ইসরায়েলের কাছে ৭৪০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির অনুমোদন দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) এ অনুমোদন দেয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ওয়াশিংটন সফর শেষ করার পরপরই এই ঘোষণা দিল যুক্তরাষ্ট্র। সফরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন নেতানিয়াহু।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন দেওয়া অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির প্যাকেজে রয়েছে ৬৭৫ কোটি ডলারের গোলাবারুদ, গাইডেন্স সিস্টেম ও ফিউজ। বোয়িংসহ কয়েকটি বড় মার্কিন ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান এসব সরঞ্জাম সরবরাহ করবে। এ ছাড়া এই প্যাকেজে ইসরায়েলের কাছে আরও ৬৬ কোটি ডলারের হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্র বিক্রির কথা রয়েছে। এসব ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করবে লকহেড মার্টিনসহ কয়েকটি মার্কিন প্রতিষ্ঠান।
এদিকে ইসরায়েলে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে আরও তথ্য না পাওয়া পর্যন্ত সিদ্ধান্তটি স্থগিত রাখতে অনুরোধ জানিয়েছিলেন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতারা। তবে তাদের অনুরোধে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি হোয়াইট হাউস।
নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাট কংগ্রেস-সদস্য ও প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটির সদস্য গ্রেগরি মেকস বলেন, অস্ত্র বিক্রি সংক্রান্ত যেকোনো বড় প্রকল্পের অনুমোদনের আগে কংগ্রেসে দীর্ঘ পর্যালোচনার রীতি রয়েছে। এবার সেটা ভঙ্গ করার সিদ্ধান্তে আমি নিন্দা জানিয়েছি। গ্রেগরি মেকসের মতে, ইসরায়েলের কাছে অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব অনুমোদন করার প্রক্রিয়ায় কংগ্রেসকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।
এর আগে জানুয়ারির প্রথম দিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন কংগ্রেসকে ইসরায়েলের কাছে ৮০০ কোটি ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির প্রকল্পের কথা সামনে আনে। এর মধ্যেই গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।