ঢাকা ০২:০৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

‘বাংলাদেশপন্থীদের হাতে থাকবে বাংলাদেশ, দিল্লিপন্থীদের স্থান হবে না’

‘বাংলাদেশপন্থীদের হাতে থাকবে বাংলাদেশ, দিল্লিপন্থীদের স্থান হবে না’

‘বাংলাদেশপন্থীদের হাতে থাকবে বাংলাদেশ। এ দেশে দিল্লিপন্থীদের আর স্থান হবে না।’ আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক পথসভায় সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা প্রদানকালে অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা জানাতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পথসভার আয়োজন করে এলাকার ছাত্র-জনতা। এ সময় সরকারের এই উপদেষ্টাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার পর এই প্রথম নিজ এলাকায় সফরে যান মাহফুজ আলম।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা সকল রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন, নারী সংগঠন, আলেম-উলামা সবাই মিলে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে উৎখাত করেছি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে এবং যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মানুষের উপর এই গণহত্যা চালিয়েছে, নির্বিচার নিপীড়ন চালিয়েছে, লুট-পাট, গুম-খুন ও ধর্ষণ চালিয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, আমরা যদি ন্যূনতম সংস্কারগুলো না করে নির্বাচন করি, তাহলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যাবে এবং জনগণ কখনোই বৈষম্য মিশন মুক্ত হতে পারবে না। সুতরাং সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এবং সকল অংশীজনের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে ন্যূনতম সংস্কার করে, গণতান্ত্রিকভাবে পটপরিবর্তনের জন্য নির্বাচনী ব্যবস্থা করা হবে।

বক্তৃতাকালে তিনি চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, আমাদের লড়াই ৫৩ বছরের বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই। একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লড়াই।

এই উপদেষ্টা বলেন, যদি আওয়ামী লীগ আবারো ফিরে আসে, আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে।

এ সময় তিনি ৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠার সাথে সাথেই চারটি পত্রিকা রেখে সকল গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব। সকল গণতান্ত্রিক অধিকারকে নস্যাৎ করার প্রচেষ্টা করেছিলেন তিনি। মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলেন, ওইই সময়ের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করেছিলেন। তার নেতৃত্বে অনেক বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাদেরকে গুম করা হয়েছিল। ওই সময়ের আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনার সময়ের মতোই গুম-খুন, লুটপাট ও ধর্ষণ করেছিল। আমরা শেখ হাসিনা, শেখ মুজিবের শাসন আর চাই না। আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা আর চাই না। আমরা চাই, বাংলাদেশ বাংলাদেশপন্থীদের হাতে থাকবে। এ দেশে দিল্লিপন্থীদের আর স্থান হবে না।

মাহফুজ আলম বলেন, আমরা বলেছি, বিএনপি-জামায়াত, নির্বিশেষ যত ছাত্র সংগঠন, শ্রমিক, নারী, আলেম-ওলামা যারা আছে, সবাই বাংলাদেশপন্থী। তারা বাংলাদেশে থাকবেন। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এবং পজিটিভ একটি কম্পিটিশনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। তারা সবাই বাংলাদেশে একটি বৈষম্যবিরোধীমূলক এবং ইনসাফমূলক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করবেন। যারা বাংলাদেশপন্থী তাদের মধ্যকার নির্বাচন হবে। বাংলাদেশবিরোধী আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিবাদদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর চিটাগাং কিংস

‘বাংলাদেশপন্থীদের হাতে থাকবে বাংলাদেশ, দিল্লিপন্থীদের স্থান হবে না’

আপডেট সময় ০৪:০৭:৫৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৫

‘বাংলাদেশপন্থীদের হাতে থাকবে বাংলাদেশ। এ দেশে দিল্লিপন্থীদের আর স্থান হবে না।’ আজ শনিবার (২৫ জানুয়ারি) চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে এক পথসভায় সংবর্ধনা ও শুভেচ্ছা প্রদানকালে অন্তবর্তী সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম এ কথা বলেন।

উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে শুভেচ্ছা ও সংবর্ধনা জানাতে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে পথসভার আয়োজন করে এলাকার ছাত্র-জনতা। এ সময় সরকারের এই উপদেষ্টাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানানো হয়। অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার পর এই প্রথম নিজ এলাকায় সফরে যান মাহফুজ আলম।

উপদেষ্টা বলেন, আমরা সকল রাজনৈতিক দল, শ্রমিক সংগঠন, নারী সংগঠন, আলেম-উলামা সবাই মিলে ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে উৎখাত করেছি। কিন্তু ফ্যাসিস্ট হাসিনা যে প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর দাঁড়িয়ে এবং যেসব প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণে নিয়ে মানুষের উপর এই গণহত্যা চালিয়েছে, নির্বিচার নিপীড়ন চালিয়েছে, লুট-পাট, গুম-খুন ও ধর্ষণ চালিয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানকে সংস্কার ব্যতীত নির্বাচন হবে না।

তিনি বলেন, আমরা যদি ন্যূনতম সংস্কারগুলো না করে নির্বাচন করি, তাহলে এই প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে যাবে এবং জনগণ কখনোই বৈষম্য মিশন মুক্ত হতে পারবে না। সুতরাং সংস্কার কমিশনের রিপোর্টের ভিত্তিতে খুব শিগগির রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে এবং সকল অংশীজনের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে ন্যূনতম সংস্কার করে, গণতান্ত্রিকভাবে পটপরিবর্তনের জন্য নির্বাচনী ব্যবস্থা করা হবে।

বক্তৃতাকালে তিনি চাঁদপুর হাজীগঞ্জ উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। তিনি বলেন, আমাদের লড়াই ৫৩ বছরের বাংলাদেশকে একটি স্থিতিশীল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লড়াই। একটি ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লড়াই।

এই উপদেষ্টা বলেন, যদি আওয়ামী লীগ আবারো ফিরে আসে, আবার ফ্যাসিবাদ ফিরে আসবে।

এ সময় তিনি ৭৫ সালে শেখ মুজিবুর রহমানের কর্মকাণ্ড তুলে ধরে বলেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠার সাথে সাথেই চারটি পত্রিকা রেখে সকল গণমাধ্যম বন্ধ করে দিয়েছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান সাহেব। সকল গণতান্ত্রিক অধিকারকে নস্যাৎ করার প্রচেষ্টা করেছিলেন তিনি। মানুষের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নিয়েছিলেন, ওইই সময়ের বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদেরকে হত্যা করেছিলেন। তার নেতৃত্বে অনেক বিরোধী দলীয় রাজনৈতিক নেতাদেরকে গুম করা হয়েছিল। ওই সময়ের আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনার সময়ের মতোই গুম-খুন, লুটপাট ও ধর্ষণ করেছিল। আমরা শেখ হাসিনা, শেখ মুজিবের শাসন আর চাই না। আমরা বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের সেই ফ্যাসিবাদী ব্যবস্থা আর চাই না। আমরা চাই, বাংলাদেশ বাংলাদেশপন্থীদের হাতে থাকবে। এ দেশে দিল্লিপন্থীদের আর স্থান হবে না।

মাহফুজ আলম বলেন, আমরা বলেছি, বিএনপি-জামায়াত, নির্বিশেষ যত ছাত্র সংগঠন, শ্রমিক, নারী, আলেম-ওলামা যারা আছে, সবাই বাংলাদেশপন্থী। তারা বাংলাদেশে থাকবেন। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে এবং পজিটিভ একটি কম্পিটিশনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে একটি সুষ্ঠু শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। তারা সবাই বাংলাদেশে একটি বৈষম্যবিরোধীমূলক এবং ইনসাফমূলক শাসন ব্যবস্থা কায়েম করবেন। যারা বাংলাদেশপন্থী তাদের মধ্যকার নির্বাচন হবে। বাংলাদেশবিরোধী আওয়ামী লীগ, ফ্যাসিবাদদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেয়া হবে না।