ঢাকা ১০:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বাঁশখালীর কৃতি সন্তান ড. হারুন হাফিজ সিকদারের ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন Logo রাজশাহীর পরিবর্তে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আন্তঃনগর ট্রেন চালুর দাবিতে অবরোধ Logo দেশের সার্বভৌমত্ব বর্তমান সরকারের কাছে নিরাপদ নয়: মির্জা আব্বাস Logo যাই করেন, ছাত্রলীগ হইতে যাইয়েন না: হান্নান মাসউদের হুঁশিয়ারি Logo দুই উপদেষ্টার সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও এনসিপি নেতাকে দুদকে তলব Logo রক্ত লাগলে রক্ত নে- জগন্নাথের হল দে, রাজপথে শিক্ষার্থীদের লিখনি Logo নোয়াখালী সরকারি কলেজে সাম্য হত্যার প্রতিবাদে ছাত্রদলের অবস্থান কর্মসূচি Logo ইসরায়েল গণহত্যাকারী রাষ্ট্র, বাণিজ্য সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা স্পেনের Logo মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের ন্যায্য দাবিতে মুন্সিগঞ্জে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন Logo ১৭ বছর ধরে অচল অবস্থায় বেলকার স্বাস্থ্য কেন্দ্র, জনদুর্ভোগ চরমে

ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় ইসরায়েলপন্থীদের নিয়োগে মুসলিম নেতাদের হতাশা

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং লেবাননে হামলার প্রতি বাইডেন প্রশাসনের সমর্থনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নেতারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তবে নির্বাচনে জিতে ট্রাম্প যে মন্ত্রিসভা গঠন করেছে তাতে হতাশ মার্কিন মুসলিম নেতারা।

এ হতাশার কারণ হিসেবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প মন্ত্রিসভার কিছু পদে বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক সিনেটর মার্কো রুবিওকে বেছে নিয়েছেন।

কয়েকদিন আগে রুবিও বলেছিলেন, তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাবেন না। তার মতে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের সদস্যরা ‘হিংস্র প্রাণী’। তিনি মনে করেন, ইসরায়েলের উচিত হামাসের ‘প্রতিটি চিহ্ন’ ধ্বংস করা।

এছাড়া ট্রাম্প আরকানসাসের সাবেক গভর্নর এবং কট্টর ইসরায়েলপন্থী রক্ষণশীল মাইক হাকাবিকেও মনোনীত করেছেন, যিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে সমর্থন করেন এবং ফিলিস্তিনে দুই রাষ্ট্র সমাধানকে ‘অকার্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন।

গাজায় নিহতের নিন্দা জানানোর জন্য জাতিসংঘকে ‘ইহুদিবিদ্বেষের আখড়া’ আখ্যা দেওয়া রিপাবলিকান প্রতিনিধি এলিস স্টেফানিককে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প।

আমেরিকান মুসলিম এনগেজমেন্ট অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট নেটওয়ার্কের (এএমআইএন) নির্বাহী পরিচালক রেক্সিনালদো নাজারকো বলেন, আমরা খুবই হতাশ! মুসলিম ভোটাররা আশা করেছিলেন— ট্রাম্প মন্ত্রিসভার কর্মকর্তাদের বেছে নেবেন, যারা শান্তির লক্ষ্যে কাজ করবেন।

‘দেখে মনে হচ্ছে এই প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে নব্য-রক্ষণশীল এবং চরম ইসরায়েলপন্থী, যুদ্ধপন্থী লোক দ্বারা পরিপূর্ণ, যারা শান্তির পক্ষে এবং যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে,’ বলেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত ক্যাম্পেইন ‘মুসলিমস ফর ট্রাম্প’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ফিলাডেলফিয়ার বিনিয়োগকারী রবিউল চৌধুরী বলেন, ‘ট্রাম্প আমাদের কারণে জিতেছেন এবং আমরা তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যদের নিয়ে খুশি নই।’

বিশ্লেষকদের বরাতে রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের প্রতি মুসলিম সমর্থন তাকে মিশিগানে জিততে সহায়তা করেছে এবং অন্যান্য সুইং স্টেটের জয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম ফ্যাক্টর ছিল।

ট্রাম্পকে সমর্থনকারী ডিয়ারবর্ন হাইটসের মেয়র বিল বাজ্জি বলেছেন, তিনি তিনবার নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং মন্ত্রিসভায় নিয়োগ সত্ত্বেও তিনি যুদ্ধ অবসানে কাজ করবেন বলে মনে করেন।

মিশিগান রিপাবলিকান পার্টির মুসলিম ভাইস চেয়ার লেবানিজ আমেরিকান রোলা মাক্কিও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না— ট্রাম্পের প্রতিটি নিয়োগে সবাই খুশি হবে, তবে ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ।’

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

বাঁশখালীর কৃতি সন্তান ড. হারুন হাফিজ সিকদারের ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন

ট্রাম্পের মন্ত্রিসভায় ইসরায়েলপন্থীদের নিয়োগে মুসলিম নেতাদের হতাশা

আপডেট সময় ০৬:২৬:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ এবং লেবাননে হামলার প্রতি বাইডেন প্রশাসনের সমর্থনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রের মুসলিম নেতারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন দিয়েছিলেন। তবে নির্বাচনে জিতে ট্রাম্প যে মন্ত্রিসভা গঠন করেছে তাতে হতাশ মার্কিন মুসলিম নেতারা।

এ হতাশার কারণ হিসেবে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্প মন্ত্রিসভার কিছু পদে বিশেষ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে ইসরায়েলের কট্টর সমর্থক সিনেটর মার্কো রুবিওকে বেছে নিয়েছেন।

কয়েকদিন আগে রুবিও বলেছিলেন, তিনি গাজায় যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাবেন না। তার মতে ফিলিস্তিনের প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের সদস্যরা ‘হিংস্র প্রাণী’। তিনি মনে করেন, ইসরায়েলের উচিত হামাসের ‘প্রতিটি চিহ্ন’ ধ্বংস করা।

এছাড়া ট্রাম্প আরকানসাসের সাবেক গভর্নর এবং কট্টর ইসরায়েলপন্থী রক্ষণশীল মাইক হাকাবিকেও মনোনীত করেছেন, যিনি পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি দখলদারিত্বকে সমর্থন করেন এবং ফিলিস্তিনে দুই রাষ্ট্র সমাধানকে ‘অকার্যকর’ বলে অভিহিত করেছেন।

গাজায় নিহতের নিন্দা জানানোর জন্য জাতিসংঘকে ‘ইহুদিবিদ্বেষের আখড়া’ আখ্যা দেওয়া রিপাবলিকান প্রতিনিধি এলিস স্টেফানিককে জাতিসংঘে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাম্প।

আমেরিকান মুসলিম এনগেজমেন্ট অ্যান্ড এমপাওয়ারমেন্ট নেটওয়ার্কের (এএমআইএন) নির্বাহী পরিচালক রেক্সিনালদো নাজারকো বলেন, আমরা খুবই হতাশ! মুসলিম ভোটাররা আশা করেছিলেন— ট্রাম্প মন্ত্রিসভার কর্মকর্তাদের বেছে নেবেন, যারা শান্তির লক্ষ্যে কাজ করবেন।

‘দেখে মনে হচ্ছে এই প্রশাসন সম্পূর্ণরূপে নব্য-রক্ষণশীল এবং চরম ইসরায়েলপন্থী, যুদ্ধপন্থী লোক দ্বারা পরিপূর্ণ, যারা শান্তির পক্ষে এবং যুদ্ধবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে,’ বলেন তিনি।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পেনসিলভানিয়ায় ট্রাম্পের সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত ক্যাম্পেইন ‘মুসলিমস ফর ট্রাম্প’-এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও ফিলাডেলফিয়ার বিনিয়োগকারী রবিউল চৌধুরী বলেন, ‘ট্রাম্প আমাদের কারণে জিতেছেন এবং আমরা তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও অন্যদের নিয়ে খুশি নই।’

বিশ্লেষকদের বরাতে রয়টার্স জানায়, ট্রাম্পের প্রতি মুসলিম সমর্থন তাকে মিশিগানে জিততে সহায়তা করেছে এবং অন্যান্য সুইং স্টেটের জয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম ফ্যাক্টর ছিল।

ট্রাম্পকে সমর্থনকারী ডিয়ারবর্ন হাইটসের মেয়র বিল বাজ্জি বলেছেন, তিনি তিনবার নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন এবং মন্ত্রিসভায় নিয়োগ সত্ত্বেও তিনি যুদ্ধ অবসানে কাজ করবেন বলে মনে করেন।

মিশিগান রিপাবলিকান পার্টির মুসলিম ভাইস চেয়ার লেবানিজ আমেরিকান রোলা মাক্কিও এ বিষয়ে একমত পোষণ করেন। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি না— ট্রাম্পের প্রতিটি নিয়োগে সবাই খুশি হবে, তবে ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ।’