জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, শুধুমাত্র জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে তাদের নেতা-কর্মীদের হত্যা, গুম ও নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। দলের অফিস ও দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত তাদের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে এসবের পরেও সরকার তাদের দমিয়ে রাখতে পারেনি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, “এখন আবার আমাদের বিরুদ্ধে সমালোচনা শুরু হয়েছে। আমাদের ধৈর্যের পরীক্ষা নেওয়া হলে তার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে। ধৈর্যের পরীক্ষা নিলে আবার বিস্ফোরণ ঘটবে।”
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ৩টায় ফেনী শহরের একটি মিলনায়তনে শহীদ পরিবারের সদস্য ও আহতদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এ টি এম মাসুম, কুমিল্লা মহানগরের আমির কাজী দীন মোহাম্মদ, জেলা জামায়াতের আমির মুফতি আবদুল হান্নান, ইসলামী ছাত্রশিবিরের ফেনী শাখার সভাপতি আবু হানিফ হেলালসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
শফিকুর রহমান আরো বলেন, “ফ্যাসিবাদ এখন বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে এবং সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে আমরা পরিবর্তন এনেছি। শহীদদের পরিবারগুলোর দুরবস্থার কথা ভাবতে হবে, আহতদের চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে এবং শহীদদের রক্তের প্রতি সম্মান জানাতে হবে। আমাদের উচিত তাদের প্রতি ক্রেডিট না দেখানো, বরং তাদের সংগ্রামের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা।”
এছাড়া, পরশুরামের বল্লামুখা বাঁধ পরিদর্শন শেষে শফিকুর রহমান বলেন, “বাঁধের ভাঙন হওয়ার পেছনে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতির অভাব ছিল। অতীতে যারা এ কাজ করেছে, তারা এর ফল ভোগ করবে। তবে এর ক্ষতি দেশের জনগণকেও ভোগ করতে হচ্ছে, যা আমাদের খারাপ লাগে।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে শফিকুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য একটি সুষ্ঠু পরিবেশ প্রয়োজন। তেমন পরিবেশ সৃষ্টি না হলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব হবে না। তাই, ধৈর্য ধরে সরকারের সহযোগিতা করা উচিত।