ঢাকা ০৩:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নির্বাচনে ফিরতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব Logo যুক্তরাষ্ট্রের ২২ অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা Logo জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের দায়িত্ব থেকে সরে গেলেন সারজিস আলম Logo বিজিবি বাধায় সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া সরিয়ে নেয়ার আশ্বাস বিএসএফের Logo বাংলাদেশের সঙ্গে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে কাজ করবে ইউএনএইচসিআর Logo পাটুরিয়া-আরিচায় ঘন কুয়াশার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ Logo কাফন রেডি রাখিস, ছাত্রলীগ ফিরবে—বিএনপি কার্যালয়ে লিখা Logo চ্যাম্পিয়নস লিগে এক ম্যাচে ৯ গোল,শেষ হাসি বার্সেলোনার Logo পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি অভিযানে নিহত ১০, গাজায় মিলল শতাধিক গলিত লাশ Logo ‘মরার জন্য প্রস্তুত হ’ সমন্বয়কের বাড়ির দেয়ালে লিখে হুমকি

চ্যাম্পিয়নস লিগে এক ম্যাচে ৯ গোল,শেষ হাসি বার্সেলোনার

উত্তেজনার পারদ ঠাঁসা রোমাঞ্চে ভরপুর প্রতিটি মুহূর্ত। লিসবনের এস্তাদিও দা লুজে যা ঘটে গেল, তা অবিশ্বাস্য–অভাবনীয়। তবে এমন মহানাটকীয় ম্যাচে শেষ হাসি বার্সেলোনার।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার পর্তুগালের লিসবনে এক রুদ্ধশ্বাস ও হাড্ডাহাড্ডি লড়ায়ের সাক্ষী হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। ৯ গোলের সেয়ানে সেয়ানে ম্যাচে স্বাগতিক বেনফিকাকে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সা।

ভয়চেখ শেজনির জোড়া ভুলের পর রোনাল্ড আরাহোর আত্মঘাতী গোল; বে দলের সর্বনাশ হতে দেননি বরার্ট লেভানদোভস্কি-রাফিনিয়ারা। ৪-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া দলকে শেষ পর্যন্ত জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা।

ম্যাচের প্রথম আধা ঘন্টার মধ্যে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সা। শুরুতেই যেন ছিটকে দিয়েছিল তাদের ম্যাচ থেকে। একটা পর্যায়ে স্কোর রূপ নেয় ৪-২। আর সেখান থেলেই ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য এক গল্প লিখে হান্সি ফ্লিকের দল।

এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে শীর্ষ আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলোয় উঠে গেল বার্সেলোনা। সাত ম্যাচে ছয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ৩৬ দলের মধ্যে দুইয়ে আছে তারা।

বেনফিকার মাঠে এদিন বল মাঠে গড়াতেই পিছিয়ে পড়ে বার্সা। ম্যাচের তখন মাত্র এক মিনিট পেরিয়েছে। আলভারো কারেরাসের পাস থেকে বল পেয়ে জাল কাঁপাতে ভুল করেননি ভ্যানগেলিস পাভলিদিস।

ষষ্ঠ মিনিটে অল্পের জন্য দ্বিগুণ হয়নি ব্যবধান। শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ফ্রেদরিক। এদিকে সমতায় ফিরতে দেরি হয়নি সফরকারীদের। লেহান্দ্রো বাল্দে বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি থেকে ১৩তম মিনিটে গোল এনে দেন লেভানডফস্কি।

কিন্তু ২২তম মিনিটে বড় ভুলে দলকে পিছিয়ে দেন শেজনি। অনেকটা বাইরে এসে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় সতীর্থ বাল্দের পায়ে মেরে বসেন পোলিশ গোলরক্ষক, দুজনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আলগা বল পেয়ে ফাঁকা জালে পাঠান পাভলিদিস।

সেই ধাক্কা না কাটতেই আরো একটা ভুল করে বসেন শেজনি। ২৮তম মিনিটে বক্সে তিনি ফাউল করেন আকতুরকোগলুকে। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে সময় নেননি রেফারি। সফল স্পট-কিকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পাভলিদিস।

মাত্রা ৩০ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন পাভলিদিস। যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচের শুরু থেকে তৃতীয় দ্রুততম। এই দিকে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্লিকের দল। সেই সাথে ঝেঁকে বসে রাজ্যের শঙ্কা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রাফিনিয়া। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে তার গোলে ব্যবধান কমিয়ে ৩–২ করে ফেলে বার্সা। কিন্তু চার মিনিট না যেতেই দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করে বেনফিকা।

বার্সাকে অস্বস্তিতে ফেলেন আরাউহো। করেন আত্মঘাতী গোল। বক্সের বাঁ দিক থেকে প্রতিপক্ষের বাড়ানো বল স্লাইডে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিজেদের জালে পাঠান উরুগুয়ের ডিফেন্ডার।

তবে ৭৮তম মিনিটে আরেকটি পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান লেভানদোভস্কি। লামিন ইয়ামাল বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি দিয়েছিলেন রেফারি। আর ৮৬তম মিনিটে পেদ্রির ছোট কর্নার লাফিয়ে দারুণ হেডে জালে জড়ান এরিক গার্সিয়া। সমতায় ফেরে বার্সা।

বহু বাঁক বদলের ম্যাচে বার্সেলোনার জয়ের নায়ক রাফিনিয়া। ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গার জয়সূচক গোলটি করেছেন যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে, রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর ঠিক আগমুহূর্তে।

ফেররান তরেসের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। আর তাতেই উল্লাসে মেতে ওঠে গোটা বার্সেলোনা শিবির।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো দল ৪ গোল খেয়েও ম্যাচ জিতল। প্রথমবার এমনটা হয়েছিল ২০১৬ সালের নভেম্বরে, লেগিয়া ওয়ারশকে ৮-৪ গোলে হারিয়েছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।

জনপ্রিয় সংবাদ

নির্বাচনে ফিরতে পারবে না আওয়ামী লীগ: প্রেস সচিব

চ্যাম্পিয়নস লিগে এক ম্যাচে ৯ গোল,শেষ হাসি বার্সেলোনার

আপডেট সময় ০৯:০৬:৩২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২২ জানুয়ারী ২০২৫

উত্তেজনার পারদ ঠাঁসা রোমাঞ্চে ভরপুর প্রতিটি মুহূর্ত। লিসবনের এস্তাদিও দা লুজে যা ঘটে গেল, তা অবিশ্বাস্য–অভাবনীয়। তবে এমন মহানাটকীয় ম্যাচে শেষ হাসি বার্সেলোনার।

উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে মঙ্গলবার পর্তুগালের লিসবনে এক রুদ্ধশ্বাস ও হাড্ডাহাড্ডি লড়ায়ের সাক্ষী হয়েছে ফুটবল বিশ্ব। ৯ গোলের সেয়ানে সেয়ানে ম্যাচে স্বাগতিক বেনফিকাকে ৫-৪ ব্যবধানে হারিয়েছে বার্সা।

ভয়চেখ শেজনির জোড়া ভুলের পর রোনাল্ড আরাহোর আত্মঘাতী গোল; বে দলের সর্বনাশ হতে দেননি বরার্ট লেভানদোভস্কি-রাফিনিয়ারা। ৪-২ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়া দলকে শেষ পর্যন্ত জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা।

ম্যাচের প্রথম আধা ঘন্টার মধ্যে ৩-১ গোলে পিছিয়ে পড়ে বার্সা। শুরুতেই যেন ছিটকে দিয়েছিল তাদের ম্যাচ থেকে। একটা পর্যায়ে স্কোর রূপ নেয় ৪-২। আর সেখান থেলেই ঘুরে দাঁড়ানোর অবিশ্বাস্য এক গল্প লিখে হান্সি ফ্লিকের দল।

এই জয়ে এক ম্যাচ হাতে রেখে শীর্ষ আটে থেকে সরাসরি শেষ ষোলোয় উঠে গেল বার্সেলোনা। সাত ম্যাচে ছয় জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে ৩৬ দলের মধ্যে দুইয়ে আছে তারা।

