সেমিফাইনালের লড়াইয়ে না থাকলেও দুই দলের জন্যেই ম্যাচটা গুরুত্বপূর্ণ। দুই দলের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে জায়গা নিশ্চিতের হিসেবনিকেশ জড়িয়ে এই ম্যাচের সঙ্গে। গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে টস জিতে শ্রীলঙ্কাকে আগে ব্যাটিংয়ে পাঠায় বাংলাদেশ।
আগে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা অলআউট হয়েছে ২৭৯ রানে। দিল্লিতে লঙ্কানদের লড়াকু সংগ্রহের বড় কৃতিত্ব চারিথ আশালাঙ্কার। এই মিডলঅর্ডার ব্যাটার বিশ্বকাপে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। তাঁর ১০৮ রানের ইনিংস শ্রীলঙ্কাকে পথ হারাতে দেয়নি। কারণ, লঙ্কানদের শুরুটা আশাজাগানিয়া ছিল না।
দলীয় ৫ রানে ফিরে যান ওপেনার কুশল পেরেরা। এরপর ৬৭ রানের মধ্যে আরো দুই উইকেট হারায় তারা। আউট হয়ে যান কুশল মেন্ডিস (১৯) ও পাথুম নিশাঙ্কা (৪১)। চতুর্থ উইকেটে সাদিরা সামারাবিক্রমাকে নিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেন আশালাঙ্কা।
দুজনের ৬৩ রানের জুটি। সাকিব আল হাসান সামারাবিক্রমাকে ৪১ রানে ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন। এরপর অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের টাইমড আউট নাটক। হেলমেটের ফিতা ছিড়ে যাওয়ায় ব্যাটিং শুরু করতে সময়ক্ষেপণ করেন ম্যাথুস। যেটা এবারের বিশ্বকাপের প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী দুই মিনিট পেরিয়ে যায়।
বাংলাদেশ দলের আবেদনে আউটের ঘোষণা দেন আম্পায়ার। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সবচেয়ে বড় জুটিটি এরপর ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে। আশালাঙ্কার সঙ্গে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার ৭৮ রানের জুটি। ৩৪ রানে ধনঞ্জয়া স্টাম্পড হয়ে ফিরলে জুটি ভাঙে। মহেশ তিকশানার সঙ্গে জুটি সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন আশালাঙ্কা। তাঁর ১০৫ বলের ইনিংসে ৬ চার ও ৫ ছক্কা। থিকশানা ২২ রান করেছেন। বাংলাদেশের পক্ষে তিনটি উইকেট নিয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব ও শরীফুল ইসলাম।