ঢাকা ০১:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৫ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শামীম ওসমানের দাদার বাড়ি থেকে রড খুলে নিলো Logo নোবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটি জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০২৫ উদ্বোধন Logo পরিবর্তন করা হলো নোবিপ্রবির বিভিন্ন ভবন, হল, স্থাপনা ও প্রকল্পসমূহের নাম Logo শাজাহানপুরে ছাত্রশিবিরের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বর্ণাঢ্য র‍্যালি Logo নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের বিচার ও আওয়ামী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে গাজীপুরে ছাত্রদলের স্মারকলিপি প্রদান Logo নীলফামারীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে  ইসলামী ছাত্রশিবিরের ৪৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন Logo বিপিএল ফাইনালসহ টিভিতে যা দেখবেন আজ Logo সমাবেশে দাওয়াত না দেওয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের ব্যাপক সংঘর্ষ Logo ইজতেমা থেকে ফেরা ভারতীয় যুবককে পশ্চিমবঙ্গে ট্রেনে মারধর Logo ফুটবলকে বিদায় জানালেন মার্সেলো

পরিবর্তন করা হলো নোবিপ্রবির বিভিন্ন ভবন, হল, স্থাপনা ও প্রকল্পসমূহের নাম

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৭:৪৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 30

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন ভবন, হল, স্থাপনা ও প্রকল্পসমূহের বর্তমান নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (০৬ ফ্রেবুয়ারি ২০২৫) নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের ৬৪ তম সভার ১৮ নং আলোচ্যসূচির আলোকে নতুন নামকরণের এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় ।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নোবিপ্রবি বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের নাম হবে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন অডিটোরিয়াম, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বঙ্গবন্ধু কর্ণারের নাম হবে বাংলাদেশ কর্ণার, দেশরত্ন শেখ হাসিনা সমুদ্র বিজ্ঞান ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের নাম হবে সমুদ্র বিজ্ঞান ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প, মেডিকেল সেন্টারের নাম হবে শহিদ মুগ্ধ মেডিকেল সেন্টার, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের নাম হবে নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান হলের নাম হবে জুলাই শহিদ স্মৃতি ছাত্রী হল।

প্রজ্ঞাপনের পর শিক্ষার্থীরা অনেকে  এই সিদ্ধান্তেরসাধুবাদ জানালেও পাশাপাশি অনেকে সমালোচনা করেন।পাশাপাশি নোয়াখালী জেলার শহীদ ও খ্যাতিমান ব্যক্তিদের নামে নামকরণেরও দাবি  জানান।

এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তাহাসিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, “সবজায়গায় শহিদ মুগ্ধর নাম কেনো আনতে হবে? মুগ্ধ ছাড়া কি আর কেউ জুলাই আন্দোলনে শহিদ হয় নাই? নোয়াখালীর শহিদ রিজবীও তো ছিল।আরো একাধিক থাকতে পারে আমার জানা নেই।তাদের কারো নামেও তো কিছু করা যেত।শহিদ মুগ্ধের ত্যাগ যেমন অস্বীকার করা সম্ভব না।তেমনই অন্যদের ত্যাগকেও সমান গুরুত্ব দেয়া উচিত।যদি নিজ জেলা ই  তাদের মনে না রাখে তাহলে বাংলাদেশ মনে রাখবে কেমনে?”

আরেক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন “সব জায়গায় শহীদ আবু সায়েদ আর মুগ্ধ এর নামে করতে হবে কেন?প্রতিটি জেলা তার জেলায় শহীদের নামে নামকরণ করার দাবি জানাচ্ছে। অডিটোরিয়াম, মেয়েদের ২টা হলের নাম সেই অনুযায়ী হোক।তার পাশাপাশি বীর শ্রেষ্ঠ রহুল আমিন, সার্জেন্ট জহুরুল হক, ফৌজিয়া মুসলিম (ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় শহীদ)।”

আরেক শিক্ষার্থী জায়েদুল ইসলাম বলেন,”গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার একটা ফ্যাসিজম কায়েম করে গেছে।তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সরকারি স্থাপনার নাম রাজনৈতিক ব্যাক্তিকেন্দ্রীক নামকরণ ফ্যাসিবাদের একটা সিম্বল হিসেবে ধরা যায়।জুলাই বিপ্লব পরবর্তী ফ্যাসিবাদের এই সিম্বল গুলো বহাল তবিয়তে থাকা ফ্যাসিবাদী ধারা হিসেবে ধরে নেওয়া যায়।বর্তমান প্রশাসন যে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা হলের নাম পরিবর্তন করে জুলাই স্মৃতি ছাত্রী হল এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা হল রাখলো সেটা বিগত ফ্যাসিজমের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির সংস্কৃতিক ধাপ হিসেবে ধরে নেওয়া যায়।নোবিপ্রবি প্রশাসনের এই সাহসী পদক্ষেপের সাথে মালেক উকিল হলের নাম পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন হিসেবে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