বেনফিকার মাঠে এদিন বল মাঠে গড়াতেই পিছিয়ে পড়ে বার্সা। ম্যাচের তখন মাত্র এক মিনিট পেরিয়েছে। আলভারো কারেরাসের পাস থেকে বল পেয়ে জাল কাঁপাতে ভুল করেননি ভ্যানগেলিস পাভলিদিস।

ষষ্ঠ মিনিটে অল্পের জন্য দ্বিগুণ হয়নি ব্যবধান। শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ফ্রেদরিক। এদিকে সমতায় ফিরতে দেরি হয়নি সফরকারীদের। লেহান্দ্রো বাল্দে বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি থেকে ১৩তম মিনিটে গোল এনে দেন লেভানডফস্কি।

কিন্তু ২২তম মিনিটে বড় ভুলে দলকে পিছিয়ে দেন শেজনি। অনেকটা বাইরে এসে বল ক্লিয়ার করার চেষ্টায় সতীর্থ বাল্দের পায়ে মেরে বসেন পোলিশ গোলরক্ষক, দুজনই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। আলগা বল পেয়ে ফাঁকা জালে পাঠান পাভলিদিস।

সেই ধাক্কা না কাটতেই আরো একটা ভুল করে বসেন শেজনি। ২৮তম মিনিটে বক্সে তিনি ফাউল করেন আকতুরকোগলুকে। পেনাল্টির বাঁশি বাজাতে সময় নেননি রেফারি। সফল স্পট-কিকে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন পাভলিদিস।

মাত্রা ৩০ মিনিটে হ্যাটট্রিক করেন পাভলিদিস। যা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচের শুরু থেকে তৃতীয় দ্রুততম। এই দিকে ৩-১ গোলে পিছিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ফ্লিকের দল। সেই সাথে ঝেঁকে বসে রাজ্যের শঙ্কা।

তবে দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন রাফিনিয়া। ম্যাচের ৬৪ মিনিটে তার গোলে ব্যবধান কমিয়ে ৩–২ করে ফেলে বার্সা। কিন্তু চার মিনিট না যেতেই দুই গোলের লিড পুনরুদ্ধার করে বেনফিকা।

বার্সাকে অস্বস্তিতে ফেলেন আরাউহো। করেন আত্মঘাতী গোল। বক্সের বাঁ দিক থেকে প্রতিপক্ষের বাড়ানো বল স্লাইডে ক্লিয়ার করার চেষ্টায় নিজেদের জালে পাঠান উরুগুয়ের ডিফেন্ডার।

তবে ৭৮তম মিনিটে আরেকটি পেনাল্টি থেকে ব্যবধান কমান লেভানদোভস্কি। লামিন ইয়ামাল বক্সে ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিটি দিয়েছিলেন রেফারি। আর ৮৬তম মিনিটে পেদ্রির ছোট কর্নার লাফিয়ে দারুণ হেডে জালে জড়ান এরিক গার্সিয়া। সমতায় ফেরে বার্সা।

বহু বাঁক বদলের ম্যাচে বার্সেলোনার জয়ের নায়ক রাফিনিয়া। ব্রাজিলিয়ান এই উইঙ্গার জয়সূচক গোলটি করেছেন যোগ করা সময়ের ষষ্ঠ মিনিটে, রেফারি শেষ বাঁশি বাজানোর ঠিক আগমুহূর্তে।

ফেররান তরেসের উঁচু করে বাড়ানো বল ধরে বক্সে ঢুকে পড়েন রাফিনিয়া। এক ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে শটে জাল খুঁজে নেন তিনি। আর তাতেই উল্লাসে মেতে ওঠে গোটা বার্সেলোনা শিবির।

চ্যাম্পিয়নস লিগ ইতিহাসে এ নিয়ে মাত্র দ্বিতীয়বার কোনো দল ৪ গোল খেয়েও ম্যাচ জিতল। প্রথমবার এমনটা হয়েছিল ২০১৬ সালের নভেম্বরে, লেগিয়া ওয়ারশকে ৮-৪ গোলে হারিয়েছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।