ঢাকা ০৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বইমেলার স্টলে হামলার ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৯:২৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 46

একুশে বইমেলায় নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের বই রাখায় ‘সব্যসাচী প্রকাশনা’র স্টলে একদল বিক্ষুব্ধ লোকের রোষানলে পড়েন প্রকাশক শতাব্দী ভব।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘তৌহিদী জনতা’র নামে একদল লোক স্টলটিতে গিয়ে প্রকাশককে ঘিরে ধরে স্লোগান দেয়। এরপর সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয় স্টলটি।

সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা একুশে বইমেলায় একটি বইয়ের দোকানে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এই হামলা বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকার এবং দেশের আইনের প্রতি অবজ্ঞার পরিচয় দেয়। এই ধরনের সহিংসতা এই মহান বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত মনের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, যা ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার সমর্থনে জীবন উৎসর্গকারী ভাষা শহিদদের স্মরণ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ ও বাংলা একাডেমিকে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশকে মেলায় নিরাপত্তা জোরদার করার এবং এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এতে সরকার সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে দেশে যেকোনো ধরনের গণ সহিংসতার ঘটনা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

৫ আগস্টের আগুনে পুড়ে গেছে সাগর-রুনি হত্যা মামলার নথি

বইমেলার স্টলে হামলার ঘটনায় দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

আপডেট সময় ০৯:২৫:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

একুশে বইমেলায় নির্বাসিত লেখক তসলিমা নাসরিনের বই রাখায় ‘সব্যসাচী প্রকাশনা’র স্টলে একদল বিক্ষুব্ধ লোকের রোষানলে পড়েন প্রকাশক শতাব্দী ভব।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ‘তৌহিদী জনতা’র নামে একদল লোক স্টলটিতে গিয়ে প্রকাশককে ঘিরে ধরে স্লোগান দেয়। এরপর সাময়িক বন্ধ করে দেয়া হয় স্টলটি।

সোমবার রাতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা একুশে বইমেলায় একটি বইয়ের দোকানে হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। এই হামলা বাংলাদেশের নাগরিকদের অধিকার এবং দেশের আইনের প্রতি অবজ্ঞার পরিচয় দেয়। এই ধরনের সহিংসতা এই মহান বাংলাদেশি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উন্মুক্ত মনের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে, যা ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার সমর্থনে জীবন উৎসর্গকারী ভাষা শহিদদের স্মরণ করে।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, অন্তর্বর্তী সরকার পুলিশ ও বাংলা একাডেমিকে এই ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশকে মেলায় নিরাপত্তা জোরদার করার এবং এই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যেন কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এতে সরকার সংশ্লিষ্ট নিরাপত্তা সংস্থাগুলোকে দেশে যেকোনো ধরনের গণ সহিংসতার ঘটনা বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ারও নির্দেশ দেয়া হয়েছে।