শামীম ওসমানের দাদার বাড়ি থেকে রড খুলে নিলো

পরিবর্তন করা হলো নোবিপ্রবির বিভিন্ন ভবন, হল, স্থাপনা ও প্রকল্পসমূহের নাম

আপডেট সময় ০৭:৪৫:০৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) বিভিন্ন ভবন, হল, স্থাপনা ও প্রকল্পসমূহের বর্তমান নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (০৬ ফ্রেবুয়ারি ২০২৫) নোবিপ্রবি রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখ অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের ৬৪ তম সভার ১৮ নং আলোচ্যসূচির আলোকে নতুন নামকরণের এ সিদ্ধান্ত গৃহিত হয় ।

নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নোবিপ্রবি বীরমুক্তিযোদ্ধা হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস অডিটোরিয়ামের নাম হবে বীরশ্রেষ্ঠ শহিদ মোহাম্মদ রুহুল আমিন অডিটোরিয়াম, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বঙ্গবন্ধু কর্ণারের নাম হবে বাংলাদেশ কর্ণার, দেশরত্ন শেখ হাসিনা সমুদ্র বিজ্ঞান ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের নাম হবে সমুদ্র বিজ্ঞান ও সামুদ্রিক সম্পদ ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউট স্থাপন শীর্ষক প্রকল্প, মেডিকেল সেন্টারের নাম হবে শহিদ মুগ্ধ মেডিকেল সেন্টার, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হলের নাম হবে নবাব ফয়জুন্নেসা চৌধুরানী হল, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুুজিবুর রহমান হলের নাম হবে জুলাই শহিদ স্মৃতি ছাত্রী হল।

প্রজ্ঞাপনের পর শিক্ষার্থীরা অনেকে  এই সিদ্ধান্তেরসাধুবাদ জানালেও পাশাপাশি অনেকে সমালোচনা করেন।পাশাপাশি নোয়াখালী জেলার শহীদ ও খ্যাতিমান ব্যক্তিদের নামে নামকরণেরও দাবি  জানান।

এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তাহাসিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বলেন, “সবজায়গায় শহিদ মুগ্ধর নাম কেনো আনতে হবে? মুগ্ধ ছাড়া কি আর কেউ জুলাই আন্দোলনে শহিদ হয় নাই? নোয়াখালীর শহিদ রিজবীও তো ছিল।আরো একাধিক থাকতে পারে আমার জানা নেই।তাদের কারো নামেও তো কিছু করা যেত।শহিদ মুগ্ধের ত্যাগ যেমন অস্বীকার করা সম্ভব না।তেমনই অন্যদের ত্যাগকেও সমান গুরুত্ব দেয়া উচিত।যদি নিজ জেলা ই  তাদের মনে না রাখে তাহলে বাংলাদেশ মনে রাখবে কেমনে?”

আরেক শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন “সব জায়গায় শহীদ আবু সায়েদ আর মুগ্ধ এর নামে করতে হবে কেন?প্রতিটি জেলা তার জেলায় শহীদের নামে নামকরণ করার দাবি জানাচ্ছে। অডিটোরিয়াম, মেয়েদের ২টা হলের নাম সেই অনুযায়ী হোক।তার পাশাপাশি বীর শ্রেষ্ঠ রহুল আমিন, সার্জেন্ট জহুরুল হক, ফৌজিয়া মুসলিম (ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষার্থী সড়ক দুর্ঘটনায় শহীদ)।”

আরেক শিক্ষার্থী জায়েদুল ইসলাম বলেন,”গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ সরকার একটা ফ্যাসিজম কায়েম করে গেছে।তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সরকারি স্থাপনার নাম রাজনৈতিক ব্যাক্তিকেন্দ্রীক নামকরণ ফ্যাসিবাদের একটা সিম্বল হিসেবে ধরা যায়।জুলাই বিপ্লব পরবর্তী ফ্যাসিবাদের এই সিম্বল গুলো বহাল তবিয়তে থাকা ফ্যাসিবাদী ধারা হিসেবে ধরে নেওয়া যায়।বর্তমান প্রশাসন যে বঙ্গবন্ধু এবং বঙ্গমাতা হলের নাম পরিবর্তন করে জুলাই স্মৃতি ছাত্রী হল এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা হল রাখলো সেটা বিগত ফ্যাসিজমের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির সংস্কৃতিক ধাপ হিসেবে ধরে নেওয়া যায়।নোবিপ্রবি প্রশাসনের এই সাহসী পদক্ষেপের সাথে মালেক উকিল হলের নাম পরিবর্তন করে শিক্ষার্থীবান্ধব প্রশাসন হিসেবে আরেক ধাপ এগিয়ে যাবে।”