ঢাকা ০৪:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ৪ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আজ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে

পৌষ মাসের শুরুতেই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বিশেষ করে হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা কনকনে হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। এতে ৬ দিন ধরে টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পৌষ মাসের শুরু থেকে কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। শীতার্ত মানুষেরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। বর্তমানে রোদের দেখা মিললেও তেমন তাপ নেই। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির মানুষ শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। প্রাকৃতিক এই বৈরিতা থেকে বাঁচতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের আবেদন অসহায় মানুষগুলোর।

এদিকে তীব্র শীত আর একটানা কুয়াশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেছেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে, সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা গতকাল সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। হিমেল হাওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীত অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও কয়েক দিন ধরে সকালে ও সন্ধ্যার পর কুয়াশা নামে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

আজ মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে

আপডেট সময় ১১:১৫:২৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪

পৌষ মাসের শুরুতেই পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় চলছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। বিশেষ করে হিমালয়ের খুব কাছাকাছি হওয়ায় উত্তর দিক থেকে বয়ে আসা কনকনে হিমেল বাতাসে তাপমাত্রা ৮ থেকে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘরে ওঠানামা করছে। এতে ৬ দিন ধরে টানা মৃদু শৈত্যপ্রবাহে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ।

বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে ৬টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, মঙ্গলবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল।তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সহকারী ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পৌষ মাসের শুরু থেকে কনকনে ঠান্ডা ও কুয়াশায় আবৃত হয়ে পড়েছে চারদিক। শীতার্ত মানুষেরা তীব্র কষ্টে দিন পার করছেন। বর্তমানে রোদের দেখা মিললেও তেমন তাপ নেই। দিনমজুর, চা ও পাথর শ্রমিক শ্রেণির মানুষ শীতের তীব্রতায় কাজও করতে পারছেন না। ফলে আয় কমেছে তাদের। এসব কারণে এ জেলার শীতার্ত ও ছিন্নমূল মানুষের রাত কাটে এখন অসহনীয় দুর্ভোগে। প্রাকৃতিক এই বৈরিতা থেকে বাঁচতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের আবেদন অসহায় মানুষগুলোর।

এদিকে তীব্র শীত আর একটানা কুয়াশার কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু ও বৃদ্ধারা। প্রতিনিয়তই সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।

পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের সহকারী কর্মকর্তা জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেছেন, পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। এর তিন ঘণ্টা আগে, সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৯ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়, যা গতকাল সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। হিমেল হাওয়ায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহে শীত অব্যাহত রয়েছে। এছাড়াও কয়েক দিন ধরে সকালে ও সন্ধ্যার পর কুয়াশা নামে। সামনের দিকে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।