ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কোচিং না করে নিরলস অধ্যয়নে মেডিকেল ভর্তিতে দেশসেরা সুশোভন

কোচিং না করে নিরলস অধ্যয়নে মেডিকেল ভর্তিতে দেশসেরা সুশোভন

মেডিকেল ভর্তি কোচিং না করেও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা ফলাফল অর্জন করেছেন খুলনার সুশোভন বাছাড়। আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে বাছাড়ের পরিবারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সুশোভনের বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবে। কিন্তু সে জন্য কোনো কোচিংয়ে তাঁকে পড়ানো হয়নি। বাড়িতে পড়েই পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা দিয়ে বলেছিল ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবে। সেটাই হয়েছে। প্রথম হবে এটা ভাবিনি। তবে চান্স পাবে জানতাম।’

সুশোভনের মা বন্দনা সেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তারপর কেঁদে ফেলেছিলাম।’

সুশোভন বাছাড় গণমাধ্যমকে বলে, ‘আমি কখনো টাইম হিসেব করে পড়াশোনা করিনি। রাত জেগে কখনো পড়িনি। এটাকে সাপোর্টও করি না। পড়ার বাইরে খেলাধুলা করতাম। তবে আমি বই পড়া খুব পছন্দ করি। গল্প, উপন্যাস থেকে শুরু করে সায়েনস ফিকশন, থ্রিলার-জাতীয় বই আমার খুব প্রিয়।’

তিনি বলেন, ‘ফার্স্ট হওয়া দেখে আমার প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল এটা ভুল। ছোটবেলা থেকেই আমার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা। এই পেশাটাকে আমার অন্যরকম ভালো লাগে। মনে হতো আমি যদি তাঁদের মতো হতে পারতাম। সেভাবেই পড়াশোনা করি। দোয়া করবেন যেন ভালো ডাক্তার হতে পারি। কুয়েটেও চান্স হয়েছে।’

জানা গেছে, সুশোভনের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে। থাকেন খুলনা নগরের আজিজের মোড় এলাকায়। তাঁর বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় খুলনার টি অ্যান্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। মা বন্দনা সেন একসময় শিক্ষক ছিলেন। তবে এখন গৃহিণী। সুভাস চন্দ্র ও বন্দনা সেন দম্পতির একমাত্র সন্তান সুশোভন।

জনপ্রিয় সংবাদ

একসঙ্গে তিন শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ওএসডি

কোচিং না করে নিরলস অধ্যয়নে মেডিকেল ভর্তিতে দেশসেরা সুশোভন

আপডেট সময় ০৯:২৪:২১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

মেডিকেল ভর্তি কোচিং না করেও ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় দেশসেরা ফলাফল অর্জন করেছেন খুলনার সুশোভন বাছাড়। আজ রোববার (১৯ জানুয়ারি) রাতে বাছাড়ের পরিবারের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

সুশোভনের বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হবে। কিন্তু সে জন্য কোনো কোচিংয়ে তাঁকে পড়ানো হয়নি। বাড়িতে পড়েই পরীক্ষা দিয়েছে। পরীক্ষা দিয়ে বলেছিল ৯০ শতাংশের বেশি নম্বর পাবে। সেটাই হয়েছে। প্রথম হবে এটা ভাবিনি। তবে চান্স পাবে জানতাম।’

সুশোভনের মা বন্দনা সেন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি শুনে প্রথমে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তারপর কেঁদে ফেলেছিলাম।’

সুশোভন বাছাড় গণমাধ্যমকে বলে, ‘আমি কখনো টাইম হিসেব করে পড়াশোনা করিনি। রাত জেগে কখনো পড়িনি। এটাকে সাপোর্টও করি না। পড়ার বাইরে খেলাধুলা করতাম। তবে আমি বই পড়া খুব পছন্দ করি। গল্প, উপন্যাস থেকে শুরু করে সায়েনস ফিকশন, থ্রিলার-জাতীয় বই আমার খুব প্রিয়।’

তিনি বলেন, ‘ফার্স্ট হওয়া দেখে আমার প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। মনে হচ্ছিল এটা ভুল। ছোটবেলা থেকেই আমার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা। এই পেশাটাকে আমার অন্যরকম ভালো লাগে। মনে হতো আমি যদি তাঁদের মতো হতে পারতাম। সেভাবেই পড়াশোনা করি। দোয়া করবেন যেন ভালো ডাক্তার হতে পারি। কুয়েটেও চান্স হয়েছে।’

জানা গেছে, সুশোভনের গ্রামের বাড়ি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার আনুলিয়া ইউনিয়নে। থাকেন খুলনা নগরের আজিজের মোড় এলাকায়। তাঁর বাবা সুভাস চন্দ্র বাছাড় খুলনার টি অ্যান্ড টি আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি বিষয়ের শিক্ষক। মা বন্দনা সেন একসময় শিক্ষক ছিলেন। তবে এখন গৃহিণী। সুভাস চন্দ্র ও বন্দনা সেন দম্পতির একমাত্র সন্তান সুশোভন।