ঢাকা ১২:১৫ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ জুন ২০২৫, ২০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা Logo ভুটানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে অভিষেকের অপেক্ষায় হামজা চৌধুরী Logo বাংলাদেশি হাজীদের সেবার দায়িত্বে মিনায় ১৮ টিম Logo জাতিসংঘের সংস্থায় ‘পর্যবেক্ষক রাষ্ট্র’হিসেবে স্বীকৃতি পেলো ফিলিস্তিন Logo ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ৬০ বস্তা ভিজিএফ চাল লুট, যৌথবাহিনী উদ্ধার করল ২২ বস্তা Logo সরকার শপথ না পড়ালে নিজেই শপথ নিয়ে মেয়রের চেয়ারে বসার ঘোষণা ইশরাকের Logo মৌলভীবাজারে জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচার হাতে ২ ভাতিজি খুন,আহত ১ Logo ঈদ সামনে রেখে আগুন-লোহার সঙ্গেই দিনরাত কামার শিল্পীদের Logo পুশইন বন্ধে দিল্লিকে ফের চিঠি দেবে ঢাকা: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা Logo চাঁদাবাজি ও এক হাটের পশু অন্য হাটে নিলে কঠোর ব্যবস্থা: র‌্যাব

এবার দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে পাকিস্তান-চট্টগ্রাম রুটে সেই জাহাজ

এবার দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে পাকিস্তান-চট্টগ্রাম রুটে সেই জাহাজ

আরও বেশি পণ্য নিয়ে করাচি থেকে চট্টগ্রামে আসছে সেই পাকিস্তানি জাহাজ এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং। প্রথমবার জাহাজটি নিয়ে এসেছিল ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার। ওই হিসাবে এবার দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে আসবে এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট জানা গেছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর ৮২৫ টিইইউএস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কনটেইনার একক) কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এবারের জাহাজটিতে ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার পণ্য রয়েছে। এসব কনটেইনার নামিয়ে অন্তত ১২০০ টিইইউএস কনটেইনার নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিপিং কম্পানি ফিডার লাইনস ডিএমসিসির। তবে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে পৌঁছানোর পর কী পণ্য রয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান মেরিন ভ্যাসেল ট্রাফিক ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রামমুখী জাহাজটি এখন শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি রয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে সর্বশেষ কনটেইনার পণ্য বোঝাই করা হয় জাহাজটিতে। চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছাবে ২০ ডিসেম্বর। ওই হিসেবে ২১ কিংবা ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পণ্য খালাস করবে। পণ্য খালাস করে ২৩ কিংবা ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করবে পাকিস্তানি জাহাজটি।

এর আগে পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয় চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর। প্রথমবার ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার পণ্য আনা হয়। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয় ২৯৭ টিইইউএস, বাকিগুলো ৭৩ টিইইউএস কনটেইনার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, পাকিস্তানী জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ আগামী শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তবে শিপিং কম্পানি অনলাইনে আমদানি পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার পর জানা যাবে এবার কী কী পণ্য রয়েছে সেটা। এখন একটি জাহাজ ৩৮ থেকে ৪২ দিনে একবার আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান হয়ে চট্টগ্রামে আসছে। কনটেইনারের সংখ্যা বাড়লে নতুন এই পথে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।

জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি রিজেন্সি লাইনস লিমিটেড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা বলেন, প্রথমবারের তুলনায় এবার ৫৫ শতাংশ বেশি পণ্য নিয়ে পাকিস্তান থেকে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছাবে। জেটি খালি থাকলে ২১ কিংবা ২২ ডিসেম্বর পণ্য খালাস করে এর পরের দিন বন্দর ত্যাগ করবে। এ জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করার পর ইন্দোনেশিয়া যাবে। সেখান থেকে মালেশিয়া, দুবাই হয়ে পাকিস্তানের করাচি যাবে।

প্রসঙ্গত, দুবাইভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ একটি কনটেইনার জাহাজ দিয়ে নতুন এই সেবা চালু করেছে। সাবেক পরিবেশমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন বাংলাদেশে কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রিজেন্সি লাইনস লিমিটেড এই সংস্থার বাংলাদেশে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত হয়েছে। নতুন এই কনটেইনার জাহাজের পরিষেবা চালুর সময় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ছাড়া আরো চারটি দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকেও পণ্য আনা-নেওয়া করার ঘোষণা দিয়েছিল ফিডার লাইনস ডিএমসিসি। তবে দ্বিতীয়বার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরমুখী রয়েছে জাহাজটি। আগের চালানে চালানে সোডা অ্যাশ, চুনাপাথর ও ডলোমাইটের মতো শিল্প কাঁচামাল এবং কাপড়, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপণ্য ছিল।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহায়তা চাইলেন প্রধান উপদেষ্টা

এবার দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে পাকিস্তান-চট্টগ্রাম রুটে সেই জাহাজ

আপডেট সময় ১১:১৮:২৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

আরও বেশি পণ্য নিয়ে করাচি থেকে চট্টগ্রামে আসছে সেই পাকিস্তানি জাহাজ এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং। প্রথমবার জাহাজটি নিয়ে এসেছিল ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার। ওই হিসাবে এবার দ্বিগুণ পণ্য নিয়ে আসবে এমন তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।

চট্টগ্রাম বন্দর সংশ্লিষ্ট জানা গেছে, আগামী ২০ ডিসেম্বর ৮২৫ টিইইউএস (২০ ফুট দৈর্ঘ্যের কনটেইনার একক) কনটেইনার নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। এবারের জাহাজটিতে ৮২৫ টিইইউএস কনটেইনার পণ্য রয়েছে। এসব কনটেইনার নামিয়ে অন্তত ১২০০ টিইইউএস কনটেইনার নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে শিপিং কম্পানি ফিডার লাইনস ডিএমসিসির। তবে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে পৌঁছানোর পর কী পণ্য রয়েছে সেটা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

জাহাজ চলাচল পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান মেরিন ভ্যাসেল ট্রাফিক ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তানের করাচি বন্দর হয়ে চট্টগ্রামমুখী জাহাজটি এখন শ্রীলঙ্কার কাছাকাছি রয়েছে। গত ১১ ডিসেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে সর্বশেষ কনটেইনার পণ্য বোঝাই করা হয় জাহাজটিতে। চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছাবে ২০ ডিসেম্বর। ওই হিসেবে ২১ কিংবা ২২ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর জেটিতে পণ্য খালাস করবে। পণ্য খালাস করে ২৩ কিংবা ২৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করবে পাকিস্তানি জাহাজটি।

এর আগে পাকিস্তানের করাচি বন্দরের সঙ্গে চট্টগ্রামের সরাসরি কনটেইনার জাহাজ যোগাযোগ চালু হয় চলতি বছরের ১৪ নভেম্বর। প্রথমবার ৩৭০ টিইইউএস কনটেইনার পণ্য আনা হয়। এর মধ্যে পাকিস্তান থেকে আনা হয় ২৯৭ টিইইউএস, বাকিগুলো ৭৩ টিইইউএস কনটেইনার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে আনা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, পাকিস্তানী জাহাজ ‘এমভি ইউয়ান জিয়াং ফা ঝং’ আগামী শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছানোর কথা রয়েছে। তবে শিপিং কম্পানি অনলাইনে আমদানি পণ্যের বিস্তারিত বিবরণ জমা দেওয়ার পর জানা যাবে এবার কী কী পণ্য রয়েছে সেটা। এখন একটি জাহাজ ৩৮ থেকে ৪২ দিনে একবার আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান হয়ে চট্টগ্রামে আসছে। কনটেইনারের সংখ্যা বাড়লে নতুন এই পথে জাহাজের সংখ্যা বাড়ানো হতে পারে।

জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি রিজেন্সি লাইনস লিমিটেড বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক আনিস উদ দৌলা বলেন, প্রথমবারের তুলনায় এবার ৫৫ শতাংশ বেশি পণ্য নিয়ে পাকিস্তান থেকে জাহাজটি চট্টগ্রাম বন্দরে আসবে। সব ঠিক থাকলে আগামী ২০ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরের জলসীমায় পৌঁছাবে। জেটি খালি থাকলে ২১ কিংবা ২২ ডিসেম্বর পণ্য খালাস করে এর পরের দিন বন্দর ত্যাগ করবে। এ জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দর ত্যাগ করার পর ইন্দোনেশিয়া যাবে। সেখান থেকে মালেশিয়া, দুবাই হয়ে পাকিস্তানের করাচি যাবে।

প্রসঙ্গত, দুবাইভিত্তিক কনটেইনার জাহাজ পরিচালনাকারী সংস্থা ‘ফিডার লাইনস ডিএমসিসি’ একটি কনটেইনার জাহাজ দিয়ে নতুন এই সেবা চালু করেছে। সাবেক পরিবেশমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীর মালিকানাধীন বাংলাদেশে কর্ণফুলী লিমিটেডের সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রিজেন্সি লাইনস লিমিটেড এই সংস্থার বাংলাদেশে স্থানীয় প্রতিনিধি হিসেবে যুক্ত হয়েছে। নতুন এই কনটেইনার জাহাজের পরিষেবা চালুর সময় পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ছাড়া আরো চারটি দেশ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্দর থেকেও পণ্য আনা-নেওয়া করার ঘোষণা দিয়েছিল ফিডার লাইনস ডিএমসিসি। তবে দ্বিতীয়বার সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে পাকিস্তান হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরমুখী রয়েছে জাহাজটি। আগের চালানে চালানে সোডা অ্যাশ, চুনাপাথর ও ডলোমাইটের মতো শিল্প কাঁচামাল এবং কাপড়, পেঁয়াজ ও আলুর মতো নিত্যপণ্য ছিল।