পারবে তদন্ত কর্মকর্তা

সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা বৃদ্ধি এবং তল্লাশি ও আলামত জব্দের ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তার ক্ষমতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এই অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়।জাতীয় সংসদ চলমান না থাকায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এই অধ্যাদেশ জারি করেন।

গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচারের প্রক্রিয়ার মধ্যে এই আইন সংশোধন করা হলো।

‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ২০২৫’ নামের এই আইনের ৪, ৮, ৯, ১১, ১২ ও ১৯ নম্বর ধারা সংশোধন করা হয়েছে।
আগের আইন অনুযায়ী, তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে তল্লাশি ও আলামত জব্দ করতে পারতেন। তবে নতুন সংশোধনে এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়া হয়েছে।

আগের আইনে বিচার শুরুর ৬ সপ্তাহ আগে সাক্ষীর তালিকা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপনের বিধান ছিল। সংশোধনের মাধ্যমে এই সময়সীমা কমিয়ে তিন সপ্তাহ করা হয়েছে।
আইনের ১১ নম্বর ধারায় একটি উপধারা যোগ করে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল আসামির সম্পদ অবরুদ্ধ বা জব্দের আদেশ দিতে পারবেন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সেই সম্পদ ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।

আগের আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের মামলার প্রতিবেদনসহ নথিকে গোপনীয় রাখা হয়েছিল। সংশোধনে নতুন সংযোজন হিসেবে অভিযোগকেও গোপনীয় রাখার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

১৯ নম্বর ধারায় একটি নতুন উপধারা যোগ করে বলা হয়েছে, আইনে যা কিছু থাকুক না কেন, ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্যের কারিগরি নিয়ম দ্বারা আবদ্ধ থাকবেন না এবং দ্রুত ও অ-কারিগরি পদ্ধতি গ্রহণ ও প্রয়োগ করতে পারবেন।

জনপ্রিয় সংবাদ

সন্ধ্যায় উপদেষ্টা পরিষদের জরুরি বৈঠক

ট্রাইব্যুনালের অনুমতি ছাড়া তল্লাশি ও আলামত জব্দ করতে পারবে তদন্ত কর্মকর্তা

আপডেট সময় ০৮:৩৪:৩৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সাক্ষ্য গ্রহণের ক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের স্বাধীনতা বৃদ্ধি এবং তল্লাশি ও আলামত জব্দের ক্ষেত্রে তদন্তকারী কর্মকর্তার ক্ষমতা বাড়িয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধন করে অধ্যাদেশ জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
এর আগে গত ২০ নভেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে এই অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন করা হয়।জাতীয় সংসদ চলমান না থাকায় রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এই অধ্যাদেশ জারি করেন।

গত সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এর বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে লেজিসলেটিভ ও সংসদবিষয়ক বিভাগ।

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই অভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচারের প্রক্রিয়ার মধ্যে এই আইন সংশোধন করা হলো।

‘ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস (ট্রাইব্যুনাল) (অ্যামেন্ডমেন্ট) অর্ডিন্যান্স ২০২৫’ নামের এই আইনের ৪, ৮, ৯, ১১, ১২ ও ১৯ নম্বর ধারা সংশোধন করা হয়েছে।
আগের আইন অনুযায়ী, তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রয়োজনে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নিয়ে তল্লাশি ও আলামত জব্দ করতে পারতেন। তবে নতুন সংশোধনে এক্ষেত্রে ট্রাইব্যুনালের অনুমতি নেয়ার বাধ্যবাধকতা তুলে দেয়া হয়েছে।

আগের আইনে বিচার শুরুর ৬ সপ্তাহ আগে সাক্ষীর তালিকা ট্রাইব্যুনালে উপস্থাপনের বিধান ছিল। সংশোধনের মাধ্যমে এই সময়সীমা কমিয়ে তিন সপ্তাহ করা হয়েছে।
আইনের ১১ নম্বর ধারায় একটি উপধারা যোগ করে বলা হয়েছে, ট্রাইব্যুনাল আসামির সম্পদ অবরুদ্ধ বা জব্দের আদেশ দিতে পারবেন এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার জন্য সেই সম্পদ ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন।

আগের আইন অনুযায়ী ট্রাইব্যুনালের মামলার প্রতিবেদনসহ নথিকে গোপনীয় রাখা হয়েছিল। সংশোধনে নতুন সংযোজন হিসেবে অভিযোগকেও গোপনীয় রাখার বিধান যুক্ত করা হয়েছে।

১৯ নম্বর ধারায় একটি নতুন উপধারা যোগ করে বলা হয়েছে, আইনে যা কিছু থাকুক না কেন, ট্রাইব্যুনাল সাক্ষ্যের কারিগরি নিয়ম দ্বারা আবদ্ধ থাকবেন না এবং দ্রুত ও অ-কারিগরি পদ্ধতি গ্রহণ ও প্রয়োগ করতে পারবেন।