ঢাকা ১১:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৩০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ফেব্রুয়ারিতেই ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির Logo সাতক্ষীরা সীমান্তে বিএসএফের ৪ রাউন্ড ফাঁকা গুলি Logo ভারতের কাছে বাংলাদেশ কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ: ভারতের সেনাপ্রধান Logo বাড়ির দেয়ালে লেখা ‘ সমন্বয়ক মৃত্যুর জন্য প্রস্তুত হ’ Logo সিরাজগঞ্জে শিশু নির্যাতনের অভিযোগে বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo এবার মাদকরোধক ডিসপ্লেতে ‘ছাত্রলীগ আবার ভয়ঙ্কর রূপে ফিরে আসবে’ Logo চ্যাম্পিয়নস ট্রফি থেকে বাদ পড়া লিটন যায়গা পেলেন পিএসএলে Logo পাকিস্তান বাংলাদেশ ‘যৌথ ব্যবসায়িক পরিষদ’ গঠনে সমঝোতা Logo চীনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে মির্জা ফখরুলের বৈঠক Logo টিউলিপকে বরখাস্তে প্রবল চাপের মুখে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী

হুইল চেয়ার ছাড়াই হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া

লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বর্তমানে হুইল চেয়ার ছাড়াই তিনি হাঁটাহাটি করতে পারছেন।

এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, গতকাল রবিবার অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি দেখে গেছেন খালেদা জিয়াকে। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা চলছে তার।

তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টগুলো আসতে শুরু করেছে। সব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সেগুলোর ভিত্তিতে পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ডাক্তাররা। তবে তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বেশ ভালো। চিকিৎসার পাশাপাশি সব সময় দেশের খোঁজ খবর নিচ্ছেন তিনি। দেশের জনগণের পাশে থাকতে দলীয় কর্মীদের দিয়েছেন নির্দেশনা।

এ বিষয়ে বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী জানান, হাসপাতালে হুইল চেয়ার ছাড়াই হাঁটাহাটি করেছেন খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিদিনই রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে বিএনপি নেত্রীর। আজ সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

এদিকে, প্রতিদিনের মতো গতকালও স্থানীয় সময় দুপুরে বাড়িতে তৈরি খাবার নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। এসময় সংবাদিকরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে মায়ের জন্য দোয়া চান তিনি।

উল্লেখ্য, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। এর মধ্যে কয়েকবার তিনি জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও পড়েন। একাধিকবার তার মৃত্যুর গুজবও ছড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দী হয়েছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

এরপর গত মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফেব্রুয়ারিতেই ছাত্র সংসদ-ডাকসু নির্বাচন চায় ছাত্রশিবির

হুইল চেয়ার ছাড়াই হাঁটতে পারছেন খালেদা জিয়া

আপডেট সময় ০১:০৪:০৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫

লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বর্তমানে হুইল চেয়ার ছাড়াই তিনি হাঁটাহাটি করতে পারছেন।

এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, গতকাল রবিবার অধ্যাপক জন প্যাট্রিক কেনেডি দেখে গেছেন খালেদা জিয়াকে। এই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের অধীনেই লন্ডন ক্লিনিকে চিকিৎসা চলছে তার।

তিনি জানান, খালেদা জিয়ার শারীরিক পরীক্ষার রিপোর্টগুলো আসতে শুরু করেছে। সব রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর সেগুলোর ভিত্তিতে পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন ডাক্তাররা। তবে তার শারীরিক ও মানসিক অবস্থা বেশ ভালো। চিকিৎসার পাশাপাশি সব সময় দেশের খোঁজ খবর নিচ্ছেন তিনি। দেশের জনগণের পাশে থাকতে দলীয় কর্মীদের দিয়েছেন নির্দেশনা।

এ বিষয়ে বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী জানান, হাসপাতালে হুইল চেয়ার ছাড়াই হাঁটাহাটি করেছেন খালেদা জিয়া। শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। প্রতিদিনই রুটিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা চলছে বিএনপি নেত্রীর। আজ সোমবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের পরামর্শে হবে বিশেষ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা।

এদিকে, প্রতিদিনের মতো গতকালও স্থানীয় সময় দুপুরে বাড়িতে তৈরি খাবার নিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যান তারেক রহমান ও পুত্রবধূ ডা. জোবাইদা রহমান। এসময় সংবাদিকরা খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইলে মায়ের জন্য দোয়া চান তিনি।

উল্লেখ্য, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন। এর মধ্যে কয়েকবার তিনি জীবন–মৃত্যুর সন্ধিক্ষণেও পড়েন। একাধিকবার তার মৃত্যুর গুজবও ছড়ায়। এমন পরিস্থিতিতে দল ও পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের কাছে তার বিদেশে চিকিৎসার অনুমতি চেয়ে আবেদন করা হয়। সরকার তাতে সাড়া দেয়নি।

৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতির এক আদেশে খালেদা জিয়া মুক্তি পান। এরপর দুর্নীতির যে দুটি মামলায় তিনি কারাবন্দী হয়েছিলেন, সেগুলোর রায় বাতিল করেন আদালত।

এরপর গত মঙ্গলবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়েন খালেদা জিয়া।