রাতে দেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমিমুক্ত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে তার ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন।
ফেসবুকে স্ট্যাটাসে হাসনাত আব্দুল্লাহ লেখেন, আজ রাতে বাংলাদেশ ফ্যাসিবাদের তীর্থভূমিমুক্ত হবে। এর আগে আজ বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কার্যালয়ে জনমত কর্মসূচি চালু প্রসঙ্গে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, শেখ হাসিনার ভাষণ গণমাধ্যমে প্রচারিত হলেই বুঝতে হবে তারা হাসিনাকে সহযোগিতা করছে।
তিনি আরো বলেন, হাসিনার ভাষণ যদি কোনো মিডিয়ায় প্রচার করা হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে, মিডিয়া হাসিনাকে এখনো সহযোগিতা করছে। জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে। সুশীলতাকে ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়েছে বলেই গণঅভ্যুত্থান হয়েছে। হাসিনার প্রশ্নে কোনো সুশীলতা নয়।
হাসনাত বলেন, ৫ আগস্টের পর শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ক্লোজড। তারা যদি প্রাসঙ্গিক থাকতই, তাহলে ৫ আগস্ট পালায়ে যাইতে হইত না। গণমাধ্যমের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, মিডিয়ায় এখনো দেখি ভাশুরের নাম মুখে নিতে কেমন যেন লাগে। এখনো সাবেক প্রধানমন্ত্রী লেখা হয়।
উনি কী সাবেক, নাকি ফ্যাসিবাদের ‘বুচার অব দিস মাদারল্যান্ড’? তিনি এই বাংলাদেশের বুচার (কসাই)। তিনি চেয়ার টিকিয়ে রাখতে দুই হাজার মানুষকে হত্যা করেছেন। কেন মিডিয়াতে ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা লেখা হয় না? ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনা যদি না লেখেন বা না বলেন, আপনারা আওয়ামী কাঠামো বা মিডিয়া রয়েছে, সেটির সিলসিলা অব্যাহত রাখছেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই নেতা বলেন, আমরা হাসিনা চ্যাপ্টার, ছাত্রলীগ চ্যাপ্টার ৫ আগস্ট ক্লোজ করে দিয়েছি। ৫ আগস্টের পর ফ্যাসিবাদবিরোধী যে দলগুলো আছে, তাদের সঙ্গে আমাদের মতের পার্থক্য হবে, রাজনৈতিক মতপার্থক্য হবে, বিভাজন থাকবে। কিন্তু এক জায়গায় স্পষ্ট, হাসিনা ও ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন কোনোভাবে এ দেশে হতে দেওয়া হবে না।