ঢাকা ১২:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা Logo ‘পিআর পদ্ধতি সংযোজন ও গণভোটের মাধ্যমে জনগণের মতামত নেওয়া জরুরি’ Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার

ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ

ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় বাহিনীর ‘ব্যর্থতার’ জন্য তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পদত্যাগপত্রে হালেভি উল্লেখ করেছেন যে, ৭ অক্টোবরের হামলায় সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার জন্য তিনি দায় স্বীকার করছেন এবং সেই কারণেই পদত্যাগ করছেন। যদিও তিনি সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য সাফল্যের সময়ে পদত্যাগ করছেন, তবুও তিনি মানছেন যে, যুদ্ধে ইসরায়েলের ‘সব’ লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।

তিনি আরো বলেন, যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। সেনাবাহিনী হামাস ও তার শাসনক্ষমতা আরো ভেঙে দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে, জিম্মিদের ফেরত আনার নিশ্চয়তা দেবে’ এবং হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ইসরায়েলিদের তাদের ঘরে ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি করবে। হালেভি ছাড়াও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল ইয়ারন ফিংকেলম্যান পদত্যাগ করেছেন। তিনি গাজা অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন।

হালেভি ৬ মার্চ তার পদ থেকে সরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন, তার আগে ‘৭ অক্টোবরের ঘটনাগুলোর তদন্ত শেষ করবেন এবং সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি আরো শক্তিশালী করবেন’ বলে জানিয়েছেন। ইসরায়েলে ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার পর হামাসের সঙ্গে ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধে বিরতি কার্যকরের কিছুদিন পর এই দুজন পদত্যাগ করলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গাজা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায়। সেই হামলায় এক হাজার ২১০ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক।

পাশাপাশি হামলাকারীরা ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়, যার মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা ছিল। হামলার সময় গাজা ছিল কঠোর নজরদারির অধীনে এবং একটি অত্যাধুনিক সীমানা বেড়া দিয়ে ঘেরা, যার মধ্যে সেন্সর ও রিমোট-অপারেটেড মেশিনগান ছিল। সেখানে অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটি ও দক্ষিণাঞ্চলের আবাসিক কমিউনিটি, এমনকি একটি সংগীত উৎসবে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এদের বিরুদ্ধে পুরোপুরি কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সেনাবাহিনীকে তিন দিন সময় নিতে হয়।

জনপ্রিয় সংবাদ

জুলাই সনদে স্বাক্ষর শুক্রবার, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ইসরায়েলি সেনাপ্রধানের পদত্যাগ

আপডেট সময় ১০:০২:১১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

ইসরায়েলের সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল হার্জি হালেভি মঙ্গলবার পদত্যাগ করেছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের হামলায় বাহিনীর ‘ব্যর্থতার’ জন্য তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

পদত্যাগপত্রে হালেভি উল্লেখ করেছেন যে, ৭ অক্টোবরের হামলায় সেনাবাহিনীর ব্যর্থতার জন্য তিনি দায় স্বীকার করছেন এবং সেই কারণেই পদত্যাগ করছেন। যদিও তিনি সেনাবাহিনীর উল্লেখযোগ্য সাফল্যের সময়ে পদত্যাগ করছেন, তবুও তিনি মানছেন যে, যুদ্ধে ইসরায়েলের ‘সব’ লক্ষ্য অর্জিত হয়নি।

তিনি আরো বলেন, যুদ্ধের সব লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। সেনাবাহিনী হামাস ও তার শাসনক্ষমতা আরো ভেঙে দেওয়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যাবে, জিম্মিদের ফেরত আনার নিশ্চয়তা দেবে’ এবং হামলার কারণে বাস্তুচ্যুত হওয়া ইসরায়েলিদের তাদের ঘরে ফিরে আসার সুযোগ সৃষ্টি করবে। হালেভি ছাড়াও ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় সেনা কমান্ডের প্রধান মেজর জেনারেল ইয়ারন ফিংকেলম্যান পদত্যাগ করেছেন। তিনি গাজা অঞ্চলের দায়িত্বে ছিলেন।

হালেভি ৬ মার্চ তার পদ থেকে সরে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন, তার আগে ‘৭ অক্টোবরের ঘটনাগুলোর তদন্ত শেষ করবেন এবং সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি আরো শক্তিশালী করবেন’ বলে জানিয়েছেন। ইসরায়েলে ইতিহাসের সবচেয়ে প্রাণঘাতী হামলার পর হামাসের সঙ্গে ১৫ মাস ধরে চলা যুদ্ধে বিরতি কার্যকরের কিছুদিন পর এই দুজন পদত্যাগ করলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি যোদ্ধা গাজা থেকে দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায়। সেই হামলায় এক হাজার ২১০ জন নিহত হয়, যাদের বেশির ভাগই ছিল বেসামরিক নাগরিক।

পাশাপাশি হামলাকারীরা ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায়, যার মধ্যে নারী, শিশু ও বৃদ্ধরা ছিল। হামলার সময় গাজা ছিল কঠোর নজরদারির অধীনে এবং একটি অত্যাধুনিক সীমানা বেড়া দিয়ে ঘেরা, যার মধ্যে সেন্সর ও রিমোট-অপারেটেড মেশিনগান ছিল। সেখানে অত্যাধুনিক প্রতিরক্ষা সত্ত্বেও ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা ইসরায়েলের একটি প্রধান সামরিক ঘাঁটি ও দক্ষিণাঞ্চলের আবাসিক কমিউনিটি, এমনকি একটি সংগীত উৎসবে নজিরবিহীন হামলা চালায়। এদের বিরুদ্ধে পুরোপুরি কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সেনাবাহিনীকে তিন দিন সময় নিতে হয়।