ঢাকা ০১:১৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo অভ্যুত্থান যাদের পছন্দ হয়নি, তারা এটিকে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে: ড. ইউনূস Logo বিসিএসের আবেদন ফি হচ্ছে ২০০ টাকা Logo পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনল বাংলাদেশ Logo কানাডাকে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্য হয়ে যেতে বললেন ট্রাম্প Logo ইউটিউব দেখে অস্ত্র চালানো শিখে প্রেমিকাকে হত্যা করেন প্রেমিক Logo গাজাজুড়ে হত্যাযজ্ঞ চলছেই নিহত আরও ৩৬ ফিলিস্তিনি Logo আজ জবিতে এক মঞ্চে ছাত্রদল-শিবির সভাপতিসহ থাকবেন ১২ সংগঠনের নেতা Logo প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠক আজ Logo দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন পাসপোর্ট ও বিআরটিএ অফিস Logo ভারতের উচিত ‘৭৫ প্লেবুক পাল্টে বাংলাদেশের নতুন বাস্তবতা উপলব্ধি করা’-মাহফুজ আলম

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব মমতার

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরও এক বার দল ও রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নয়াদিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে লিখিতভাবে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি এ ইস্যুতে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা শুরুর জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বানও জানিয়েছেন মমতা।

সোমবার দুপুরে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই, রাষ্ট্রপুঞ্জের (জাতিসংঘের) সঙ্গে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কথা বলুক যেন তারা সেখানে শান্তিরক্ষী সেনাদের পাঠাতে পারে। আমাদের অনুরোধ রইল।”

সেই সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষার ব্যাপারটি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের বিবৃতিও দাবি করেছেন তিনি।

“বর্ডার সিকিউরিটি কেন্দ্রের আওতায়। এটি আমাদের এক্তিয়ার বা দায়িত্বে নেই। আমরা বিধানসভার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি—প্রধানমন্ত্রী যেন সংসদে বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বলেন। যদি প্রধানমন্ত্রীর অসুবিধা থাকে কোনও ব্যাপারে, তাহলে বিদেশমন্ত্রী (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) যেন সংসদে বিবৃতি দিয়ে জানান যে কেন্দ্র এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হলে তার সরকার তা সহ্য করবে না বলে নিজ বক্তব্যে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভার অধিবেশনে তিনি বলেন, “যদি বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। আমরা তাদের সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে পারি।”

এই প্রসঙ্গেই তার সংযোজন, “আমাদের পরিবার, সম্পত্তি এবং প্রিয় মানুষেরা বাংলাদেশে আছেন। ভারত সরকার এই বিষয়ে (বাংলাদেশ) যে অবস্থান নেবে, আমরা তা গ্রহণ করব; কিন্তু বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে ধর্মীয় কারণে কেউ অত্যাচারিত হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা এ ব্যাপারে ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি।”

বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমি গত ১০ দিন ধরে দেখছি কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে রয়েছে। অথচ তাদের দল বলছে সব আটকে দেবো।”

ট্যাগস :
জনপ্রিয় সংবাদ

অভ্যুত্থান যাদের পছন্দ হয়নি, তারা এটিকে মুছে দেওয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে: ড. ইউনূস

বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর প্রস্তাব মমতার

আপডেট সময় ০৪:২৭:২৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে আরও এক বার দল ও রাজ্য সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী বাহিনী পাঠানোর জন্য পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে নয়াদিল্লিতে আসীন কেন্দ্রীয় সরকারকে লিখিতভাবে প্রস্তাবনা পাঠানো হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

পাশাপাশি এ ইস্যুতে জাতিসংঘের সঙ্গে আলোচনা শুরুর জন্য ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে আহ্বানও জানিয়েছেন মমতা।

সোমবার দুপুরে বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে যোগ দিয়ে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা চাই, রাষ্ট্রপুঞ্জের (জাতিসংঘের) সঙ্গে এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার কথা বলুক যেন তারা সেখানে শান্তিরক্ষী সেনাদের পাঠাতে পারে। আমাদের অনুরোধ রইল।”

সেই সঙ্গে সীমান্ত সুরক্ষার ব্যাপারটি কেন্দ্রীয় সরকারের আওতাধীন বলেও মন্তব্য করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাদেশ ইস্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস. জয়শঙ্করের বিবৃতিও দাবি করেছেন তিনি।

“বর্ডার সিকিউরিটি কেন্দ্রের আওতায়। এটি আমাদের এক্তিয়ার বা দায়িত্বে নেই। আমরা বিধানসভার পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি—প্রধানমন্ত্রী যেন সংসদে বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বলেন। যদি প্রধানমন্ত্রীর অসুবিধা থাকে কোনও ব্যাপারে, তাহলে বিদেশমন্ত্রী (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) যেন সংসদে বিবৃতি দিয়ে জানান যে কেন্দ্র এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হলে তার সরকার তা সহ্য করবে না বলে নিজ বক্তব্যে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। বিধানসভার অধিবেশনে তিনি বলেন, “যদি বাংলাদেশে ভারতীয়রা আক্রান্ত হন, তবে আমরা তা সহ্য করব না। আমরা তাদের সেখান থেকে ফিরিয়ে আনতে পারি।”

এই প্রসঙ্গেই তার সংযোজন, “আমাদের পরিবার, সম্পত্তি এবং প্রিয় মানুষেরা বাংলাদেশে আছেন। ভারত সরকার এই বিষয়ে (বাংলাদেশ) যে অবস্থান নেবে, আমরা তা গ্রহণ করব; কিন্তু বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে ধর্মীয় কারণে কেউ অত্যাচারিত হলে আমরা তার নিন্দা জানাই। আমরা এ ব্যাপারে ভারত সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে হস্তক্ষেপ করার আর্জি জানাচ্ছি।”

বাংলাদেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে রয়েছে বলেও অভিযোগ তুলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ প্রসঙ্গে বিজেপির সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমি গত ১০ দিন ধরে দেখছি কেন্দ্রীয় সরকার চুপ করে রয়েছে। অথচ তাদের দল বলছে সব আটকে দেবো।”