ঢাকা ০৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জুনে হতে পারে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজনীতির মাঠে এখন অনেকটাই সক্রিয়। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ফলে এখনই দলকে আরও সুসংগঠিত করতে মাঠে নেমেছেন তারা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর জুন মাসে বিএনপির সপ্তম জাতীয় কাউন্সিল হতে পারে।

দলটির ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাকর্মীদের আশা, নেতৃত্বে তাদের জায়গা দেওয়া হবে। জাতীয় সম্মেলনে সশরীরে অংশ নেবেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপি দলীয় সূত্র বলছে, এ বছর দলের সপ্তম জাতীয় কাউন্সিল করতে চায় বিএনপি। এজন্য দায়িত্বশীল নেতাদের দুই মাসের মধ্যে ৮২টি সাংগঠনিক জেলা ও অধিভুক্ত উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে জেলাভিত্তিক আলাদা কমিটিও করছে তারা।

দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক তিন বছর পরপর বিএনপির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হওয়ার কথা। তবে গত ৯ বছর সে রীতি রক্ষা করতে পারেনি দলটি। সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন, হামলা-মামলা ও হয়রানির মুখে অনেকটাই নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি সামলে এখন জাতীয় কাউন্সিলের কথা ভাবছেন বিএনপির নেতারা।

তারা বলছেন, কাউন্সিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ হবে।

বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কমিটি দিয়েই এখনো চলছে বিএনপি। দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিল না হওয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে অনেক কমিটি। স্থায়ী কমিটি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলোতে এখনো প্রায় ১২০টি শূন্য পদ রয়েছে। তারেক রহমান দেশের বাইরে থেকে প্রতিনিয়ত দিকনির্দেশনা দিয়ে সক্রিয় রেখেছেন নেতাকর্মীদের। তিন বছর মেয়াদের কাউন্সিলে এবার তরুণদের কেউ কেউ নেতৃত্বে আসতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা হলে বিএনপির পক্ষ থেকে কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা আসতে পারে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দলের কাউন্সিলের ব্যাপারে দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এবার নেতাকর্মীদের জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দলে ইউনিটভিত্তিক কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি দেওয়া হচ্ছে। এই কার্যক্রম শেষ হলে জাতীয় কাউন্সিল হবে।’

ট্যাগস :

রংপুরকে বিদায় করে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে খুলনা

জুনে হতে পারে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিল

আপডেট সময় ০১:৩৮:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতাকর্মীরা রাজনীতির মাঠে এখন অনেকটাই সক্রিয়। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ফলে এখনই দলকে আরও সুসংগঠিত করতে মাঠে নেমেছেন তারা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর জুন মাসে বিএনপির সপ্তম জাতীয় কাউন্সিল হতে পারে।

দলটির ত্যাগী ও বঞ্চিত নেতাকর্মীদের আশা, নেতৃত্বে তাদের জায়গা দেওয়া হবে। জাতীয় সম্মেলনে সশরীরে অংশ নেবেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

বিএনপি দলীয় সূত্র বলছে, এ বছর দলের সপ্তম জাতীয় কাউন্সিল করতে চায় বিএনপি। এজন্য দায়িত্বশীল নেতাদের দুই মাসের মধ্যে ৮২টি সাংগঠনিক জেলা ও অধিভুক্ত উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিতর্কিত ও অনুপ্রবেশকারীদের ঠেকাতে জেলাভিত্তিক আলাদা কমিটিও করছে তারা।

দলীয় গঠনতন্ত্র মোতাবেক তিন বছর পরপর বিএনপির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল হওয়ার কথা। তবে গত ৯ বছর সে রীতি রক্ষা করতে পারেনি দলটি। সাবেক আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন, হামলা-মামলা ও হয়রানির মুখে অনেকটাই নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর পরিস্থিতি সামলে এখন জাতীয় কাউন্সিলের কথা ভাবছেন বিএনপির নেতারা।

তারা বলছেন, কাউন্সিলের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার পর কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ হবে।

বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ ২০১৬ সালে বিএনপির ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। ওই কমিটি দিয়েই এখনো চলছে বিএনপি। দীর্ঘদিন ধরে কাউন্সিল না হওয়ায় মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে অনেক কমিটি। স্থায়ী কমিটি, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিসহ গুরুত্বপূর্ণ কমিটিগুলোতে এখনো প্রায় ১২০টি শূন্য পদ রয়েছে। তারেক রহমান দেশের বাইরে থেকে প্রতিনিয়ত দিকনির্দেশনা দিয়ে সক্রিয় রেখেছেন নেতাকর্মীদের। তিন বছর মেয়াদের কাউন্সিলে এবার তরুণদের কেউ কেউ নেতৃত্বে আসতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে।

তিনি আরও জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা হলে বিএনপির পক্ষ থেকে কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণা আসতে পারে।

বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, দলের কাউন্সিলের ব্যাপারে দলের নীতি-নির্ধারণী ফোরাম থেকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এবার নেতাকর্মীদের জাতীয় কাউন্সিল হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দলে ইউনিটভিত্তিক কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি দেওয়া হচ্ছে। এই কার্যক্রম শেষ হলে জাতীয় কাউন্সিল হবে।’