ঢাকা ০২:০৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo খালেদা জিয়াকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিশন Logo বিএনপি নেতার অনুসারীদের হামলায় আহত যুবদল নেতা Logo রাকসুর ভোটগ্রহণ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন: পর্যবেক্ষণ দল Logo জুলাই আন্দোলনে কোনো মাস্টারমাইন্ড ছিলো না: আসিফ মাহমুদ Logo শিক্ষার্থীদের যোগ্যতা ও নৈতিকতা বিকাশে আলিয়া মাদ্রাসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: ড. হেদায়াত উল্লাহ Logo চাকসু নির্বাচনের পর পদ হারালেন চবি ছাত্রদলের ৪ নেতা Logo দ্বীন প্রতিষ্ঠায় নারীদের ঐতিহাসিক ভূমিকা পালন করতে হবে: জামায়াত আমির Logo বিএনপি ইসলামী মূল্যবোধে বিশ্বাসী: সালাউদ্দিন আহমদ Logo ‘সেলিম ভূঁইয়াকে অব্যাহতি না দিলে নির্বাচনে ৬ লাখ শিক্ষক পরিবার বিএনপিকে জবাব দেবে’ Logo চার ঘন্টায়ও নিয়ন্ত্রণে আসেনি চট্টগ্রাম ইপিজেডে লাগা আগুন

বাংলাদেশের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক চায় ভারত

বাংলাদেশের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক চায় ভারত

সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর জের ধরে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল ঢাকা। জবাবে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছিল দিল্লি।

এসব বিষয় নিয়ে আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বলেন, “আমরা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে আমাদের অবস্থান একাধিকবার স্পষ্ট করেছি। আমাদের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়ে এসেছেন, আমরা ইতিবাচক সম্পর্ক চাই। আমরা ইতিবাচক দিকে এগোতে চাই। আমরা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এমন সম্পর্ক চাই যা দুই দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। এটি হলো আমরা ইতিবাচক অবস্থান এবং আমাদের এ চাওয়া অব্যাহত আছে।”

অপরদিকে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে এই কূটনীতিক বলেছেন, “আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। আমরা বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করে সীমান্ত বেড়া নিয় আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্টভাবে জানিয়েছি। আমরা বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যা বলেছি তা আবারও বলছি, আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কার্যক্রম, পাচার, কাঁটাতারের বেড়া, লাইট ও প্রযুক্তিগত ডিভাইস স্থাপন এবং গবাদি পশুর বেড়া নির্মাণ করে অপরাধমুক্ত সীমান্ত চাই আমরা। এ ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর।”

পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এ মাসের শুরুতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এতে বাধা দেয় বিজিবি। এরপর থেকে ভারত সীমান্তে বেড়া নির্মাণ বন্ধ রেখেছে। ভারত দাবি করছে, তারা চুক্তি অনুযায়ী বেড়া তৈরি করছে। তবে ঢাকা জানিয়েছে, সাবেক সরকারের আমলে হওয়া এ চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

খালেদা জিয়াকে জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে কমিশন

বাংলাদেশের সাথে ইতিবাচক সম্পর্ক চায় ভারত

আপডেট সময় ১০:৪০:৫৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

সীমান্তে বিএসএফের কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর জের ধরে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতকে তলব করেছিল ঢাকা। জবাবে বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছিল দিল্লি।

এসব বিষয় নিয়ে আজ শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে কথা বলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বলেন, “আমরা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে আমাদের অবস্থান একাধিকবার স্পষ্ট করেছি। আমাদের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকা সফরে গিয়েছিলেন। তিনি জানিয়ে এসেছেন, আমরা ইতিবাচক সম্পর্ক চাই। আমরা ইতিবাচক দিকে এগোতে চাই। আমরা বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে এমন সম্পর্ক চাই যা দুই দেশের জনগণের জন্য কল্যাণকর হবে। এটি হলো আমরা ইতিবাচক অবস্থান এবং আমাদের এ চাওয়া অব্যাহত আছে।”

অপরদিকে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া নিয়ে এই কূটনীতিক বলেছেন, “আমরা আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছি। আমরা বাংলাদেশের ডেপুটি হাইকমিশনারকে তলব করে সীমান্ত বেড়া নিয় আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্টভাবে জানিয়েছি। আমরা বাংলাদেশি বন্ধুদের সঙ্গে যা বলেছি তা আবারও বলছি, আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কার্যক্রম, পাচার, কাঁটাতারের বেড়া, লাইট ও প্রযুক্তিগত ডিভাইস স্থাপন এবং গবাদি পশুর বেড়া নির্মাণ করে অপরাধমুক্ত সীমান্ত চাই আমরা। এ ব্যাপারে আমরা বদ্ধপরিকর।”

পশ্চিমবঙ্গের মালদা ও বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের সীমান্তবর্তী অঞ্চলে এ মাসের শুরুতে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শুরু করে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। এতে বাধা দেয় বিজিবি। এরপর থেকে ভারত সীমান্তে বেড়া নির্মাণ বন্ধ রেখেছে। ভারত দাবি করছে, তারা চুক্তি অনুযায়ী বেড়া তৈরি করছে। তবে ঢাকা জানিয়েছে, সাবেক সরকারের আমলে হওয়া এ চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে।