ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৫, ৩০ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন Logo মুন্সীগঞ্জে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতের মানববন্ধন Logo চাকসু নির্বাচন: ভোট গ্রহণের পর কেন্দ্র পাহারায় ছাত্রীরা Logo সুন্দরগঞ্জে সরকারি হাসপাতালে অ্যানথ্রাক্স চিকিৎসায় অনীহা, বিপাকে রোগীরা Logo মুগ্ধতা ছড়িয়ে বিদায় নিলেন শাজাহানপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রাশেদ হাসান Logo পাকিস্তান-আফগানিস্তান ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতিতে সম্মত Logo জকসু নির্বাচন উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা ও প্রস্তুতি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়ে ৩২ বিলিয়ন ডলার Logo রাকসুর আচরণবিধি লঙ্ঘন করে ছাত্রদল নেতা আমানের ক্যাম্পাসে অবস্থান Logo বিশ্বে শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশ ১০০তম

চটপটি ও রেস্তোরাঁর জন্য ২৩৪ কোটি ঋণ নেন এস আলম!

চটপটি ও রেস্তোরাঁর জন্য ২৩৪ কোটি ঋণ নেন এস আলম!

চটপটির দোকান ও দুটি রেস্তোরাঁ রয়েছে এমন তথ্য-উপাত্ত দেখিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৩টি শাখা থেকে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সাইফুল আলম মাসুদের (এস আলম) মালিকানাধীন চট্টগ্রামের নওরোজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

মালিক নাজমি নওরোজ হলেও প্রকৃত অর্থে ঋণের টাকা যায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদের পকেটে। এমন অনিয়ম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে নওরোজ এন্টারপ্রাইজের একটি চটপটির দোকান ও দুটি রেস্তোরাঁর বিপরীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৩৪ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ প্রদানের অনিয়েমের অভিযোগে নওরোজ এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজমি নওরোজ ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এই ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়। এ সব অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইট অ্যান্ড ট্রিট নামের চটপটির দোকানটি নগরীর আসকার দিঘির পাড়ে। এর পাশেই ফিউশন ইটস নামের একটি রেস্তোরাঁ ও অপরটি লা এরিস্টোক্রেসি নামের রেস্তোরাঁটি তিনবার জায়গা বদল করে এখন নগরীর আগ্রাবাদে। সামান্য ব্যবসার বিপরীতে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে লা এরিস্টোক্রেসি রেস্তোরাঁটির নামে ২ কোটি টাকার ঋণসীমা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নাজমি নওরোজ উত্তোলন করেছেন ৭০ কোটি টাকা, যা সুদ-আসলে ১১৭ কোটি টাকা হয়েছে। ওই টাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আসকার দিঘির পাড়ের মহিলা শাখা থেকে।

একই প্রতিষ্ঠানের নামে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে অবস্থিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে ৫৪ কোটি টাকা ঋণ উত্তোলণ হয়। যা সুদে-আসলে ৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা হয়েছে। এর বাইরে ব্যাংকটির চকবাজার শাখা থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে ২৭ কোটি টাকা। চকবাজার শাখার পুরো টাকাসহ অন্যান্য ঋণ এস এলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদ নিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শিক্ষকের উপর পুলিশী হামলার প্রতিবাদে কুষ্টিয়ায় শিক্ষক-কর্মচারীদের বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন

চটপটি ও রেস্তোরাঁর জন্য ২৩৪ কোটি ঋণ নেন এস আলম!

আপডেট সময় ০৯:২৯:২৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫

চটপটির দোকান ও দুটি রেস্তোরাঁ রয়েছে এমন তথ্য-উপাত্ত দেখিয়ে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ৩টি শাখা থেকে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে সাইফুল আলম মাসুদের (এস আলম) মালিকানাধীন চট্টগ্রামের নওরোজ এন্টারপ্রাইজ নামে একটি প্রতিষ্ঠান।

মালিক নাজমি নওরোজ হলেও প্রকৃত অর্থে ঋণের টাকা যায় এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদের পকেটে। এমন অনিয়ম খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে নওরোজ এন্টারপ্রাইজের একটি চটপটির দোকান ও দুটি রেস্তোরাঁর বিপরীতে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৩৪ কোটি টাকা ব্যাংক ঋণ প্রদানের অনিয়েমের অভিযোগে নওরোজ এন্টারপ্রাইজের মালিক নাজমি নওরোজ ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।

এই ঋণ জালিয়াতির সঙ্গে এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে বলে গোয়েন্দা তথ্য পাওয়া যায়। এ সব অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুদক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ইট অ্যান্ড ট্রিট নামের চটপটির দোকানটি নগরীর আসকার দিঘির পাড়ে। এর পাশেই ফিউশন ইটস নামের একটি রেস্তোরাঁ ও অপরটি লা এরিস্টোক্রেসি নামের রেস্তোরাঁটি তিনবার জায়গা বদল করে এখন নগরীর আগ্রাবাদে। সামান্য ব্যবসার বিপরীতে ২৩৪ কোটি টাকা ঋণ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে লা এরিস্টোক্রেসি রেস্তোরাঁটির নামে ২ কোটি টাকার ঋণসীমা নেওয়ার সুযোগ থাকলেও নাজমি নওরোজ উত্তোলন করেছেন ৭০ কোটি টাকা, যা সুদ-আসলে ১১৭ কোটি টাকা হয়েছে। ওই টাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের আসকার দিঘির পাড়ের মহিলা শাখা থেকে।

একই প্রতিষ্ঠানের নামে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে অবস্থিত ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক শাখা থেকে ৫৪ কোটি টাকা ঋণ উত্তোলণ হয়। যা সুদে-আসলে ৯০ কোটি ৪৫ লাখ টাকা হয়েছে। এর বাইরে ব্যাংকটির চকবাজার শাখা থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে ২৭ কোটি টাকা। চকবাজার শাখার পুরো টাকাসহ অন্যান্য ঋণ এস এলম গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যাংকটির মালিক সাইফুল আলম মাসুদ নিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।