বিপিএলের শুরুতেই টানা ৮ ম্যাচ জিতে চমক দেখালেও শেষটা রাঙাতে পারলো না রংপুর রাইডার্স। খুলনা টাইগার্সের কাছে হেরে টুর্নামেন্টের এলিমিনেটর থেকে বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে তাদের। ফলে দীর্ঘায়িত হলো রাইডার্সদের দ্বিতীয় শিরোপার অপেক্ষা। অন্যদিকে শিরোপা স্বপ্ন বেঁচে থাকলো খুলনা টাইগার্সের।
আজ সোমবার মিরপুরে এলিমিনেটর ম্যাচে মাঠে নামে রংপুর রাইডার্স ও খুলনা টাইগার্স। যেখানে আগে ব্যাট করে ১৬.৫ ওভারে মাত্র ৮৫ রানে গুটিয়ে যায় রংপুর। জবাবে ১০.২ ওভারে ৯ উইকেটে জয় তুলে নেয় খুলনা।
এদিন ৮৬ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই মিরাজকে হারায় খুলনা। ইনফর্ম এই ব্যাটারের ব্যর্থতার পরও জয় পেতে খুলনাকে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অ্যালেক্স রসকে সঙ্গে নিয়ে বাকি পথটা দাপটের সঙ্গেই পাড়ি দিয়েছেন নাঈম শেখ।
শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন নাঈম। অবিচ্ছিন্ন ৮৭ রানের জুটিতে নাঈমের ব্যাট থেকে এসেছে ৩৩ বলে অপরাজিত ৪৮ রান। আর রস অপরাজিত ছিলেন ২৭ বলে ২৯ রান করে।
এর আগে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন রংপুর অধিনায়ক নুরুল হাসান। ব্যাট করতে নেমে মহাবিপদে পড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। ইনিংসের দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিতে গিয়ে জেমস ভিন্সের সঙ্গে ভুল বুঝাবুঝিতে রান আউটের ফাঁদে পড়েন সৌম্য। পরের ওভারে নাসুমের শিকার হয়ে ফিরেছেন ভিন্স। ৭ বলে মোটে ১ রান করতে পেরেছেন এই ব্যাটার।
পরপর দুই ওপেনারের বিদায়ের পর হাল ধরতে পারেননি সাইফ হাসান ও শেখ মেহেদীরা। নাসুম আহমেদের দারুণ এক ডেলিভারিতে স্ট্যাম্প উপড়ে গেছে মেহেদীর। পরের ওভারে খুলনা কাপ্তান মেহেদী হাসান মিরাজের বলে মোহাম্মদ নেওয়াজের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন সাইফও। সাজঘরে ফেরার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ১০ বলে ৪ রান।
আজ ব্যাটিংয়ে কিছুটা ওপরের দিকে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন সাইফউদ্দিন। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারলেন না তিনিও। হাসান মাহমুদের বলে এলবিডব্লিউ হয়েছেন। রিভিউ নিয়েও শেষ রক্ষা হয়নি। এক চারের মারে ৮ বলে ৮ রানে থেমেছে তার লড়াই। টপ-অর্ডারের ৫ ব্যাটারকে হারিয়ে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে যায় রংপুর।
অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান দলকে টেনে তোলার চেষ্টায় ছিলেন। মিরাজের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৫ বলে ২৩ রান। প্লে-অফের জন্য উড়িয়ে আনা হয়েছিল ক্যারিবীয় ব্যাটিং দানব আন্দ্রে রাসেলকে। সেই সঙ্গে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার মারকুটে ব্যাটার টিম ডেভিড। দুজনই ব্যর্থ হয়েছেন। ডেভিড করেছেন ৯ বলে ৭ রান। রাসেল ৯ বলে ৪ রান করেন।
শেষ দিকে লড়াই চালিয়েছেন আকিফ জাভেদ। ১৮ বলে ৩২ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে দলের রানটাকে ৮৫ পর্যন্ত টেনে নেন আকিফ। খুলনার হয়ে ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন নাসুম আহমেদ এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। ১টি করে উইকেট শিকার করেন হাসান মাহমুদ, মোহাম্মদ নওয়াজ এবং মুশফিক হাসান।