ঢাকা ০৩:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ করবে চীন, প্রভাব পড়বে ভারত-বাংলাদেশে

  • নিজস্ব সংবাদ :
  • আপডেট সময় ০৮:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 27

বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ করবে চীন, প্রভাব পড়বে ভারত-বাংলাদেশে

বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের তিব্বত অংশে বিশাল বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করেছে চীন। ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিতব্য এই বাঁধ অনুমোদন পেয়েছে চীনের সরকারের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এ খবর জানিয়েছে।

চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নাংশে নির্মিত এই বাঁধের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা, যা চীনের থ্রি গর্জেস বাঁধের তুলনায় তিনগুণ। তবে বিশাল এই প্রকল্প ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, আসাম এবং বাংলাদেশের পানি সরবরাহে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

ইয়ারলুং জাংপো নদী, যা বাংলাদেশ ও ভারতে ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত, তিব্বতের হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত। চীনের এই প্রকল্পের মাধ্যমে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা অর্জন করবে বেইজিং, যা ভাটির দেশগুলোর জন্য উদ্বেগজনক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বাঁধের মাধ্যমে চীন শত্রুতার সময়ে পানির প্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ বা অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিয়ে অভূতপূর্ব বন্যা ঘটানোর ক্ষমতা পাবে। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির আইনপ্রণেতা এনিনং এরিং এক মন্তব্যে বলেন, “আমরা চীনের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারি না। তারা হয় আমাদের নদীর প্রবাহ বন্ধ করবে, নয়তো হঠাৎ পানি ছেড়ে দিয়ে বিপর্যয় ঘটাবে।”

বাংলাদেশ ও ভারতের লাখ লাখ মানুষের পানি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল এই প্রকল্প নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই বাড়ছে। ভারতের উদ্বেগের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এই প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা চলছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

ফ্যাসিবাদী সরকারের সব ষড়যন্ত্র রুখে দেবে জনগণ: মুয়াজ্জম হোসাইন হেলাল

বিশ্বের বৃহত্তম বাঁধ করবে চীন, প্রভাব পড়বে ভারত-বাংলাদেশে

আপডেট সময় ০৮:৫৯:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণের জন্য ব্রহ্মপুত্র নদের তিব্বত অংশে বিশাল বাঁধ তৈরির পরিকল্পনা করেছে চীন। ১৩৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে নির্মিতব্য এই বাঁধ অনুমোদন পেয়েছে চীনের সরকারের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবার ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেনডেন্ট এ খবর জানিয়েছে।

চীনের সরকারি বার্তা সংস্থা সিনহুয়া জানায়, ইয়ারলুং জাংবো নদীর নিম্নাংশে নির্মিত এই বাঁধের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে প্রতি বছর ৩০০ বিলিয়ন কিলোওয়াট-ঘণ্টা, যা চীনের থ্রি গর্জেস বাঁধের তুলনায় তিনগুণ। তবে বিশাল এই প্রকল্প ভারতের অরুণাচল প্রদেশ, আসাম এবং বাংলাদেশের পানি সরবরাহে বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

ইয়ারলুং জাংপো নদী, যা বাংলাদেশ ও ভারতে ব্রহ্মপুত্র নামে পরিচিত, তিব্বতের হিমবাহ থেকে উৎপন্ন হয়ে ভারতের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের উপর দিয়ে প্রবাহিত। চীনের এই প্রকল্পের মাধ্যমে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণের ক্ষমতা অর্জন করবে বেইজিং, যা ভাটির দেশগুলোর জন্য উদ্বেগজনক।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই বাঁধের মাধ্যমে চীন শত্রুতার সময়ে পানির প্রবাহ সম্পূর্ণ বন্ধ বা অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দিয়ে অভূতপূর্ব বন্যা ঘটানোর ক্ষমতা পাবে। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির আইনপ্রণেতা এনিনং এরিং এক মন্তব্যে বলেন, “আমরা চীনের ওপর বিশ্বাস রাখতে পারি না। তারা হয় আমাদের নদীর প্রবাহ বন্ধ করবে, নয়তো হঠাৎ পানি ছেড়ে দিয়ে বিপর্যয় ঘটাবে।”

বাংলাদেশ ও ভারতের লাখ লাখ মানুষের পানি সরবরাহের ওপর নির্ভরশীল এই প্রকল্প নিয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আলোচনার প্রয়োজনীয়তা ক্রমেই বাড়ছে। ভারতের উদ্বেগের পাশাপাশি বাংলাদেশেও এই প্রকল্পের প্রভাব নিয়ে গভীর চিন্তাভাবনা চলছে।