ঢাকা ১১:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৯ অগাস্ট ২০২৫, ২৫ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, এ সরকার চব্বিশটা বাজায়ে দিসে: মির্জা আব্বাস Logo প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে টাইফয়েডের টিকা পাবে ৫ কোটি শিশু Logo কুষ্টিয়ায় জামায়াতের রোকন সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo ডাকাতির চেষ্টায় গণপিটুনির শিকার সেই বিএনপি নেতা বহিষ্কার Logo জবির আইইআর-এ র‌্যাগিং, ১০ দিনেও উদ্যোগহীন পরিচালক; আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে ভুক্তভোগীরা Logo ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সংসদ নির্বাচন : সিইসি Logo নাটোরে মিনি স্টেডিয়াম উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা Logo সাংবাদিক তুহিন হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে অন্যতম আসামি স্বাধীন Logo আগামীর কর্মপরিকল্পনা নিয়ে জুলাই মঞ্চ লক্ষ্মীপুরের আলোচনা সভা Logo আগামীর সংবিধানে ইসলামী শ্রমনীতি অন্তর্ভুক্তির বিকল্প নেই

‘সংবিধানের যে ধারা জনগণের কথা বলবে না, সেগুলো থাকতে পারবে না’

‘সংবিধানের যে ধারা জনগণের কথা বলবে না, সেগুলো থাকতে পারবে না’

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পুরো দেশের সামনে ঘোষণা করতে হবে।

তিনি এই মন্তব্যটি করেছেন বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নরসিংদীর শিবপুরে সাত দফা দাবি সম্বলিত জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়ে এবং জনমত গঠনে লিফলেট বিতরণকালে।

সারজিস আলম বলেন, ৭১ যেমন আমাদের শিকর হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি পেয়েছে, তেমনই ২৪ও আমাদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে সংবিধানে ঠাঁই পাবে। এত মানুষ রক্ত ও জীবন দিয়ে সংগ্রাম করে খুনি হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে। এটা ঘোষণাপত্রে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বিষয়টি লিখিত আকারে থাকুক। এই ঘোষণাটা লিখিত আকারে সংবিধানে স্থান দেওয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের কথা পরিষ্কার করে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে। অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। ১৯৪৭ সালের পাকিস্তানের আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ এর জুলাই গনঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করতে হবে। প্রত্যেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।

সারজিস আলম বলেন, ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক জনগণের সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। যে সংবিধান জনগণের কথা বলবে, সে সংবিধান থাকবে। যে ধারা জনগণের কথা বলবে না, সে ধারাগুলো সংবিধানে থাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের একমাত্র লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না, বরং ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যাবে না। ধর্মের দোহাই দিয়ে ভাগ করা যাবে না। পেশা দিয়ে ভাগ করা যাবে না। সবাইকে সমান নাগরিক সুবিধা থাকতে হবে। একজন ভিআইপি সুবিধা পাবে অন্য জন পাবে না তা আর হবে না।

জনপ্রিয় সংবাদ

হাসিনা বারোটা বাজিয়েছে, এ সরকার চব্বিশটা বাজায়ে দিসে: মির্জা আব্বাস

‘সংবিধানের যে ধারা জনগণের কথা বলবে না, সেগুলো থাকতে পারবে না’

আপডেট সময় ০৯:২৩:১৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ জানুয়ারী ২০২৫

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে নিদিষ্ট সময়ের মধ্যে জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র পুরো দেশের সামনে ঘোষণা করতে হবে।

তিনি এই মন্তব্যটি করেছেন বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে নরসিংদীর শিবপুরে সাত দফা দাবি সম্বলিত জুলাই ঘোষণাপত্র প্রকাশের দাবি জানিয়ে এবং জনমত গঠনে লিফলেট বিতরণকালে।

সারজিস আলম বলেন, ৭১ যেমন আমাদের শিকর হিসেবে সংবিধানে স্বীকৃতি পেয়েছে, তেমনই ২৪ও আমাদের অস্তিত্বের লড়াই হিসেবে সংবিধানে ঠাঁই পাবে। এত মানুষ রক্ত ও জীবন দিয়ে সংগ্রাম করে খুনি হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে। এটা ঘোষণাপত্রে স্বীকৃতি দেওয়া উচিত। জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের বিষয়টি লিখিত আকারে থাকুক। এই ঘোষণাটা লিখিত আকারে সংবিধানে স্থান দেওয়া হোক।

তিনি আরও বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের কথা পরিষ্কার করে ঘোষণাপত্রে উল্লেখ থাকতে হবে। অভ্যুত্থানে আওয়ামী খুনি ও ফ্যাসিস্টদের বিচার নিশ্চিত করার স্পষ্ট অঙ্গীকার ব্যক্ত করতে হবে। ১৯৪৭ সালের পাকিস্তানের আন্দোলন, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ এর জুলাই গনঅভ্যুত্থানের ধারাবাহিকতা পরিষ্কার করতে হবে। প্রত্যেকটি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ।

সারজিস আলম বলেন, ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র ব্যবস্থার মূল ভিত্তি সংবিধান বাতিল করে নির্বাচিত গণপরিষদ গঠনের মাধ্যমে সম্পূর্ণ নতুন গণতান্ত্রিক জনগণের সংবিধান প্রণয়ন করতে হবে। যে সংবিধান জনগণের কথা বলবে, সে সংবিধান থাকবে। যে ধারা জনগণের কথা বলবে না, সে ধারাগুলো সংবিধানে থাকতে পারবে না।

তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের একমাত্র লক্ষ্য আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারকে উৎখাত করা ছিল না, বরং ৫৩ বছরের বৈষম্য, শোষণ ও ফ্যাসিবাদী রাজনৈতিক ব্যবস্থা বিলোপ করার লক্ষ্যে এ অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছে। সুতরাং বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো বিলোপ করতে সব ধরনের সংস্কারের ওয়াদা দিতে হবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা যাবে না। ধর্মের দোহাই দিয়ে ভাগ করা যাবে না। পেশা দিয়ে ভাগ করা যাবে না। সবাইকে সমান নাগরিক সুবিধা থাকতে হবে। একজন ভিআইপি সুবিধা পাবে অন্য জন পাবে না তা আর হবে না।