ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৮ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ফাঁসিয়েছে প্রথম আলো

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ফাঁসিয়েছে প্রথম আলো

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশি-বিদেশি চক্রের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকানাধীন দুটি জাতীয় দৈনিক—প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার—গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, নানা কল্প-কাহিনি সাজিয়ে এবং ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে পুনঃতদন্তের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেটের দিকে নেওয়া হয়। এই দুটি গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে আদালতের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পক্ষের স্বার্থ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি অপরাধ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আলোচনায় উঠে এসেছে সেই ভয়ংকর নীল নকশার তথ্য।

শুধু তাই নয়, তদন্ত কোন দিকে নিতে হবে সেই পথও বাতলে দিয়েছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ২০০৮ সালের ২১ আগস্ট তার পত্রিকায় একুশে আগস্ট বোমা হামলা নিয়ে রচিত নিবন্ধে লিখেছিলেন, ‘বিগত সময়কালে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, জোট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরকে সে সময় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে কোনো তদন্ত করতে নিষেধ করেছিলেন। তৎকালীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার পছন্দের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের দিয়ে ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যমূলক তদন্ত করতে বলেছিলেন।’

২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং শীর্ষ নেতৃত্বকে ফাঁসাতে তৎপর ছিল ট্রান্সকম গ্রুপের আরেকটি পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টার।

ওই পত্রিকাটিতে ‘ইসলামি জঙ্গি’ তত্ত্ব এবং ২১ আগস্ট বোমা হামলার সঙ্গে তারেক রহমানকে জড়ানোর খবর প্রকাশ করা হয়েছিল নানা কৌশলে। ওই পত্রিকার তৎকালীন সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলি মানিক ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ‘এটা ছিল হাওয়া ভবনের প্লট’ শিরোনামে লিখেছিলেন বড় প্রতিবেদন।

তাতে উল্লেখ ছিল, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরী, শেখ মুজিবুর রহমানের একজন পলাতক খুনি, জামায়াতে ইসলামীর একজন শীর্ষ নেতা, জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) দুই প্রতিষ্ঠাতা এবং আল মারকাজুল ইসলামীর একজন নেতাও ওই ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করতে পারেননি। তাদের জবানিতে উঠে এসেছিল হাওয়া ভবনের একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তির উপস্থিতিতে তারা হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

একই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, বিএনপি সরকারের প্রশাসন অনেক কিছুতেই নোংরা হস্তক্ষেপ করছিল। কারণ তারেক রহমান, বাবর এবং আমিনুল হকের নেতৃত্বে এর শীর্ষস্থানীয় নেতারা ২০০৪ সাল থেকে জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশকে পৃষ্ঠপোষকতা করে শিরোনামে এসেছিলেন।’

গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফাঁসানোর সব পরামর্শ এই দুটি পত্রিকা হাসিনা সরকারকে দিয়েছিল। সে কারণে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই মামলার তদন্ত নানাভাবে প্রভাবিত হয়। এই মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা আবদুল কাহ্্হার আকন্দের সঙ্গে এই দুটি পত্রিকার সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারদের দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার তথ্যও জানা যায়।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।

জনপ্রিয় সংবাদ

‘ফেব্রুয়ারিতে রোডম্যাপ, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার’

খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে ফাঁসিয়েছে প্রথম আলো

আপডেট সময় ১০:৫৬:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে পরিকল্পিতভাবে ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশি-বিদেশি চক্রের এজেন্ডা বাস্তবায়নে ট্রান্সকম গ্রুপের মালিকানাধীন দুটি জাতীয় দৈনিক—প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার—গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে।

বিশ্লেষকদের মতে, নানা কল্প-কাহিনি সাজিয়ে এবং ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করে পুনঃতদন্তের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের টার্গেটের দিকে নেওয়া হয়। এই দুটি গণমাধ্যমকে ব্যবহার করে আদালতের মাধ্যমে একটি নির্দিষ্ট পক্ষের স্বার্থ বাস্তবায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

সম্প্রতি অপরাধ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের আলোচনায় উঠে এসেছে সেই ভয়ংকর নীল নকশার তথ্য।

শুধু তাই নয়, তদন্ত কোন দিকে নিতে হবে সেই পথও বাতলে দিয়েছিলেন প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান।

প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান ২০০৮ সালের ২১ আগস্ট তার পত্রিকায় একুশে আগস্ট বোমা হামলা নিয়ে রচিত নিবন্ধে লিখেছিলেন, ‘বিগত সময়কালে প্রথম আলোর অনুসন্ধানে আরও জানা গেছে, জোট সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরকে সে সময় ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা সম্পর্কে কোনো তদন্ত করতে নিষেধ করেছিলেন। তৎকালীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী তার পছন্দের সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তাদের দিয়ে ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের উদ্দেশ্যমূলক তদন্ত করতে বলেছিলেন।’

২১ আগস্ট হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং শীর্ষ নেতৃত্বকে ফাঁসাতে তৎপর ছিল ট্রান্সকম গ্রুপের আরেকটি পত্রিকা দ্য ডেইলি স্টার।

ওই পত্রিকাটিতে ‘ইসলামি জঙ্গি’ তত্ত্ব এবং ২১ আগস্ট বোমা হামলার সঙ্গে তারেক রহমানকে জড়ানোর খবর প্রকাশ করা হয়েছিল নানা কৌশলে। ওই পত্রিকার তৎকালীন সিনিয়র সাংবাদিক জুলফিকার আলি মানিক ২০০৯ সালের ২৬ অক্টোবর ‘এটা ছিল হাওয়া ভবনের প্লট’ শিরোনামে লিখেছিলেন বড় প্রতিবেদন।

তাতে উল্লেখ ছিল, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, উপমন্ত্রী আবদুস সালাম পিন্টু, প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব হারিস চৌধুরী, শেখ মুজিবুর রহমানের একজন পলাতক খুনি, জামায়াতে ইসলামীর একজন শীর্ষ নেতা, জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) দুই প্রতিষ্ঠাতা এবং আল মারকাজুল ইসলামীর একজন নেতাও ওই ঘটনায় বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের সম্পৃক্ততার বিষয়টি অস্বীকার করতে পারেননি। তাদের জবানিতে উঠে এসেছিল হাওয়া ভবনের একজন শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তির উপস্থিতিতে তারা হত্যার সিদ্ধান্ত নেন।

একই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল, বিএনপি সরকারের প্রশাসন অনেক কিছুতেই নোংরা হস্তক্ষেপ করছিল। কারণ তারেক রহমান, বাবর এবং আমিনুল হকের নেতৃত্বে এর শীর্ষস্থানীয় নেতারা ২০০৪ সাল থেকে জামাতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশকে পৃষ্ঠপোষকতা করে শিরোনামে এসেছিলেন।’

গ্রেনেড হামলা মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ফাঁসানোর সব পরামর্শ এই দুটি পত্রিকা হাসিনা সরকারকে দিয়েছিল। সে কারণে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর এই মামলার তদন্ত নানাভাবে প্রভাবিত হয়। এই মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা আবদুল কাহ্্হার আকন্দের সঙ্গে এই দুটি পত্রিকার সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারদের দফায় দফায় বৈঠক হওয়ার তথ্যও জানা যায়।

সূত্র: বাংলাদেশ প্রতিদিন।