২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পিলখানায় সংঘটিত বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। সেই সঙ্গে এই প্রজ্ঞাপন অবিলম্বে কার্যকর হবে বলে উল্লেখ করা হয়।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ড. শেখ আব্দুর রশীদ সাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ‘২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর সদর দফতর পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত বর্বরতম হত্যাযজ্ঞের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ রিট পিটিশনের প্রেক্ষিতে একটি জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠনের মাধ্যমে পুনঃতদন্তের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেছে।’
‘সেহেতু সরকার পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের নামে সংঘটিত হত্যাযজ্ঞের সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র ও প্রকৃত ঘটনার স্বরূপ উদ্ঘাটন, ঘটনায় রুজুকৃত দুটি মামলায় অভিযুক্ত ব্যক্তি ব্যতীত ঘটনার ষড়যন্ত্রকারী, ঘটনার সহযোগী, ঘটনার আলামত ধ্বংসকারী, ঘটনা সংঘটনকারী এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট অপরাপর বিষয় ও অপরাধীদের চিহ্নিত করতে একটি জাতীয় স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করল।’
এর আগে, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত এবং আসল ঘটনা খুঁজে বের করতে সোমবার (২৩ ডিসম্বের) সাত সদস্যের স্বাধীন তদন্ত কমিশন গঠন করার কথা জানায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কমিশনের প্রধান করা হয়েছে বিডিআরের (বর্তমানে বিজিবি) সাবেক মহাপরিচালক এ এল এম ফজলুর রহমানকে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, মেজর জেনারেল (অব.) এ এল এম ফজলুর রহমানকে সভাপতি করা হয়েছে। আরও ছয়জনকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে। সদস্যরা হলেন- মেজর জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর কবির তালুকদার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. সাইদুর রহমান (বীর প্রতীক), অবসরপ্রাপ্ত যুগ্মসচিব মুন্সী আলাউদ্দিন আল আজাদ, অবসরপ্রাপ্ত ডিআইজি ড. এম. আকবর আলী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. শরীফুল ইসলাম ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা