চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে ইউনিয়ন পরিষদের সারবোঝাই একটি ট্রলি আটক করেছে স্থানীয়রা। মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উপজেলার বাঁকা ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয়রা বলেন,বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার ও ইউনিয়ন বিএনপির সহসভাপতি খাদেমুল খোকন এ ঘটনায় জড়িত।
সার আটকের পর বাঁকা ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক রাজা ফেসবুকে লেখেন, ‘বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সেক্রেটারি মো. আবুল বাশার ও সহসভাপতি মো. খাদেমুল ইসলাম খোকন ভুয়া প্রকল্প করে মাটিভর্তি জৈব সার বাঁকা ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। বিষয়টি মিডিয়ায় প্রচার হওয়ায় ৪ ফেব্রুয়ারি রাত আনুমানিক ৮টার দিকে ট্রলি ভর্তি করে পাচার করার সময় জনতার ধাওয়া খেয়ে গাড়িসহ ধরা খায়। এই চোরের দায়দায়িত্ব বিএনপি নেবে না। এই দুজন বিএনপি নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির নেতা আবুল কাশেম জানায়, বিএনপি কোনো চোরের দল না। যদি ঘটনা সত্য হয় আমরা তাদের শাস্তি চাই।
বাঁকা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা মফিজুর রহমান বলেছেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ১২২ বস্তা সার চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় আটক করেছে জনতা। গাড়ির চালক এ ঘটনায় দুজনের নাম বলেছেন। আমাদের দাবি, তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
এ বিষয়ে বাঁকা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. আবুল বাশার বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছু জানি না। ইউনিয়ন পরিষদেরও কেউ নই। চেয়ারম্যান বরখাস্ত হওয়ায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনিই সারের অনুমোদন করেছিলেন। আমাকে জড়িয়ে কোনো তথ্য দেওয়া হলে তা মিথ্যা হবে।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন হোসেন বিশ্বাস জানায়, ট্রলিতে করে সার পাচারের সময় স্থানীয় লোকজন আটক করেছে। আমরা জিডিমূলে সারগুলো থানা হেফাজতে রেখেছি। এই সারের উৎস কী, কোথা থেকে এসেছে সেটি জানার জন্য প্রশাসনের কয়েকজনকে ফোন দিয়েছিলাম, তবে তারা কিছু বলতে পারেননি।