ঢাকা ০৬:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫, ২৬ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চীনে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯৫, আহত ১৩০

চীনে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯৫, আহত ১৩০

চীনের পাহাড়ি অঞ্চল তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ১৩০ জন। ভেঙ্গে পড়েছে সহস্রাধিক ভবন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ৯টা ৫ মিনিটে নেপাল সীমান্তবর্তী জিগাজে শহরের ডিংরি কাউন্টিতে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

চীনের সরকারি গণমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্পের মাত্রাটি ৬ দশমিক ৮ বলে জানিয়েছে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তিব্বত অঞ্চলে। যেখানে ভারত ও ইউরেশিয়া টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটে। এটি হিমালয়ের শৃঙ্গগুলোর উচ্চতাকেও প্রভাবিত করেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের আশপাশের গড় উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ২০০ মিটার (১৩ হাজার ৮০০ ফুট)। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের চারপাশের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি ছোট ছোট সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার (২৪০ মাইল) এবং এই অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জিগাজে থেকে ২৩ কিলোমিটার (১৪ মাইল) দূরে অবস্থিত।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ভূমিকম্পে বাসিন্দারা চমকে উঠেন। তারা তাদের বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। তবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, গত ১০০ বছরে এই অঞ্চলে ৬ বা তারও বেশি মাত্রার ১০টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

শেষ ওভারে ৩০ রান নিয়ে রংপুরকে জেতালেন নুরুল

চীনে ভয়াবহ ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৯৫, আহত ১৩০

আপডেট সময় ০৮:২০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

চীনের পাহাড়ি অঞ্চল তিব্বতে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯৫ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আহত হয়েছেন ১৩০ জন। ভেঙ্গে পড়েছে সহস্রাধিক ভবন। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) ৯টা ৫ মিনিটে নেপাল সীমান্তবর্তী জিগাজে শহরের ডিংরি কাউন্টিতে এ ভূমিকম্প অনুভূত হয়।

চীনের সরকারি গণমাধ্যম বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ১। এর উৎপত্তিস্থল ছিল ভূপৃষ্ঠের ১০ কিলোমিটার গভীরে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ ভূমিকম্পের মাত্রাটি ৬ দশমিক ৮ বলে জানিয়েছে।

ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল তিব্বত অঞ্চলে। যেখানে ভারত ও ইউরেশিয়া টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষের ফলে ভূতাত্ত্বিক পরিবর্তন ঘটে। এটি হিমালয়ের শৃঙ্গগুলোর উচ্চতাকেও প্রভাবিত করেছে।

চীনের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম সিসিটিভি জানিয়েছে, ভূমিকম্পের উপকেন্দ্রের আশপাশের গড় উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ২০০ মিটার (১৩ হাজার ৮০০ ফুট)। ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের চারপাশের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে থাকা বেশ কয়েকটি ছোট ছোট সম্প্রদায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এটি তিব্বতের রাজধানী লাসা থেকে প্রায় ৩৮০ কিলোমিটার (২৪০ মাইল) এবং এই অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর জিগাজে থেকে ২৩ কিলোমিটার (১৪ মাইল) দূরে অবস্থিত।

নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুতে ভূমিকম্পে বাসিন্দারা চমকে উঠেন। তারা তাদের বাড়িঘর থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য হন। তবে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থলের কাছাকাছি দুর্গম পার্বত্য অঞ্চল থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো হালনাগাদ তথ্য পাওয়া যায়নি।

মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, গত ১০০ বছরে এই অঞ্চলে ৬ বা তারও বেশি মাত্রার ১০টি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে।