ঢাকা ০৩:০৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুলিশ শ্রমিকের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় গুলিবিদ্ধ ৩

পুলশ শ্রমিকের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় গুলিবিদ্ধ ৩

পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে শনিবার (৪ নভেম্বর) সপ্তম দিনের মতো সড়কে নেমে অবরোধের চেষ্টা করছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এসময় পুলিশ-শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এক ভ্যানচালকসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ছয় তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- ভ্যানচালক আমিরুল (৪৫), শামীম (২৪) ও তার খালাতো ভাই তাইজুল ইসলাম (২৫)। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৮টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া ছয় তলা এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা একত্রিত হতে থাকে। পরে শ্রমিকরা কারখানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। তবে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গলির ভেতরে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এ সময় এক ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ তিনজনকেই স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ ভ্যানচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি বাইপাইল থেকে ১২০ টাকা ভাড়ায় একজনকে নিয়ে ছয়তলায় যাই। সেখানে গিয়ে শ্রমিক আন্দোলনের মুখে পড়ি। এসময় পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আমি গুলিবিদ্ধ হই। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে। আমিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ায় রড মিস্ত্রি সোহেল বলেন, আমি দেখলাম ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। পরে আমিসহ কয়েকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

গুলিবিদ্ধ তাইজুল ইসলাম বলেন, আমার মা নিউ এইজ কারখানায় চাকরি করেন। তিনি সকালে কারখানায় চলে যান। পরে আমি আমার মায়ের খোঁজে সড়কে বের হই। সড়কে মায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম আর মোবাইলে কথা বলছিলাম। এসময় আমি ও আমার খালাতো ভাই গুলিবিদ্ধ হই। পরে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

নারী ও শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত ডা. জয় ভট্টাচার্য বলেন, সকালে তিনজন আমাদের হাসপাতালে আসেন। তারা স্প্লিন্টারের ইনজুরি নিয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, সকালে শ্রমিকরা সড়কে নামার চেষ্টা করা হলে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা রাবার বুলেট ছুড়েছি। কিন্তু কাউকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়নি।

জনপ্রিয় সংবাদ

পুলিশ শ্রমিকের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় গুলিবিদ্ধ ৩

আপডেট সময় ১২:২৪:২০ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির আন্দোলনে শনিবার (৪ নভেম্বর) সপ্তম দিনের মতো সড়কে নেমে অবরোধের চেষ্টা করছে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা। এসময় পুলিশ-শ্রমিকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এক ভ্যানচালকসহ ৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

শনিবার সকাল ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ছয় তলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধরা হলেন- ভ্যানচালক আমিরুল (৪৫), শামীম (২৪) ও তার খালাতো ভাই তাইজুল ইসলাম (২৫)। তারা বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৮টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের জামগড়া ছয় তলা এলাকায় বেশ কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা একত্রিত হতে থাকে। পরে শ্রমিকরা কারখানা লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ তাদের ধাওয়া দিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়। তবে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা গলির ভেতরে ঢুকে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়লে পুলিশ গুলি ছোড়ে। এ সময় এক ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হন। এছাড়া আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ তিনজনকেই স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গুলিবিদ্ধ ভ্যানচালক আমিরুল ইসলাম বলেন, আমি বাইপাইল থেকে ১২০ টাকা ভাড়ায় একজনকে নিয়ে ছয়তলায় যাই। সেখানে গিয়ে শ্রমিক আন্দোলনের মুখে পড়ি। এসময় পুলিশ শ্রমিকদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে আমি গুলিবিদ্ধ হই। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে। আমিরুল ইসলামকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ায় রড মিস্ত্রি সোহেল বলেন, আমি দেখলাম ভ্যানচালক গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়ে আছে। পরে আমিসহ কয়েকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসি।

গুলিবিদ্ধ তাইজুল ইসলাম বলেন, আমার মা নিউ এইজ কারখানায় চাকরি করেন। তিনি সকালে কারখানায় চলে যান। পরে আমি আমার মায়ের খোঁজে সড়কে বের হই। সড়কে মায়ের জন্য অপেক্ষা করছিলাম আর মোবাইলে কথা বলছিলাম। এসময় আমি ও আমার খালাতো ভাই গুলিবিদ্ধ হই। পরে আমাদের হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

নারী ও শিশু হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত ডা. জয় ভট্টাচার্য বলেন, সকালে তিনজন আমাদের হাসপাতালে আসেন। তারা স্প্লিন্টারের ইনজুরি নিয়ে এসেছেন। তাদের মধ্যে দুইজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। ঢাকা জেলা উত্তর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, সকালে শ্রমিকরা সড়কে নামার চেষ্টা করা হলে তাদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা রাবার বুলেট ছুড়েছি। কিন্তু কাউকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়া হয়নি।