ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫, ৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

ইসকনের ২০২ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল লেনদেনের তথ্য প্রকাশ

ইসকনের ২০২ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল লেনদেনের তথ্য প্রকাশ

সনাতন ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের ২০২টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ। এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে ২২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা রয়েছে ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) সনাতন ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের ২০২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে মোট ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা করা হয়েছিল। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এসব অ্যাকাউন্ট থেকে ২২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংক হিসাবগুলোতে মাত্র ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা জমা রয়েছে।

এছাড়া ইসকনের বিতর্কিত নেতা চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কুমার দাসের নামে তিন কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা করা হয়েছিল, যার প্রায় পুরো অর্থই ইতিমধ্যে উত্তোলন করা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে অর্থ জমাদানকারী ব্যক্তিরা কারা এবং অর্থের উৎস কী, তা খুঁজে বের করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

যাদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন— চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, কার্ত্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চণ্ডীদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপি রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী ও সজল দাস।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইসকনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে এর আগে বিএফআইইউ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ব্যাংকগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে বিএফআইইউ। এসব প্রতিবেদন পুলিশের দুটি গোয়েন্দা শাখায় পাঠানো হয়েছে।

একটি গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ইসকনের এ পর্যন্ত ২০২টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পেয়েছে বিএফআইইউ। এসব অ্যাকাউন্টে ২৩৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। যার বেশির ভাগ অর্থই উত্তোলন করা হয়েছে। এসব অর্থ কারা জমা দিয়েছে, তাদের অর্থের উৎস কী, কী কী কাজে ব্যয় হয়েছে— এসব তথ্য এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

ভোটার তালিকা হালনাগাদ শুরু সোমবার,রাজনীতির মধ্যে ঢুকতে চায় না ইসি

ইসকনের ২০২ ব্যাংক অ্যাকাউন্টে বিপুল লেনদেনের তথ্য প্রকাশ

আপডেট সময় ০৪:৪৩:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

সনাতন ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের ২০২টি অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বিএফআইইউ। এসব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা দেওয়া হয়েছিল। এর মধ্যে গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত উত্তোলন করা হয়েছে ২২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। ব্যাংক হিসাবগুলোতে জমা রয়েছে ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ) সনাতন ধর্মীয় সংগঠন ইসকনের ২০২টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পেয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে মোট ২৩৬ কোটি ৪২ লাখ টাকা জমা করা হয়েছিল। গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, গত ২৯ নভেম্বর পর্যন্ত এসব অ্যাকাউন্ট থেকে ২২৩ কোটি ৭৩ লাখ টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। বর্তমানে ব্যাংক হিসাবগুলোতে মাত্র ১২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা জমা রয়েছে।

এছাড়া ইসকনের বিতর্কিত নেতা চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কুমার দাসের নামে তিন কোটি ৯২ লাখ টাকা জমা করা হয়েছিল, যার প্রায় পুরো অর্থই ইতিমধ্যে উত্তোলন করা হয়েছে। এসব অ্যাকাউন্টে অর্থ জমাদানকারী ব্যক্তিরা কারা এবং অর্থের উৎস কী, তা খুঁজে বের করার জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কাজ করছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

যাদের ব্যাংক হিসাবে লেনদেন স্থগিত করা হয়েছে তারা হলেন— চন্দন কুমার ধর ওরফে চিন্ময় কৃষ্ণ দাস, কার্ত্তিক চন্দ্র দে, অনিক পাল, সরোজ রায়, সুশান্ত দাস, বিশ্ব কুমার সিংহ, চণ্ডীদাস বালা, জয়দেব কর্মকার, লিপি রানী কর্মকার, সুধামা গৌর দাস, লক্ষণ কান্তি দাশ, প্রিয়তোষ দাশ, রূপন দাস, রূপন কুমার ধর, আশীষ পুরোহিত, জগদীশ চন্দ্র অধিকারী ও সজল দাস।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ইসকনের ব্যাংক হিসাবের তথ্য চেয়ে এর আগে বিএফআইইউ থেকে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দেওয়া হয়েছিল। ব্যাংকগুলো থেকে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে বিএফআইইউ। এসব প্রতিবেদন পুলিশের দুটি গোয়েন্দা শাখায় পাঠানো হয়েছে।

একটি গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, ইসকনের এ পর্যন্ত ২০২টি ব্যাংক হিসাবের তথ্য পেয়েছে বিএফআইইউ। এসব অ্যাকাউন্টে ২৩৬ কোটি ৭৩ লাখ টাকা জমা দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। যার বেশির ভাগ অর্থই উত্তোলন করা হয়েছে। এসব অর্থ কারা জমা দিয়েছে, তাদের অর্থের উৎস কী, কী কী কাজে ব্যয় হয়েছে— এসব তথ্য এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে।